আমাদের সাফল্য
সাফল্য ২০০১-২০০৬
- জনগণের জান, মাল ও সম্ভ্রম রক্ষা এবং দেশে শান্তি, শৃঙ্খলা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় ব্যক্তি ও দলীয় স্বার্থের উর্ধ্বে থেকে আইন-বিরোধী কার্যক্রম এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী কার্যক্রম কঠোরভাবে দমন করার লক্ষে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠা করা হয়। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও শক্তিশালী ও কার্যকর করার জন্য তাদেরকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ, উন্নত সরঞ্জাম, আধুনিক অস্ত্র ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা দিয়ে অভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার উপযোগী বাহিনী হিসাবে গড়ে তোলা হয়।
- সমাজের সকল স্তরের এবং সব শ্রেণীর মধ্যে দুর্নীতির প্রসার ঘটেছে। এ বিষয়ে দেশে ও বিদেশে ব্যাপক এবং অনেক ক্ষেত্রে অতি প্রচারণা হয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ সৎ ও নৈতিক জীবন-যাপন করলেও বিশেষত বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই অবস্থার পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে দুর্নীতি দমন কমিশন প্রতিষ্ঠা করা হয়। দুর্নীতি দমন কমিশনকে স্বাধীন, নিরপেক্ষ এবং সংবিধান ও আইনের অধীনে কার্যকরভাবে কাজ করার সুযোগ দেওয়ার পাশাপাশি দুর্নীতির বিরুদ্ধে সচেতনতা ও জনমত সৃষ্টির জন্য নির্বাচিত স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহ, মিডিয়া এবং জনগণের সক্রিয় সহযোগিতা নেয়া হয়
- বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতি ও বিএনপি প্রায় সমার্থক। বিএনপি যখনই দেশ সেবার দায়িত্ব পেয়েছে তখনই দেশে ব্যাপক অর্থনৈতিক উন্নতি হয়েছে। পুনঃনির্বাচিত হলে উৎপাদন ও উন্নয়নের রাজনীতিতে বিশ্বাসী বিএনপি সরকার অর্থনেতিক উন্নয়নের এই ধারাকে আরও বেগবান করার লক্ষ্যে জাতীয় অর্থনীতি এবং শিল্প ও বাণিজ্যের অব্যাহত উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য বেসরকারি খাত ও সমবায়কে অগ্রাধিকার দেয়া হয়। দেশী, বিদেশী বিনিয়োগকারীরা, বিশেষ করে প্রবাসী বাংলাদেশীদেরকে প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা দিয়ে দেশে বিনিয়োগে উৎসাহিত করা হয়। দেশের সবচেয়ে বেশী শ্রমিক বিশেষ করে বিপুল সংখ্যক নারী শ্রমিক নিয়োগকারী এবং সবচেয়ে বেশী বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী গার্মেন্টস শিল্পকে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে ও আরও সম্প্রসারিত হতে সব ধরনের সহায়তা দেয়া হয়। দেশীয় শিল্প, বিশেষ করে পাট, চা, বস্ত্র, চিনি, ঔষধ, সিরামিক ও চামড়া শিল্পের সুরক্ষা ও অব্যাহত উন্নয়নের লক্ষ্যে সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের উ ন্নয়নের লক্ষ্যে দেশের শিক্ষিত যুবশক্তি, নারী উদ্যোক্তা এবং সমবায়ীদের বিশেষ প্রশিক্ষণ ও ঋণ-সহায়তা দেয়া হয়। রপ্তানি বাণিজ্যে ভারসাম্য আনা এবং অধিকতর কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে কৃষিভিত্তিক ও রপ্তানিমুখী শিল্পস্থাপন ও প্রসারে সর্বাত্মক সহায়তা দেয়া হয়
