মঙ্গলবার (৪ জুলাই, ২০২৩) রাজধানী ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির মধ্যে বৈঠকের পর দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেছেন, নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া বিএনপি কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ইইউ এবং বিএনপি’র মধ্যে দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং বিরোধী দলগুলোর অবস্থান নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
জনাব আলমগীর সাংবাদিকদের জানান, আগামী সপ্তাহে ইইউ বাংলাদেশে একটি পর্যবেক্ষণ দল পাঠাবে।
ইইউ রাষ্ট্রদূত ও তার দলের সদস্যদের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, “তারা বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের সঙ্গে বসে আলোচনা করবে।”
তিনি বলেন, “তারা (ইইউ) বলেছে যে তারা বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে চায়।”
মির্জা আলমগীর আরও জানান, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বাংলাদেশে একটি অনুকূল রাজনৈতিক পরিবেশ বিরাজ করছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে ইইউ পর্যবেক্ষক দল আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশে আসবে।
তাদের প্রতিক্রিয়া কী জানতে চাইলে বিএনপি নেতা বলেন, “এ সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেওয়া সম্ভব কি না তারা সেটা জানতে চেয়েছিল। আমরা তাদের বলেছি, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন কখনোই সম্ভব নয়।”.
ইইউ রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন কি না জানতে চাইলে মির্জা আলমগীর বলেন, “তারা (ইইউ) বাংলাদেশে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘন সম্পর্কে অবগত। তবে আমরা বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করিনি।”
তারা কোনো সংলাপের জন্য জোর দিয়েছেন কি না জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “না, আমরা কোনো সংলাপ নিয়ে আলোচনা করিনি। আগের দুটি সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে এই সরকার প্রমাণ করেছে যে তাদের অধীনে আগামী নির্বাচন কখনোই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে না।” তিরি আরও বলেন, “সুতরাং, আমরা নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচনে অংশ নেব না।”
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বিএনপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) একটি প্রতিনিধি দল।
বিকাল ৩টায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হুইটলি, ইইউ ডিসিএম স্প্যানিয়ার ব্র্যান্ড এবং রাজনৈতিক কর্মকর্তা সেবাস্তিয়ান উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে বিএনপির পক্ষে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ উপস্থিত ছিলেন।