বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বিএনপির সকল রাজনৈতিক ক্ষমতার উৎস্য জনগণ। জনভিত্তি থাকলে ক্ষমতায় থাকার জন্য অন্য কারো করুনা ভিক্ষার প্রয়োজন নেই। বাংলাদেশ কারো দয়ার দান নয়। একটি রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধারা বাংলাদেশ স্বাধীন করেছিলেন। সুতরাং, বাংলাদেশের এক ইঞ্চি ভূমি কিংবা দেশের স্বার্থের বিনিময়ে বিএনপি কখনোই কারো সঙ্গে আপোষ করবে না। একইভাবে স্বাধীন বাংলাদেশের এক ইঞ্চি জমিও বিএনপি সরকার অন্য কোনো দেশের স্বার্থে ব্যবহৃত হতে দেবে না।
রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সশস্ত্রবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগদান অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালী যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তারেক রহমান এসব কথা বলেন।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিএনপিতে যোগদান করা সশস্ত্রবাহিনীর ২৫ কর্মকর্তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সশস্ত্রবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তাদের দলে স্বাগত জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, 'মাফিয়া সরকারের বিরুদ্ধে চলমান এই আন্দোলন পরিস্থিতিতে বিএনপিতে আপনাদের এই যোগদান গণতন্ত্রকামী জনগণের কাছে ইতিবাচক বার্তা পৌঁছে দেবে। অদূর ভবিষ্যতে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার চলমান আন্দোলনে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ আরো যারা সক্রিয় হতে চান কিংবা সক্রিয় ভূমিকা রাখতে চান, বাংলাদেশের পক্ষের শক্তি তথা দেশপ্রেমিক জাতীয়তাবাদী শক্তি তাদেরকেও স্বাগত জানায়। শুভেচ্ছা জানায়'।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় রেখে দেশের কোনো সংকটেরই সমাধান সম্ভব নয়। মাফিয়া সরকারের কবল থেকে দেশ উদ্ধার করে জনগণের বাংলাদেশ জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। কারণ, একটি নিরাপদ গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে বিএনপির অঙ্গীকার।
তারেক রহমান বলেন, দেশে চলমান যে আন্দোলন এটি শুধুমাত্র বিএনপির রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যাওয়ার আন্দোলন নয়। এ আন্দোলন দেশ এবং জনগণের স্বাধীনতা রক্ষার আন্দোলন। দেশে মুক্তিযুদ্ধের মূলমন্ত্র সাম্য-মানবিক মর্যাদা ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন, দেশে গণতন্ত্র-মানবাধিকার-ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, মাফিয়া সরকারের অপশাসন থেকে মুক্তিকামী জনগনের এই মুহূর্তে 'দফা এক দাবি এক -শেখ হাসিনার পদত্যাগ' দাবি আদায়ে আর সময়ক্ষেপনের সুযোগ নেই। শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় রেখে, বর্তমান অবৈধ সরকার, সংসদ এবং মেরুদন্ডহীন নির্বাচন কমিশন বহাল রেখে জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হতে পারে না। নির্বাচন হতে হবে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে।
বিএনপিতে যোগ দেওয়া সশস্ত্রবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তারেক রহমান বলেন, বর্তমানে দেশ এক গভীর সংকটকাল অতিক্রম করছে। মাফিয়া চক্রের কবলে পড়ে দেশ এবং জনগণের স্বাধীনতা বিপন্ন। এমন পরিস্থিতিতে গণতন্ত্রকামী সচেতন দেশপ্রেমিক মানুষদের সক্রিয় হওয়ার বিকল্প নেই।
তারেক রহমান আরও বলেন, এর আগেও বাংলাদেশ অনেকবার এ ধরণের সংকটকাল অতিক্রম করেছে। তবে বারবার দেশপ্রেমিক জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়ে সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিয়েছে। ৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহী জনতার ঐক্যবদ্ধ বিপ্লব এর বড় প্রমাণ।
তিনি বলেন, দেশকে তাবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করতে, ৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের পরাজিত অপশক্তির ষড়যন্ত্র কখনোই থেমে ছিল না। সেই সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই, দেশে-বিদেশে বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী শক্তির ইমেজ বিনষ্ট করতে ২০০৪ সালের ২১ আগষ্টের নির্মম ঘটনাটি ঘটানো হয়েছিল। সুতরাং, ২১ আগস্ট কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট এবং ২০০৭ সালের তথাকথিত 'ওয়ান ইলেভেন' একইসূত্রে গাঁথা। ২১ আগস্ট ছিল একটি কথিত ওয়ান ইলেভেন তৈরির প্রাক মহড়া। কথিত 'ওয়ান ইলেভেনের' ষড়যন্ত্রের পথ ধরেই ৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের পরাজিত অপশক্তি রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে। রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে দেশের স্বার্থবিরোধী অপশক্তি প্রথমেই দেশের সাহস ও সম্মানের প্রতীক সেনাবাহিনীর উপর আঘাত হানে।