- কৃষিপণ্যের উৎপাদন ব্যয় যথাসম্ভব হ্রাস করে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল ও দ্রুত কমিয়ে আনার লক্ষ্যে কৃষি খাতের আধুনিকায়ন ও উন্নয়নের লক্ষ্যে নতুন নতুন প্রযুক্তি, গবেষণা ও গবেষণালব্ধ ফলাফলকে মাঠে প্রয়োগের ব্যবস্থা নেয়া হয়। কৃষক যাতে উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য পায় এবং ভোক্তাগণকে যাতে অতিরিক্ত মূল্যে দ্রব্যাদি কিনতে বাধ্য হতে না হয় সেই লক্ষ্যে কৃষি পণ্যের যথাযথ সংরক্ষণ, পরিবহন এবং বাজারজাতকরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়।
- নানা প্রতিবন্ধকতার ভেতরেও চারদলীয় জোট সরকার শিক্ষাক্ষেত্রে নকলমুক্ত পরীক্ষা, মেয়েদের বিনামূল্য পড়ালেখাসহ শতাধিক উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি ও উন্নীত করে। দারিদ্র অথচ মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বৃত্ত্বির ব্যবস্থা করা হয়।
- সামগ্রিকভাবে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হলে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়। গ্রামীণ অঞ্চলে কর্মসংস্থানের দিকে অধিক জোর দেয়া হয়। ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে উৎসাহ দিয়ে গ্রামীণ অর্থনীতি জোরদার, সমবায় আন্দোলনকে সহায়তা প্রদান করা হয়। দেশে অধিকহারে শ্রমঘন শিল্প স্থাপন ও বন্ধ শিল্পে পুনরায় উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করার জন্য উৎসাহ দান করা হয়। বিদেশে দক্ষ শ্রমিকদের অধিকহারে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। আত্মকর্মসংস্থানের উদ্যোগে সহয়তা দান করার মত বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।
- বিএনপি ও চারদলীয় জোট সরকারের আমলে দেশে যোগাযোগ ব্যবস্থার যুগান্তকারী উন্নয়ন হয়। দেশের সবকটি প্রধান হাইওয়ের উন্নয়ন, বড় বড় নদীর ওপর ব্রীজ নির্মাণ, চট্টগ্রামে নিউমুরিং টার্মিনাল নির্মাণ, বাংলাদেশ রেলওয়ের আধুনিকায়ন, ভৈরবের কাছে মেঘনা সেতু নির্মাণ ও মুন্সীগঞ্জে ধলেশ্বরী সেতু নির্মাণ, কর্নফুলী নদীর ওপর তৃতীয় সেতু নির্মাণ কাজে অগ্রগতি, পদ্মা সেতু নির্মাণে বিশ্বব্যাংক, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ও জাপানের অর্থ সাহায্যের প্রতিশ্রুতি প্রাপ্তি ও সম্ভাব্যতা যাচাই কাজের সমাপ্তি, চট্টগ্রাম ও সিলেট এয়ারপোর্টে নতুন দুটি টার্মিনাল বিল্ডিং নির্মাণ, এসবই হচ্ছে বিগত বিএনপি ও চারদলীয় জোট সরকারের পাঁচ বছরে যোগাযোগ খাতে উন্নয়নের রেকর্ড।
- দেশের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রশাসনকে জনগণের হাতের কাছে নিয়ে যাওয়া এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ও গ্রাম পর্যায়ে যোগ্য নেতৃত্ব সৃষ্টির লক্ষ্যে বিএনপি সবসময়ই কাজ করেছে। এ লক্ষ্যে নির্বাচিত বিএনপি সরকার প্রচলিত স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা এবং নির্বাচিত প্রতিনিধিদের ক্ষমতা ও দায়িত্ব বহাল রেখেই স্থানীয় উন্নয়ন ও জনকল্যাণে প্রান্তিক জনগণের অংশগ্রহণের সুযোগ সম্প্রসারিত করে।
- জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে প্রতিরক্ষা ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের পাঠানের নীতি অব্যহত রাখা হয় এবং এর ক্ষেত্র আরো সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয়া হয
