জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করে সরকাররের পদত্যাগ।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের মুক্তি, ক্ষমতাসীন সরকারের পদত্যাগ ও বর্তমান জাতীয় সংসদ ভেঙে দেওয়ার দাবিসহ ১০ দফা দাবি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল - বিএনপি।
১৯৯৬ সালে সংবিধানের ৫৮ অনুচ্ছেদের খ, গ এবং ঘ ধারা অনুসারে একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার/ অন্তর্বর্তীকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে অবশ্যই একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে, যা সব দলের জন্য লেভেল প্লেইং ফিল্ড নিশ্চিত করবে; স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ইভিএম ও দলীয় প্রতীকের ব্যবহার বাতিল করা হবে।
খালেদা জিয়াসহ বিরোধী দলের সব নেতা-কর্মী, সাংবাদিক ও ধর্মীয় আলেমদের সাজা বাতিল করতে হবে; ১০ দফা দাবি অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব ‘মিথ্যা মামলা’ প্রত্যাহার করতে হবে, বাকস্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে, স্বৈরাচারীভাবে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার বন্ধ করতে হবে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮, সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯ এবং বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ সহ সমস্ত কালো আইন প্রত্যাহার করতে হবে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি, গ্যাস, পানিসহ জনসেবার মূল্য বৃদ্ধির গণবিরোধী সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসা এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারকে ডি-সিন্ডিকেট করা।
গত ১৫ বছরে গুমের শিকার সকল নাগরিকদের উদ্ধার এবং বিচারবহির্ভূত হত্যা ও রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের প্রতিটি ঘটনার আইনানুগ বিচারের ব্যবস্থা ও শাস্তি নিশ্চিত করা এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বাড়ি-ঘর, উপসানালয় ভাঙচুর ও সম্পত্তি দখলের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে শাস্তি নিশ্চিত করা।
গত ১৫ বছর বিদেশে অর্থ-পাচার, ব্যাংকিং ও আর্থিক খাত, বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাত ও শেয়ার বাজারসহ রাষ্ট্রীয় সকল ক্ষেত্রে সংঘটিত দুর্নীতি চিহ্নিত করতে একটি কমিশন গঠন।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসন ও বিচার বিভাগকে প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের উপযোগী করতে সরকারি হস্তক্ষেপ বন্ধ করে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দেয়া।