ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার ‘নিরাপদ প্রস্থান’চাইলে একটি মাত্র পথ খোলা আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে স্বাধীনতা ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪২তম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
সরকারের উদ্দেশ্যে গয়েশ্বর রায় বলেন, ‘এই সরকারকে যেতে হবে। এই সরকার নিরাপদে প্রস্থান করতে চাইলে একটি মাত্র পথ খোলা আছে। তা হলো জনগণের মালিকানা জনগণের হাতে ফেরত দিতে হবে, তাদের ভোটাধিকার ফেরত দিতে হবে, জনগণের ১০ দফা মেনে নিতে হবে।’
সংলাপ প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সরকারের মন্ত্রী-এমপি এবং তাদের নেতারা সংলাপ সংলাপ করছে। সংলাপ হতে পারে। কিন্তু তার আগে ১০ দফা মেনে নিতে হবে। এরপর নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে সংলাপ হতে পারে।’
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘গত ২৪ মে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্য ভিসানীতি ঘোষণা করেছে। এরপর ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে নানা বক্তব্য গণমাধ্যমে আসছে। গত ১০ মে জামায়াতের সমাবেশের অনুমতি দেওয়া নিয়ে নানা আলোচনা হচ্ছে। আসলে ভিসানীতির কারণে সরকার জামায়াতকে সমাবেশ করার অনুমতি দিতে বাধ্য হয়েছে।’
চলমান আন্দোলন প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘আমরা শুধু অধিকার আদায়ের জন্য লড়াই করছি না। এই লড়াই আমাদের অস্তিত্বের লড়াই। বাংলাদেশের অস্তিত্বের প্রশ্নে আমরা কোনোদিন আপোষ করব না।’
বাংলাদেশ ডাকাতের খপ্পরে পড়েছে মন্তব্য করে আলাল বলেন, ‘বাংলাদেশকে এই ডাকাতের খপ্পর থেকে রক্ষা করতে হলে শুধু জামায়াত ইসলাম কেন রাজপথে যারা থাকবে, আমরা মনে করব তারা ন্যায়ের পথে এবং সংগ্রামের পথে আছে। কিছুদিন আগেও আমরা সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রীর মুখে শুনেছি জামায়াত নিষিদ্ধ। সে অবস্থার মধ্যে জামায়াতের সঙ্গে এমন কি হলো যে তাদেরকে কর্মসূচি পালন করতে দেওয়া হল। যাই হোক আমরা এতে খুশি, কারণ ডাকাত তাড়াতে যারাই আমাদের সঙ্গে থাকবে তারাই আমাদের বন্ধু। হোক সেটা জামায়াত, হোক সেটা কমিউনিস্ট বা অন্য কোনো দল। আর জামায়াত লড়াই করছে তাদের অধিকারের জন্য।’
স্বাধীনতা ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনিরের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতা আবু নাসের মো. রহমতুল্লাহ প্রমুখ ।