- সহজে ও কম খরচে, দ্রুত বিচার পাওয়ার জন্য এবং দেশের ঘুণে ধরা বিচার ব্যবস্থাকে গতিময় এবং জনগণের আস্থাশীল প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার লক্ষ্যে বিগত বিএনপি জোট সরকার বিচার বিভাগকে স্বাধীন করার লক্ষ্যে এক ঐতিহাসিক সংস্কার কার্যক্রমের সূচনা করে
- নারীদের ক্ষমতায়ন ও মর্যাদা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ব্যবসায়ে আগ্রহী ও আত্মকর্মসংস্থানমূলক কর্মে নিয়োজিত নারীদের জন্য সহজ শর্তে ও কম সুদে ঋণ প্রদান করা হয় এবং চাকরিতে নারীদের নিয়োগ ও পদোন্নতিতে অগ্রাধিকার দেয়া হয়। যৌতুক প্রথা, এসিড নিক্ষেপ এবং নারী ও শিশু-পাচার রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হয়। মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যুর হার ন্যূনতম পর্যায় নামিয়ে আনার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকে।
- ২০০১ সালে বিএনপি নির্বাচনী অঙ্গীকার অনুযায়ী ফাইবার অপটিক সাবমেরিন কেবল সংযোগের মাধ্যমে বাংলাদেশ এখন ইনফর্মেশন হাইওয়েতে পৌঁছে গেছে। বিএনপি ও চারদলীয় জোট সরকারের ২০০১ সালে দায়িত্ব গ্রহণের সময়ে মোবাইল ফোনের সংখ্যা ছিল মাত্র ৫০ লাখ। ২০০৬ সালের শেষে এই সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় তিন কোটি।
- চারদলীয় জোট সরকারের আমলে গ্রামীণ এলাকায় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও স্বাস্থ্যসম্মত পয়ঃব্যবস্থা প্রবর্তনের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছিল। ফলে এখন শতকরা নব্বই ভাগ গ্রামবাসী বিশুদ্ধ পানি খেতে পারছেন এবং প্রায় সকলেই অল্প খরচে তৈরি স্বাস্থ্যসম্মত পয়ঃব্যবস্থা ব্যবহারের সুযোগ পেয়েছেন। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ যথাসময়ের আগেই সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করে।
- পরিবেশ রক্ষায় বিএনপি ও চারদলীয় জোট সরকার তাদের শাসন আমলে পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার এবং দুই স্ট্রোক বেবিটেক্সি নিষিদ্ধকরণ, সারা দেশে বৃক্ষরোপণ ও বনায়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে সফল হয়েছিল।
- দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রবাসী শ্রমিকদের বিশাল অবদানের স্বীকৃতি হিসাবে বিগত বিএনপি সরকার প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় গঠন করে এবং বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাসসমূহ যাতে প্রবাসীদের কল্যাণে যথাযোগ্য ভূমিকা পালন করে, তার নিশ্চয়তা বিধানের প্রচেষ্টা নেয়া হয়।
- যুদ্ধাহত ও দুঃস্থ মুক্তিযোদ্ধা, দরিদ্র ও নিঃস্ব নারী-পুরুষ-শিশু এবং অসহায় প্রবীণ নাগরিকদের জন্য পর্যায়ক্রমে একটি কার্যকর সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ শুরু হয়।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি গভীরতর করা এবং সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষের সমান অধিকার নিষ্ঠার সাথে রক্ষার নীতিতে অবিচল থেকে সাম্প্রদায়ক সম্প্রীতি বিনষ্টের সকল অপচেষ্টা কঠোরভাবে দমনের চেষ্টা করা হয় ।অনগ্রসর পাহাড়ী ও উপজাতীয় জনগণের সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য রক্ষা, চাকুরি ও শিক্ষা ক্ষেত্রে সকল সুবিধা সম্প্রসারণ এবং পার্বত্য অঞ্চলে উন্নয়ন কার্যক্রম জোরদার করা হয়।
সাফল্য ১৯৯৬ (ফেব্রুয়ারি – মার্চ)