তারেক রহমান বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে অপশক্তি ক্ষমতা দখলের মাস দুয়েকের মধ্যেই বিডিআর বিদ্রোহের নামে ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পিলখানায় সুপরিকল্পিতভাবে নির্মম সেনা হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়। এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি বাংলাদেশ।
বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, দেশপ্রেমিক জনগণ মনে করে খোদ রাজধানীতে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাকে নির্মমভাবে হত্যার দিনটি প্রতিবছর 'জাতীয় শোক দিবস' হিসেবে পালিত হওয়া উচিত। অথচ বাংলাদেশকে আজ এতটাই অসহায় করে ফেলা হয়েছে সেনা হত্যাযজ্ঞের কালো দিনটিকে খোদ সেনাবাহিনীও মনে হয় যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে স্মরণ করার সাহস হারিয়ে ফেলেছে।
তারেক রহমান বলেন, একটি দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও সংহতি রক্ষার জন্য শক্তিশালী সেনাবাহিনীর পাশাপাশি জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন-ও অপরিহার্য। কিন্তু ফ্যাসিস্ট হাসিনা জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের অন্যতম প্রধান অস্ত্র নাগরিকদের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। গণতন্ত্রকামী জনগণের পেছনে, হেলমেট বাহিনী, চাপাতি লীগ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ইউনিফর্ম পরিয়ে একদল সন্ত্রাসীকে লেলিয়ে দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্রকামী জনগনকে ক্ষমতাহীন রেখে অস্ত্রের জোরে ফ্যাসিস্ট হাসিনা তার অপশাসনের সময়কাল বাড়িয়েছে বটে কিন্তু বাংলাদেশ হারিয়েছে গৌরব ও আত্মমর্যাদা। জনগণ হারিয়েছে স্বাধীনতা-সম্মান-মানবাধিকার-ভোটের অধিকার। নিজ দেশেই জনগণ যেন আজ পরাধীন। হুমকির মুখে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব।
বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ব্যাপারে তারেক রহমান বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনার ক্ষমতালিপ্সা আর অপরিণামদর্শিতার কারণেই বাংলাদেশের ভূখন্ডে এক বড় সংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী 'মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা'র মতো আরো একটি নতুন সংকট হিসেবে আবির্ভুত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, 'বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাসনামলে,এমনকি 'মাদার অফ ডেমোক্রেসি' বেগম খালেদা জিয়ার শাসনামলেও মিয়ানমারের তৎকালীন শাসকশ্রেণী রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানোর অপচেষ্টা চালিয়েছিল। কিন্তু শহীদ জিয়া এবং বেগম খালেদা জিয়ার দৃঢ়চেতা এবং সাহসী পদক্ষেপের ফলে সেই সময় মিয়ানমার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠাতে ব্যর্থ হয়েছিল।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা বর্তমানে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। শুধু রোহিঙ্গা সংকটই নয় প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই ফ্যাসিস্ট হাসিনা বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষায় ব্যর্থ হচ্ছে।
তারেক রহমান আরো বলেন, মাফিয়া সরকার কেন বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষায় ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে এ জন্য অন্য কোনো দেশকে দায়ী করে ফ্যাসিস্ট হাসিনার ব্যর্থতা আড়ালের আগে বরং এর নেপথ্য কারণ খুঁজে বের করা এখন সময়ের দাবি। কি কারণে মিয়ানমার লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানোর সাহস করেছে সেটিও খতিয়ে দেখা জরুরি।
তারেক রহমান বলেন, দেশের জনগণ মনে করে অবৈধ ক্ষমতালিপ্সা মেটাতে ফ্যাসিস্ট হাসিনা বাংলাদেশকে প্রায় অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করে দিয়েছে। সুপরিকল্পিতভাবে সেনা হত্যাযজ্ঞের মাধ্যমে সশস্ত্র বাহিনীর মনোবল ভেঙে দিয়েছে। দেশের বিচার বিভাগ, দুদক, নির্বাচন কমিশনসহ প্রতিটি সাংবিধানিক ও বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানকে লুটেরা মাফিয়া চক্রের কাছে জিম্মি করে রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রের সকল শক্তিগুলোকে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তায় নিয়োজিত না করে নিজ দেশের গণতন্ত্রকামী জনগণের পেছনে নিয়োজিত করে রাখা হয়েছে। গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে জনগণকে ক্ষমতাহীন করে রাখা হয়েছে।
