image

০২ অক্টোবর ২০২৩

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ


গতকাল ময়মনসিংহ থেকে কিশোরগঞ্জ রোডমার্চের আগে বিভিন্ন স্থান থেকে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার, মঞ্চ নির্মাণে পুলিশের বাধা, গভীর রাতে প্রেসে প্রেসে তল্লাশী ও প্রেস মালিক-কর্মচারীদের হয়রানী, প্রেস থেকে ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপি'র সদস্য ও গৌরীপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আহমেদ তাইয়্যেবুর রহমান হীরনসহ ১০ জন এবং রোডমার্চে আসার পথে শেরপুরের নকলা থেকে শ্রমিক দলের সভাপতি শওকত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল হক জুনসহ ৫ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার, রোডমার্চের পথে ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও ইশ্বরগঞ্জে ছাত্রলীগ-যুবলীগের হামলায় ২৮ জন নেতাকর্মী আহত, উল্টো ময়মনসিংহের ইশ্বরগঞ্জ উপজেলা এবং রফিকুল ইসলাম হিলালীসহ নেত্রকোণা জেলাধীন কেন্দুয়া থানার শতাধিক নেতাকর্মীদের নামে ২টি পৃথক মিথ্যা মামলা দায়ের, রোডমার্চের পথে পথে হালুয়াঘাট এবং বিভিন্ন স্থান থেকে আগত গাড়ীবহর ফুলপুরসহ বিভিন্ন থানায় আটকিয়ে হয়রানী এবং ইশ্বরগঞ্জের ঘটনায় উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপাতে উল্টো জেলা বিএনপি'র সদস্য ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম ভূঁইয়া মনি, জুলফিকার হায়দার টিপুসহ বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করার ন্যাকারজনক ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “বিরোধী দল দমনে বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর হিংসাশ্রয়ী রাজনীতিতে সারাদেশটাই এখন জুলুমের নগরীতে রুপান্তরিত হয়েছে। প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে জোর জবরদস্তিমূলকভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের পর থেকে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোকে নিশ্চিহ্ন করতে সরকারের ঔদ্ধত্য এখন সীমাহীন পর্যায়ে। অবৈধ আওয়ামী সরকার বিএনপিকে ধ্বংস করার মূখ্য উদ্দেশ্য নিয়ে দেশব্যাপী হামলা, গুম, খুন, জখম ও অপহরণের পাশাপাশি ধারাবাহিকভাবে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের এবং তাদেরকে গ্রেফতার করে রিমান্ডের নামে ব্যাপক নির্যাতন চালানো হচ্ছে, কারান্তরীণ করা হচ্ছে। সভা, সমাবেশ করার ক্ষেত্রে সরকারী দলের জন্য একধরণের নীতি এবং বিরোধী দলগুলোর জন্য দমন-পীড়ণ নীতি অবলম্বন করা হচ্ছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি এখন আওয়ামী লীগের পৈত্রিক ভূমিতে পরিণত হয়েছে যেখানে সকল ক্ষমতা, সকল অধিকার কেবলমাত্র আওয়ামী লীগের, সেখানে অন্য কোন দল বা জনগণের বাক-ব্যক্তি স্বাধীনতা কিংবা গণতান্ত্রিক অধিকারের কোন সুযোগ থাকবে না। এভাবে একটি দেশ চলতে পারে না।


সারাদেশের জনগণ এখন বর্তমান সরকারের স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ। ময়মনসিংহ থেকে কিশোরগঞ্জ বিএনপি'র শান্তিপূর্ণ রোডমার্চ ভন্ডুল করার সরকারী নানামূখী কুটকৌশলের আমি তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাচ্ছি। এতকিছুর পরও রোডমার্চ সাফল্যমন্ডিত হওয়ায় আমি সকল স্তরের নেতাকর্মীদের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।


অবিলম্বে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ষড়যন্ত্রমূলক ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা প্রত্যাহারসহ গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের শর্তহীন মুক্তির জোর আহবান জানাচ্ছি। আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত নেতাকর্মীদের সুস্থতা কামনা এবং অবিলম্বে হামলাকারী দোষীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।"


সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স এর নিন্দা ও প্রতিবাদ।


পৃথক বিবৃতিতে বিএনপি'র সাংগঠনিক সম্পাদক (ময়মনসিংহ বিভাগ) সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স গতকাল ময়মনসিংহ হতে কিশোরগঞ্জ অভিমুখী শান্তিপূর্ণ রোডমার্চকে বানচাল করতে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নানামুখী অপতৎপরতায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।


আজ এক প্রতিবাদ বিবৃতিতে সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, রাষ্ট্রক্ষমতা সামলাতে নিশিরাতের সরকার এখন এতটাই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে যে, বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকেও বরদাশত করছে না। বিএনপিকে নানাভাবে হয়রানী ও ক্ষতিগ্রস্ত করার ধারাবাহিক সরকারি মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবেই ময়মনসিংহ থেকে কিশোরগঞ্জ অভিমূখী রোডমার্চকে নস্যাৎ করতে বিভিন্ন স্থান থেকে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার, মঞ্চ নির্মাণে পুলিশের বাধা, গভীর রাতে প্রেসে প্রেসে তল্লাশী ও প্রেস মালিক-কর্মচারীদের হয়রানী প্রেস থেকে ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপি'র সদস্য ও গৌরীপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আহমেদ তাইয়্যেবুর রহমান হীরনসহ ১০ জন এবং রোডমার্চে আসার পথে শেরপুরের নকলা থেকে শ্রমিক দলের সভাপতি শওকত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল হক জুনসহ ৫ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার, রোডমার্চের পথে ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও ইশ্বরগঞ্জে ছাত্রলীগ-যুবলীগের হামলায় ২৮ জন নেতাকর্মী আহত, উল্টো ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা এবং রফিকুল ইসলাম হিলালীসহ নেত্রকোণা জেলাধীন কেন্দুয়া থানার শতাধিক নেতাকর্মীদের নামে ২টি পৃথক মিথ্যা। মামলা দায়ের, রোডমার্চের পথে পথে হালুয়াঘাট এবং বিভিন্ন স্থান থেকে আগত গাড়ীবহর ফুলপুরসহ বিভিন্ন থানায় আটকিয়ে হয়রানী এবং ইশ্বরগঞ্জের ঘটনায় নিজেদের অপরাধ অন্যের ওপর বর্তাতে উল্টো জেলা বিএনপি'র সদস্য ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম ভূঁইয়া মনি, জুলফিকার হায়দার টিপুসহ বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।


বর্তমান সরকারের প্রতি জনগণের ঘৃনা এতটাই তীব্র মাত্রা লাভ করেছে যে, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের সুযোগ পেলে জনগণ তার উপযুক্ত জবাব দিবে। সেজন্য জনমতকে অগ্রাহ্য করে জনগণের ওপর জুলুম নির্যাতন চালিয়ে জোর করে ক্ষমতা কুক্ষিগত রাখতে চায় আওয়ামী সরকার। আর সেজন্যই দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার বিএনপিসহ সরকারবিরোধী দলগুলোকে নানা পন্থায় দমন করতে সরকার সবধরণের নিষ্ঠুর পদ্ধতি গ্রহণ করছে। কর্তৃত্ববাদী সরকার তাদের সকল অন্যায় এবং দেশবিরোধী কর্মকান্ড থেকে জনদৃষ্টিকে ভিন্নদিকে সরানোর জন্য বেপরোয়া গতিতে দেশব্যাপী হামলা-মামলা, বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও আহত করা শুরু করেছে। কিন্তু এভাবে নির্যাতন চালিয়ে আওয়ামী সরকার নিজেদেরকে রক্ষা করতে পারবে না, কারণ জনগণ এখন ক্ষমতাসীন ফ্যাসিষ্ট সরকারের ভয়াবহ দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জেগে উঠেছে। আমি অবিলম্বে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেফতারকৃতদের নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি জানাচ্ছি। আহত নেতাকর্মীদের আশু সুস্থতা কামনা করছি।" 


বার্তা প্রেরক:

(মোঃ তাইফুল ইসলাম টিপু)

সহ-দফতর সম্পাদক

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি।

রিলেটেড প্রোগ্রাম এবং প্রেস রিলিজ

আরো দেখুন