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে প্রবর্তনের জন্য ১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে বেগম খালেদা জিয়া দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন
গণতান্ত্রিক ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া পুনর্গঠনএকটি সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ক্ষমতা হস্তান্তর নিশ্চিত করার জন্য ১৯৯৬ সালের বেগম খালেদা জিয়া সরকার নির্বাচনের এক সপ্তাহের মধ্যে একটি নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চালু করে। এরপর তিনি পদত্যাগ করেন এবং পুনরায় নির্বাচনে অংশ নেন, যা দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতির ইতিহাসে একটি বিরল ঘটনা।
সাফল্য ১৯৯১-১৯৯৬
বেগম খালেদা জিয়া ১৯৯০ সালের গণ-অভ্যুত্থানের পর অনুষ্ঠিত প্রথম নির্বাচনে জয়লাভ করেন। ফলত বেগম জিয়া বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী এবং বিশ্বের ইতিহাসে একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী হন।
অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেগম খালেদা জিয়ার প্রথম মেয়াদে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরে এসেছিল যা পরবর্তী কয়েক দশকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করেছিল। তিনি দেশকে বৈদেশিক সাহায্য নির্ভরতা থেকে বের করে এনেছিলেন। উল্লেখ্য, এরশাদ সরকারের শেষ বছরে বাংলাদেশ পুরোপুরি বৈদেশিক সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল ছিল। তার বিশ্বস্ত অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান বাংলাদেশের অর্থনীতিকে চাঙা করতে এবং জাতির সমৃদ্ধি আনতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ফলস্বরূপ, ১৯৯০ দশকের শুরুর দিকে স্থিতিশীল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছিল যখন সাইফুর রহমান সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার উপর জোর দিয়েছিলেন।
বেগম জিয়ার অধীনে ভ্যাট ব্যবস্থা প্রবর্তন এবং রাজস্ব আদায়ের ক্ষমতা বৃদ্ধির ফলে বাংলাদেশ ধীরে ধীরে বৈদেশিক সাহায্য নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসতে শুরু করে। এছাড়া, বেগম জিয়ার প্রথম শাসনামলে, বাংলাদেশের জিডিপি বছরে গড়ে ৪.৫% হারে বৃদ্ধি পেয়েছিল, যা এরশাদের আমলে ১.৮% ছিল।
বেগম জিয়ার নেতৃত্বাধীন সরকার ব্যাংক কোম্পানি আইন ১৯৯১, আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন ১৯৯৩, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আইন ১৯৯৩ ইত্যাদি সহ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য বেশ কয়েকটি আইন প্রণয়ন করে। এছাড়াও, তার শাসনামলে বেসরকারীকরণের বিষয়টিকে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের জন্য প্রাইভেটাইজেশন বোর্ড প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এই পদক্ষেপগুলি বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনরুদ্ধারে সহায়ক ছিল।
শিক্ষাগত সংস্কার
নারীদেরকে শিক্ষা গ্রহণে এবং পরিবারগুলোকে তাঁদের মেয়েদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠানোর জন্য আগ্রহী করতে ১৯৯৪ সালের জানুয়ারি মাসে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্রীদের জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা করা হয় এবং ছাত্রীদের দশম শ্রেণি পর্যন্ত বিনামূল্যে শিক্ষা নিশ্চিত করা হয়।
