image

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকারকে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।


চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ। ডাক্তাররা বলেছেন, তার শারীরিক অবস্থা ভালো নয়—তার বাংলাদেশে আর চিকিৎসা নেই—তাকে বিদেশে না নেয়া গেলে বাঁচানো দুষ্কর হতে পারে।


বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে আয়োজিত নয়াপল্টনে সমাবেশে মির্জা ফখরুল রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) এ কথা বলেন।


বাংলাদেশিদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, 'শুধু আমেরিকা নয়, দেশের জনগণও আপনাদের স্যাংশন দিচ্ছে। তাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন।'

 

মির্জা ফখরুল বলেন, 'ভিসা নিষেধাজ্ঞা আওয়ামী লীগের গায়ে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। বাইডেনের সাথে সপরিবারে ছবি তুলে খুব দেখেছিল। বলেছিলেন আর আমেরিকা যাবেন না, অথচ তিনি [প্রধানমন্ত্রী] আমেরিকা থাকা অবস্থায় ভিসা নীতি কার্যকর করা হলো। ভিসানীতি বাংলাদেশের মতো একটা স্বাধীন সার্বভৌম দেশের জন্য অপমানজনক। আওয়ামী লীগের জন্য তা-ও আমাদের দেখতে হলো।


সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, আদালতে সাজাপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের নেতারা বিদেশে চিকিৎসা করতে পারলে খালেদা জিয়া কেন পারবেন না? আদালতের বিচারকদের একদিন এর হিসাব দিতে হবে। আদালতও খালেদা জিয়ার সাথে ন্যায়বিচার করছে না, নির্দয় ব্যবহার করছে।


খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না উল্লেখ করে গয়েশ্বর আরও বলেন, বিএনপির আন্দোলন 'ডু অর ডাই'। 'এখন আমাদের সামনে যেতে হবে, প্রয়োজনে গুলি খেতে খেতেই সামনে যেতে হবে।'


বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীও ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খালেদা জিয়ার জন্য বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে বলে আল্টিমেটাম দিয়েছেন। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া সারাজীবন কারো সাথে আপস করেননি, এবারও আপনাদের (সরকারের) সাথে আপস করবেন না। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন, অন্যথায় আপনাদের কোনো রক্ষা নাই।

 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে এই সরকার ভয় পায়, কারণ তিনি গণতন্ত্রের কথা বলেন। তাই তাকে ধ্বংস করে আওয়ামী লীগ আজীবন ক্ষমতায় থাকতে চায়।

 

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, এখন তো শেখ হাসিনার কথায় প্রমাণিত হলো যে তার ছেলের বিশাল সম্পদ বিদেশের মাটিতে। এগুলো যদি খাঁটি টাকা হয়, তাহলে বাজেয়াপ্ত হওয়ার ভয় কীসের?


এর আগে বিকেলে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে নির্ধারিত সমাবেশে যোগ দিতে ঢাকার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন বিএনপির নেতাকর্মীরা।


দিনভর নয়াপল্টন ও এর আশপাশের এলাকাগুলোতে বিএনপি নেতাকর্মীদের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি দেখা গেছে। রাজধানী থেকে বিভিন্ন দল সমাবেশে যোগ দেয় করে, স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে চারপাশ।