image

১৫ জেলায় জিয়া স্মৃতি পাঠাগার খুলেছে বিএনপি। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল বিকেলে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের জিয়া স্মৃতি পাঠাগার থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি এসব পাঠাগারের উদ্বোধন করেন। এগুলো হচ্ছে- চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, মুন্সীগঞ্জ, কক্সবাজার, ঠাকুরগাঁও, মানিকগঞ্জ, ঝিনাইদহ, খাগড়াছড়ি, জয়পুরহাট, যশোর, রাজবাড়ীতে দলের কার্যালয়ের ভেতরে।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জিয়া স্মৃতি পাঠাগার এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তারেক রহমান বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি ঐতিহাসিক ঘটনা এবং স্বাধীনতার ঘোষক জিয়া যেন একটি অবিচ্ছেদ্য নাম। । স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ জিয়াকে জানতে হলে কারো সাথে তাঁকে তুলনা করার দরকার নেই । ইতিহাসের পাতায় জনগণের হৃদয়ে বেঁচে আছেন বেঁচে থাকবেন তাঁর সকল কর্মের মাধ্যমে।

তিনি আরো বলেন, রক্তক্ষয় মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন এবং সন্ত্রাস কবলিত গণতন্ত্রকে অরাজক পরিস্থিতির থেকে বের করে এনে বিশ্ব দরবারে একটি আধুনিক বাংলাদেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে শহীদ জিয়ার অবদানের কথা প্রজন্মের পর প্রজন্ম পরিচয় করিয়ে দিতে পাঠাগার হলো উত্তম বিকল্প ব্যবস্থা ।

আদালতকে ব্যবহার করে অথবা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নির্যাতনের ভয় দেখিয়ে কিংবা অর্থ বৃত্তের লোভ দেখিয়ে মিথ্যচারের মাধ্যেমে ইতিহাস কখনো রচনা করা যায় না। ইতিহাস সবসময় উদ্ভাসিত হয়ে উঠে তার আপন আলোয়। সুতারং হুমকি ধমকি কিংবা মিথ্যাচারের পরিবর্তে সর্বস্তরের মানুষের সামনে জ্ঞানের দ্বার উন্মোচনে জিয়া স্মৃতি পাঠাগার অবশ্যয় একটি ইতিবাচক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে উপস্থাপিত হয়েছে বলে মনে করেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমনা। 


বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ সময় বলেন, সবাইকে বই পড়তে হবে। শুধু সাজালে চলবে না, বইগুলো রেখে দিলে চলবে না। বইগুলো যেন পড়া হয় তার ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, বর্তমান সরকার পাঠাগার ধ্বংস করেছে। আগে প্রত্যেকটা জেলায় সরকারিভাবে পাঠাগার নির্মাণ করা হতো এবং সেখানে বরাদ্দ দেয়া হতো, প্রচুর বইপত্র দেয়া হতো। জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র একটা আছে সেই গ্রন্থকেন্দ্র থেকে বইপত্রগুলো সেখানে (বিভিন্ন পাঠাগারে) পাঠানো হতো প্রতি বছর। এখন সব বন্ধ হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, পাঠাগারের আন্দোলনই এখন নেই। এই আন্দোলনটা আমাদের তৈরি করতে হবে। আজকে ১৫টা জেলায় পাঠাগার উদ্বোধন করা হয়েছে, এটাকে আন্দোলনে পরিণত করতে হবে। সবাই এই কাজ করে না, যারা করে তাদেরকে উৎসাহিত করতে হবে। সবকিছুকে রাজনীতিকীকরণ করার প্রয়োজন নেই। রাজনীতিকে সমৃদ্ধ করার জন্য অবশ্যই সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়ে আমরা যেন প্রতিটি জেলায় অন্তত একটা পাঠাগার নির্মাণ করতে পারি সেই প্রচেষ্টা আমাদের নিতে হবে। আমি গর্বের সাথে বলতে পারি, বিএনপি সেই দল যে জেলায় জেলায় পাঠাগার গড়ে তুলছে। এ সময় জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের সভাপতি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালামের সভাপতিত্বে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ অনলাইনে যুক্ত থেকে ১৫টি জেলার নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, যুবদলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের এস এম জিলানী, কৃষক দলের শহিদুল ইসলাম বাবুল, ছাত্রদলের সাইফ মাহমুদ জুযেল, জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক জহির দীপ্তি উপস্থিত ছিলেন।