সে বছর সরকার চারটি প্রকল্প হাতে নেয়। সেগুলো হলো মহিলা মাধ্যমিক স্কুল সহায়তা প্রকল্প ২, মহিলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রকল্প, মাধ্যমিক শিক্ষা খাত উন্নয়ন প্রকল্প ও মহিলা মাধ্যমিক শিক্ষা বৃত্তি প্রকল্প।
এছাড়া ১৯৯৩ সাল থেকে বেগম জিয়ার সরকার শিক্ষার বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচী চালু করে যা ধীরে ধীরে ১২৫৫টি ইউনিয়নে সম্প্রসারণ করা হয় ১৯৯৬ সাল নাগাদ। ২০০১ সালে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচীর সহায়তায় পুরো দেশে প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের খাদ্য সহায়তার ব্যবস্থা করা হয়।
উল্লেখ্য ১৯৯১ সালে বেগম জিয়া যখন দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন তখন দেশের স্কুলগুলোতে ছাত্র ও ছাত্রীদের অনুপাত ছিল ৫৫ঃ৪৫, তিনি যখন ১৯৯৬ সালে মেয়াদ শেষ করেন তখন এই অনুপাত দাঁড়ায় ৫২ঃ৪৮। এছাড়া ১৯৯০ সালে প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীর তালিকাভুক্তির সংখ্যা ছিল ১২০ লক্ষের মত, যার মধ্যে প্রায় ৫৪ লক্ষ ছিল ছাত্রী। ১৯৯৬ সালে মোট তালিকাভুক্তি বেড়ে হয় ১৭৬ লক্ষের মত যার মধ্যে প্রায় ৮৪ লক্ষ ছিল ছাত্রী। অর্থাৎ পাঁচ বছরে প্রাথমিক পর্যায়ে ছাত্রীদের তালিকাভুক্তি বাড়ে প্রায় ৩০ লক্ষ।
১৯৯৩ সালের অক্টোবর মাসে দি নিউ ইয়র্ক টাইমস বেগম জিয়ার উদ্যোগ সম্পর্কে লিখেছিল, ‘Now as Prime Minister, Mrs. Zia -- in contrast with Benazir Bhutto when she first became Prime Minister of Pakistan -- is aggressively promoting education and vocational specially of girls.'
কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা
বিআইডিএস প্রকাশিত একটি গবেষণা অনুসারে ১৯৯০ থেকে ১৯৯৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতে কর্মসংস্থান বেড়ে ২৯%। পরের দশ বছরে এই কর্মসংস্থান বৃদ্ধির হার দুই অঙ্কের ঘরেও পৌঁছাতে পারেনি। বেগম জিয়া যখন প্রধানমন্ত্রী হন তখন দেশে মোট তৈরি পোশাক কারখানা ছিল ৮৩৪টি, ১৯৯৬ সালের মাঝামাঝি নাগাদ এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২,৩৫৩টিতে, অর্থাৎ এই শিল্পের কলেবর বাড়ে প্রায় তিনগুণ। এসময় এই খাত থেকে বৈদেশিক মুদ্রার আয়ও বাড়ে প্রায় সাপরিবেশ দূষণ কমানো
পরিবেশ রক্ষায় বেগম জিয়ার নেতৃত্বাধীন সরকারের পদক্ষেপের মধ্যে ছিল ১৯৯২ সালে প্রথম জাতীয় পরিবেশ নীতি প্রণয়ন, বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ প্রণয়ন ইত্যাদি।
রোহিঙ্গা শরণার্থী সমস্যা সমাধান
১৯৯১ সালে বিএনপির সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই মায়ানমারে শুরু হয় রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞ যার ফলে কক্সবাজার সীমান্ত থেকে প্রায় ২ লক্ষ ৭০ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে প্রবেশ করে। বেগম জিয়া রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেন এবং দ্রুতই তাঁদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরুর ব্যাপারে পদক্ষেপ নেন।
