বিএনপি’র স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা: রফিকুল ইসলাম এর বিবৃতি
ডাক্তার ও চিকিৎসা দেয়া কর্মচারী-কর্মকর্তাদের উপর হামলা হওয়া একটা নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপারে পরিনত হয়েছে। ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের পর রুটিন করে হাসপাতালে হামলা হচ্ছে৷ তারই ধারাবাহিকতায় শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হামলার ঘটনা ঘটলো গত ২৭ সেপ্টেম্বর। একজন শিশু মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিশু বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার সাইফা মোহসেনা প্রিমা কে শারিরীক ভাবে লাঞ্চিত করেন রোগীর স্বজনরা৷ একই সময় ইন্টার্ন চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য সংশ্লিষ্টরাও লাঞ্চিত হন ও রোগীর স্বজনদের তান্ডবে এক ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। একজন নারী চিকিৎসককে এভাবে শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত করার ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক ও অমানবিক।
কোনো রোগীর মৃত্যুই কাম্য নয় এবং একজন চিকিৎসক তার সর্বোচ্চ দিয়ে রোগীকে বাঁচানোর চেষ্টা করে তারপরও এরকম ঘটনা বারবার ঘটে যাচ্ছে যা গভীর উদ্বেগের। বারবার দাবী ও আন্দোলনের পরও চিকিৎসক ও হাসপাতালে নিরাপত্তা বিধানে ব্যর্থ হচ্ছে সংশ্লিষ্টরা। এর দায়ভার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে।
এমতাবস্থায় অবিলম্বে চিকিৎসক ও চিকিৎসার সাথে জড়িত সবার নিরাপত্তার দাবী জানাচ্ছি এবং যারা এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার সাথে জড়িত তাদের গ্রেফতারের দাবী জানাই।
অতিসত্তর বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে ও স্বাস্থ্য বিভাগের সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের অংশগ্রহণে রোগী ও চিকিৎসা বান্ধব স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন ও তার যথাযথ প্রয়োগের জন্য সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।