তারেক রহমান বলেন, ক্ষমতার প্রতি ফ্যাসিস্ট হাসিনার সর্বনাশা লালসা গণতন্ত্রকামী বিশ্ব থেকে বাংলাদেশকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে। ফলে, বাংলাদেশের স্বার্থ বিরোধী অপশক্তি বাংলাদেশকে দুর্বল করে রাখার এমন সুযোগটি কাজে লাগিয়েছে।
তারেক রহমান বলেন, দেশের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য জনগণের ভোটে নির্বাচিত নেতৃত্ব অপরিহার্য। বাচালতা করে কিংবা রাষ্ট্রের শত কোটি টাকা খরচ করে বিদেশ সফরে গিয়ে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে ছবি তোলার সুযোগ পেলেই নেতৃত্ব, ব্যক্তিত্ব প্রতিষ্ঠা করা যায় না। নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজন নিজ দেশের স্বার্থরক্ষায় বিশ্বস্ত ও অবিচল থাকা, নিজ দেশের জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ থাকা। নিজ দেশের জনগণের কাছে জবাবদিহিতা থাকা।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, ক্ষমতায় থাকার জন্য প্রকাশ্যেই অন্য দেশের করুণা ভিক্ষা করে নিশিরাতের সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল মোমেন প্রমাণ করেছেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্ব অন্য দেশের করুণা নির্ভর। সুতরাং, মিয়ানমার হোক কিংবা অন্য যে কোনো দেশই হোক কারো কাছ থেকেই ক্ষমতালোভী ফ্যাসিস্ট হাসিনার পক্ষে বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষা সম্ভব নয়। ভারতের আদানির সঙ্গে ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিদ্যুৎ চুক্তিটিও সম্পূর্ণ বাংলাদেশের স্বার্থ বিরোধী।
তারেক রহমান বলেন, জনগণের রায়ে ক্ষমতায় গিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি বিভিন্ন মেয়াদে একাধিকবার রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেয়েছে। বিএনপি বিশ্বাস করে বিদেশী কিংবা প্রতিবেশী রাষ্ট্রসমূহের সঙ্গে স্বামী-স্ত্রী কিংবা প্রভু-ভৃত্য সম্পর্ক নয়, সম্পর্ক হতে হবে সম্মান, মর্যাদা এবং পারস্পরিক জাতীয় স্বার্থ রক্ষার ভিত্তিতে বন্ধুত্বপূর্ণ।
তারেক রহমান ২০১৮ সালে ভারতকে উদ্দেশ্য করে ফ্যাসিস্ট হাসিনার একটি মন্তব্য তুলে ধরে বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা নিজেই মন্তব্য করে বলেছে 'ভারতকে যা দিয়েছি তারা আজীবন মনে রাখবে' । তার এ ধরণের মন্তব্যে বাংলাদেশের জনগণের মনে অবশ্যই প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক, বিনিময়ে তাহলে ভারতের কাছ থেকে বাংলাদেশ কি পেয়েছে? বাংলাদেশের প্রাপ্তির তালিকা কোথায়? জনগণ জানতে চায়, বিনিময়ে ভারত কি তাহলে ভোট ডাকাত হাসিনাকে বাংলাদেশের জনগণের কাঁধে চাপিয়ে দিয়েছে?
তারেক রহমান বলেন, ১২ কোটি ভোটারের লুন্ঠিত ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার চলমান আন্দোলনকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিতে ধারাবাহিকভাবে আরো কর্মসূচী আসছে। দাবি আদায়ে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে সকল কর্মসূচি সফল করতে বাংলাদেশের পক্ষের শক্তি গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তির কাছে আহবান জানাই। অচিরেই জনগণের বিজয় হবেই ইনশাআল্লাহ।
উল্লেখ্য, বিএনপিতে যোগদানকারী ২৫ কর্মকর্তার মধ্যে সেনাবাহিনীর সাবেক ১৯ জন, নৌবাহিনীর সাবেক দু'জন এবং বিমানবাহিনীর সাবেক চারজন কর্মকর্তা রয়েছেন। সেনাবাহিনীর সাবেক ১৯ কর্মকর্তা হলেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) জহুর, কর্নেল (অব.) আব্দুল হক, লে. কর্নেল (অব.) আইয়ুব, লে. কর্নেল (অব.) হাসিনুর রহমান, লে. কর্নেল (অব.) নওরোজ, লে. কর্নেল (অব.) মুস্তফিজ, লে. কর্নেল (অব.) সাঈদ আলম, লে. কর্নেল (অব.) রাশেদ, মেজর (অব.) আজিজ রানা, মেজর (অব.) কোরবান আলী,মেজর (অব.) জাকিউল,মেজর (অব.) আফাজ, মেজর (অব.) মোরতাজা, মেজর (অব.) ছাব্বির, মেজর (অব.) তানভীর, মেজর (অব.) আল আমিন, মেজর (অব.) মনিরুজ্জামান, ক্যাপ্টেন (অব.) গনিউল আজম এবং লে. (অব.) ইমরান।
নৌবাহিনীর সাবেক দুই কর্মকর্তা হলেন, রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মুস্তাফিজুর রহমান ও কমোডর (অব.) মোস্তফা সহিদ।
বিমানবাহিনীর সাবেক চার কর্মকর্তা হলেন, এয়ার কমোডর (অব.) শফিক, এয়ার কমোডর (অব.) শাহ শাহে আলম, স্কোয়াড্রন লিডার (অব.) আকতার হাফিজ খান, স্কোয়াড্রন লিডার (অব.) শফিকুল ইসলাম।
সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক এই কর্মকর্তাদের বিএনপিতে যোগদান অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও বেগম সেলিমা রহমান। এ ছাড়া দলের ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) ফখরুল আজম ও মেজর জেনারেল (অব.) ফজলে এলাহি আকবরও উপস্থিত ছিলেন।