বাংলাদেশ এই সময় কোন তৃতীয় পক্ষ বা দেশের ভরসায় না থেকে বিষয়টিকে সরাসরি আন্তর্জাতিক সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে জাতিসংঘের মাধ্যমে রোহিঙ্গা প্রত্যাবসনের বিষয়টি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তুলে ধরেন। ১৯৯২ সালের মার্চে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে বেগম জিয়া যখন হোয়াইট হাউজে যান সেখানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে মায়ানমার ও তার মিত্রদের উপর চাপ সৃষ্টি করতে বলেন এবং জানান তিনি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে বিষয়টি উত্থাপন করেছেন। রাষ্ট্রপতি বুশ তাঁকে প্রতিশ্রুতি দেন তিনি এই ব্যাপারে মায়ানমারের মিত্র আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর মাধ্যমে সমস্যার সমাধানে কাজ করবেন।
এসময় মায়ানমার সেনাবাহিনীর আচরণ ছিল ঔদ্ধত্যপূর্ণ এবং তারা বাংলাদেশের সীমান্তেও হামলা চালায় একবার। পালটা পদক্ষেপ হিসেবে বাংলাদেশও মায়ানমার সীমান্তে সেনাবাহিনীর অবস্থান জোরদার করে।
বেগম জিয়ার উদ্যোগে দ্রুত ফল হয়। ১৯৯৩ সালে ৫ নভেম্বর জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনারের সাথে মায়ানমার সরকার একটি চুক্তি করতে বাধ্য হয় এবং ২,২৯,৪৮৩ জন শরণার্থীকে ফিরিয়ে নেয়।
দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা
১৯৯১ সালে বাংলাদেশে যখন এ যাবতকালের সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় গোর্কি আঘাত হানে, তখন বেগম জিয়ার সরকারের ক্ষমতা নেয়ার দুই মাসও অতিবাহিত হয়নি। বাংলাদেশের দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা খাতের অবস্থা ছিল তখন শোচনীয় এবং সমন্বয় বলতে কিছু ছিল না।
ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানার পর বেগম খালেদা জিয়া উপকূলীয় জেলাগুলোতে উদ্ধারকাজে অংশ নেন এবং তদারকিতে যুক্ত হন। তাঁর আহ্বানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, ভারত, পাকিস্তান ও জাপানের সেনাবাহিনীর সদস্যরাও এই উদ্ধারকাজে সহায়তা করে। শুরু হয় ইতিহাসের অন্যতম বৃহৎ সামরিক দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রচেষ্টা অপারেশন সি অ্যানজেল। পরবর্তীতে জাপান সরকার ক্ষতিগ্রস্ত জনপদ পুনর্গঠনে সহায়তা দেয়।
১৯৯১ সালের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে বেগম জিয়ার সরকার ১৯৯৩ সালে উপকূলীয় সবুজবেষ্টনী গড়ে তোলার প্রকল্প হাতে নেয়। ১৯৯৫ সালের ২রা মার্চ এটি এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক কর্তৃক অনুমোদিত হয়। ঋণ বিষয়ক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় এপ্রিল মাসের ১৮ তারিখে। এই সবুজবেষ্টনী পরবর্তীতে বাংলাদেশকে বহু ঘূর্ণিঝড়ের আঘাত প্রশমনে সাহায্য করেছে যা এখন উপকূলজুড়ে গড়ে ওঠা কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কারণে আর্ ঝুঁকির মুখে পড়েছে।
সাফল্য ১৯৭৮-১৯৮২
জিয়াউর রহমান দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করার কিছু দিনের মধ্যেই দেশে আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়। দেশ গড়ার এবং জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য তিনি দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত ছুটে বেড়িয়েছেন। নিজ চোখে তিনি মানুষের সমস্যা দেখেছেন, দেশের সমস্যা অনুধাবন করেছেন। দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা নিয়েছেন। জনগণকে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সরাসরি সম্পৃক্ত