২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র
জাতীয় স্থায়ী কমিটির ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ এ অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্ত সমূহ
গত ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখ, সোমবার, রাত ৮.৩০ টায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র জাতীয় স্থায়ী কমিটির গুলশান কার্যালয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান। সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য যথাক্রমে-
১. ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন
২. ব্যরিষ্টার জমির উদ্দিন সরকার
৩. মির্জা আব্বাস
৪. বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়
৫. ড. আব্দুল মঈন খান
৬. জনাব নজরুল ইসলাম খান
৭. মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
৮. জনাব আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী
৯. জনাব সালাহ উদ্দিন আহমেদ
১০. বেগম সেলিমা রহমান
১১. জনাব ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু
১২. মেজর (অব:) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, বীর বিক্রম
১৩. অধ্যাপক ডা: এ জেড এম জাহিদ হোসেন
সভায় আলোচ্য বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা শেষে নিম্নে বর্ণিত সিদ্ধান্ত সমূহ গৃহীত হয়।
১। সভায়, বিগত ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে অনুষ্ঠিত সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত সমূহের বাস্তবায়নের অগ্রগতি সম্পর্কে মহাসচিব সভাকে অবহিত করেন।
২। সভায়, পার্বত্য জেলা গুলোতে উদ্ভুত সংঘাত এর ঘটনা গুলোতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। সভা মনে করে ফ্যাসিষ্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অস্থিতিশীল করার সুদূর প্রসারী চক্রান্তের অংশ হিসাবে এই ধরনের সংঘাতের সৃষ্টি করা হচ্ছে। যা সম্পূর্ণ রূপে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। এই ঘটনা দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্তের প্রতি হুমকি স্বরূপ। এই ঘটনা গুলো হালকা করে দেখার কোন সুযোগ নেই। সভা মনে, করে পার্বত্য জেলা গুলোতে শান্তি স্থাপনের জন্য দেশের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দল, পার্বত্য জেলায় সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দ এবং সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের একটি জাতীয় কনভেনশন আহŸান করা জরুরী। সভায়, এই লক্ষে পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য সরকারের প্রতি আহŸান জানানো হয়।
৩। সভায়, পতিত ফ্যাসীবাদ ক্ষমতায় ফিরে আসার জন্য পরিকল্পিতভাবে দেশের বিভিন্ন জায়গায় মাজারে হামলা, ভাংচুর ও ‘মবলিংচিং’ এর মত ঘটনা ঘটিয়ে শিল্পাঞ্চল, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। দেশকে নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে। সভা মনে করে, এ বিষয়ে সরকারের উদ্যোগে সকল গণ-মাধ্যমে জন সচেতনতা সৃষ্টি করা এবং সকল দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল গুলোর প্রচার প্রচারণা বাড়ানো প্রয়োজন। সভা, এই সব সমাজ বিরোধী এবং ঐক্য বিনাসী কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা জানায় এবং অবিলম্বে দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা জরুরী।
৪। সভায়, সম্প্রতি ‘বাংলাদেশী অনু প্রবেশকারীদের উল্টো করে ঝুলিয়ে সোজা করা হবে’ বলে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ যে, হুমকি দিয়েছেন তার তীব্র নিন্দা করা হয় এবং দুই দেশের জনগণের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখার জন্য অন্তরায় হিসাবে কাজ করার বিষয় ভারতীয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও নেতৃবৃন্দকে এই ধরনের মন্তব্য থেকে বিরত থাকার আহŸান জানানো হয়। ইতি মধ্যে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এই ধরনের মন্তব্যে কঠোর সমালোচনা এবং বিরত থাকার আহŸান জানানোয় সন্তোষ প্রকাশ করা হয়।
৫। সভায়, ফ্যাসিষ্ট হাসিনা সরকারের আমলে গঠিত ইউনিয়ন পরিষদ বাতিল করার আহ্বান জানানো হয়। সভা প্রহসনের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদ গঠন করে পতিত সরকারের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ বহাল রেখে অবাধ সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না।
৬। সভা শেষে সভাপতি সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে সভা মুলতবী করেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মহাসচিব
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি