image

১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এর বিবৃতি

“জাতীয় সংসদে চিন্তা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা বিরোধী সাইবার সিকিউরিটি এ্যাক্ট বিল পাশ দেশের একটি নিকৃষ্ট কালো আইন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। পূর্বের ডিজিটাল এ্যাক্টের চেয়েও সাইবার আইনে জরিমানার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার ও তল্লাশী এই আইনকে বিরুদ্ধমত দমনে এক বিপজ্জনক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হবে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বিতর্কিত ধারাগুলো সাইবার নিরাপত্তা বিলে প্রায় সব একইভাবে রাখা হয়েছে। এটি নতুন বোতলে পুরাতন মদ। এই বিলটি পাশের সাথে সাথে মানুষের মনে গভীর উদ্বেগ রয়েই গেল।

৪২ ধারায় বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি ও গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে পুলিশকে। এ ছাড়া ডিজিটাল মাধ্যম থেকে তথ্য উপাত্ত অপসারণ ও ব্লক করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। সুতরাং এই আইনের অপপ্রয়োগ হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। এটির অপপ্রয়োগ এর সাজা সর্বোচ্চ ৫ বছরের কারাদণ্ড বা এক কোটি টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড। মূলত ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর লুন্ঠন, সম্পদ পাচার ও নিপীড়ণ—নির্যাতন আড়াল করার জন্যই এই কালো আইন করা হয়েছে।

বিলে বলা হয়েছে, ‘কোনো ওয়েবসাইট বা ইলেকট্রনিক বিন্যাসে মানহানিকর তথ্য প্রচার করলে তা হবে অপরাধ। এর সাজা হবে সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা জরিমানা। কোনো ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইট বা ডিজিটাল মাধ্যমে কিছু প্রকাশ করেন যা বিভিন্ন শ্রেণি বা স¤প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা, ঘৃণা, বিদ্বেষ সৃষ্টি বা সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতি নষ্ট করে বা অস্থিরতা বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে বা আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটায় বা ঘটানোর উপক্রম হয়, তা হবে অপরাধ। এর সাজা হবে সর্বোচ্চ ৫ বছরের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড।’

এই আইন বিরোধী দল ও মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে বিকৃত ব্যবহার হতে পারে। যে কোন মুক্তচিন্তা ও সত্য প্রকাশের জন্য প্রতিটি নাগরিককে অন্তত ২৫ লাখ টাকা মজুদ এবং গ্রেফতার, হয়রানী ও কারাদন্ডের ঝুঁকি নিতে হবে।

সত্য প্রকাশের দায়ে প্রতি মুহুর্তে প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন গণমাধ্যমকে কেবলমাত্র নিষেধাজ্ঞার খড়গের নিচেই থাকতে হবে না পাশাপাশি সাধারণ মানুষও নানাভাবে হয়রানী ও জুলুমের শিকার হবে। গণতন্ত্রকে আরও বেশী সংকুচিত করার জন্যই এই আইন পাশ করা হয়েছে। ম্যান্ডেটবিহীন আওয়ামী সরকার গোটা জাতিকে বোবা বানানোর জন্যই একের পর এক গণবিরোধী কালো আইন প্রণয়ন করছে। নির্বাচনের প্রাক্কালে সাইবার সিকিউরিটি এ্যাক্টের ন্যায় কন্ঠরোধের এই আইন ব্যাপকভাবে গণতন্ত্রকামী মানুষের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হবে। অবৈধ সরকার ব্যাপক গণআন্দোলন গড়ে ওঠার শঙ্কায় নিজের অস্তিত্ব রক্ষার জন্যই সাইবার সিকিউরিটি এ্যাক্টের ন্যায় জুলুমের আইন তৈরী করেছে। আমি এই কালো আইন এর বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানোসহ অবিলম্বে তা প্রত্যাহারের আহবান জানাচ্ছি।”

বার্তা প্রেরক

(মোঃ তাইফুল ইসলাম টিপু)

সহ—দফতর সম্পাদক

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপি।

রিলেটেড প্রোগ্রাম এবং প্রেস রিলিজ

আরো দেখুন