হতে উদ্বুদ্ধ করেছেন। দেশবাসী তার ডাকে সাড়া দিয়েছিল। রাষ্ট্রপতি জিয়া গড়ে তুলেছিলেন সুদৃঢ় জাতীয় ঐক্য। উন্নয়ন কার্যক্রমে সঞ্চারিত হয়েছিল দূর্বার গতি। সন্ত্রাসের করাল ছায়া থেকে মুক্ত স্বদেশে প্রথমবারের মত বইল শান্তির সুবাতাস, অস্থিতিশীলতা থেকে উত্তোরণ হলো স্থিতিশীলতায়। অবসান হল রাজনৈতিক শূণ্যতার। জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব গ্রহণ করার পর প্রায় ১০ হাজার রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে কারাগার থেকে মুক্তি দিয়েছিলেন। জরুরী অবস্থা প্রত্যাহার করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থার অবসান ঘটিয়ে দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র
জিয়া প্রবর্তিত উন্নয়নের রাজনীতির কতিপয় সাফল্য়
সকল দলের অঃশগ্রহণের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান; জাতীয় সংসদের ক্ষমতা বৃদ্ধি; বিচার বিভাগ ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেয়া; দেশে কৃষি বিপ্লব, গণশিক্ষা বিপ্লব ও শিল্প উৎপাদনে বিপ্লব; সেচ ব্যবস্থা সম্প্রসারণের লেক্ষ্য স্বেচ্ছাশ্রম ও সরকারী সহায়তায়র সমন্বয় ঘটিয়ে ১৪০০ খাল খনন ও পুনর্খনন;
গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রবর্তন করে অতি অল্প সময়ে ৪০ লক্ষ মানুষকে অক্ষরজ্ঞান দান; হাজার হাজার মাইল রাস্তা-ঘাট নির্মাণ;
২৭৫০০ পল্লী চিকিৎসক নিয়োগ করে গ্রামীণ জনগণের চিকিৎসার সুযোগ বৃদ্ধিকরণ; নতুন নতুন শিল্প কলকারখানা স্থাপনের ভেতর দিয়ে অর্থনৈতিক বন্ধ্যাত দূরীকরণ; কলকারখানায় তিন শিফট চালু করে শিল্প উৎপাদন বৃদ্ধি; কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও দেশকে খাদ্য রপ্তআনীর পর্যায়ে উন্নীতকরণ;
যুব উন্নয়ন মন্ত্রাণালয় ও মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয় সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে যুব ও নারী সমাজকে সম্পৃক্তকরণ;
ধর্ম মন্ত্রণালয় প্রতিষ্টা করে সকল মানুষের স্ব স্ব ধর্ম পালনের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধিকরণ;
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সৃইষ্ট করে প্রযুক্তির ক্ষেত্রে অগ্রগতি সাধন;
তৃণমূল পর্যায়ে গ্রামের জনগণকে স্থানীয় প্রশাসন ব্যবস্থা ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করণ এবং সর্বনিম্ন পর্যায় থেকে দেশ গড়ার কাজে নেতৃত্ব সৃষ্টি করার লেক্ষ্য গ্রাম সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন;
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের আসনলাভ; তিন সদস্যবিশিষ্ট আল-কুদস কমিটিতে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তি;
দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে ‘সার্ক’ প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগ গ্রহণ;
বেসরকারিখাত ও উদ্যোগকে উৎসাহিতকরণ; জনশক্তি রপ্তানি, তৈরী পোশাক, হিমায়িত খাদ্য, হস্তশিল্পসহ সকল অপ্রচলিত পণ্যোর রপ্তানীর দ্বার উন্মোচন; শিল্পখাতে বেসরকারি বিনিয়োগের পরিমাণ বৃদ্ধি ও বিনিয়োগ ক্ষেত্রের সম্প্রসারণ। এ ছাড়াও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সময় নিম্নলিখিত সাফল্য অর্জিত হয়ঃ
· শহীদ জিয়া সংবিধানের প্রথমে বিসমিল্লাহির– রহমানির রাহিম (পরম দয়াময় ও করুনাময় আল্লাহর নামে )– সংযোজন করা হয় ।
· আর্টিকেল ৮ (১) এবং ৮ (১ এ) তে “আল্লাহর প্রতি পরিপূর্ন আস্থা এবং বিশ্বাস” শব্দ গুচ্ছটি সংযোজন করা হয়।
· মুসলমানদের শরিয়াহ এবং সুন্নার সামাজিক ও আইনগত নিয়মনীতি প্রতিপালনের জন্য সুযোগ করে দেওয়া হয় ।
· ১২⁄২ তে “ ইসলামি উম্মার সাথে ভ্রাতৃত্ববোধের আলোকে সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠা, উন্নায়ন এবং শক্তিশালী করার নীতি ” সূচনা করা হয় ।
· বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের সূচনা করা হয় ।
· একটি সামগ্রিক জাতীয় পরিচয় সূচনার মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি জিয়উর রহমান বাংলাদেশী সংখ্যালঘু যথাঃ সাওতাল, গাঁড়ো, মনীপুরী এবং চাকমা এমনকি উর্দু ভাষী জনগোষ্ঠী (বিহারী) দের মধ্যে তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। তিনি সংবিধানে ও সাংস্কৃতিক পরিচায়ক “বাধানী” এর পরিবর্তে জাতীয় পরিচায়ক বাংলাদেশী শব্দটি প্রতিস্থাপিত হয় ।
· সাংস্কৃতিক সমন্বয় এবং অর্থনেতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে শহীদ জিয়া ১৯৭৬ সালে একটি পার্বত্য উন্নয়ন কমিশন প্রতিষ্ঠা ও নিয়োগ করেন।
· সরকার এবং বিভিন্ন উপজাতীয় গোষ্ঠীর মধ্যে সংলাপ সংঘটনের লক্ষ্যে তিনি একটি উপজাতীয় কনভেনশন আয়োজন করেন।
· বাংলাদেশ পুলিশের সংখ্যা দ্বিগুন করা হয় এবং সামরিক বাহিনীর সদস্য সংখ্যা ৫০,০০০ থেকে ৯০,০০০ উন্নীত করা হয়
· গ্রাম সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন।
· বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা এবং অপরাধ দমন ও প্রতিরোধ কল্পে গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী প্রতিষ্ঠা।
· সারা বাংলাদেশে বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে প্রাথমিক ও যুব শিক্ষা সম্প্রসারনের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহন।
· বাংলাদেশে রেডিমেড গার্মেন্টস এর সূচনা এবং ব্যক টু ব্যক এলসি প্রথা প্রবর্তন।
· বাংলাদেশের অর্থনীতিতে দ্রুত শিল্প সম্প্রসারনের মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি উন্নয়ন।
· যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিম ইউরোপের সাথে সম্পর্ক ঘনিষ্টকরন ও উন্নয়ন।
· সৌদি আরব ও চায়নার সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন সম্প্রসারন এবং যুগোপযুগী করণ ।
· পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ।
· সকল ইসলামী দেশের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন।
· মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশে এর সুনাম বৃদ্ধিকরনের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহন
· আঞ্চলিক পর্যায়ে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সহয়োগীতা বৃদ্ধি এবং শক্তিশালী করার লক্ষ্যে দক্ষিন এশিয়ার দেশ সমূহকে নিয়ে আঞ্চলিক জোট গঠনের প্রস্তাব করণ। এই প্রস্তাবটি ১৯৮৫ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হুসাইন মুহম্মদ এরশাদ কর্তৃক বাস্তবায়নের মাধ্যমে দক্ষিন এশিয়া আঞ্চলিক সহযোগিতা সমিতি (সার্ক) গঠনকরা হয়। রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়ার সার্ক গঠনের ভিশন এর জন্য তাকে এই সংস্থার পক্ষ থেকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়।