প্রেস বিজ্ঞপ্তি
তারিখ : ২৫ জুলাই ২০২৪
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এর সংশোধিত বিবৃতি
চাকুরী ক্ষেত্রে বৈষম্য বিরোধী কোটা সংস্কারের দাবিতে দেশের আপামর শিক্ষার্থীদের যুক্তিসঙ্গত আন্দোলনকে ঘিরে দেশব্যাপী বিএনপিসহ বিরোধী দল ও মতের মানুষদেরকে এখনও নির্বিচারে গ্রেফতার করা হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ রফিকুল ইসলাম, যুব বিষয়ক সহ-সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী, নির্বাহী কমিটির সদস্য সৈয়দ জাহাঙ্গীর হোসেন, তারিকুল ইসলাম তেনজিং, সাবেক যুবনেতা এস এম জাহাঙ্গীর, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা সাদ মোর্শেদ হোসেন পাপ্পা শিকদার এবং বিএনপি'র ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু'র ছেলে (যিনি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন) সানিয়াত ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিবের ভাই বিপুল হোসেন, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান ব্যারিষ্টার আন্দালিব রহমান পার্থসহ অসংখ্য নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী । শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত কয়েক দিন যাবত বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর নেতা-কর্মীদের অব্যাহত গতিতে গ্রেফতারের অমানবিক ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসকে আড়াল করতে এবং উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর অপকৌশল হিসেবে বিএনপি'র নির্দোষ নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার কিংবা নেতা- কর্মীদেরকে বাসায় না পেয়ে তাদের সন্তান অথবা বাসার সদস্যদের গ্রেফতার ও অশালীন আচরণ সহ বাড়ির আসবাবপত্র ভাংচুর করা হচ্ছে। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার মিথ্যা অভিযোগে ঢালাওভাবে বিএনপি ও বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর সরকার এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কতিপয় সদস্য দোষারোপ করছে। যদি তাই হয়, তাহলে তাদেরকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করা হয়নি কেন? এটাই জনগণের প্রশ্ন। এতে প্রমাণিত হয় যে, বিএনপি কিংবা বিরোধী দলের কেউই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত নয়। শত শত নিরীহ ছাত্র-ছাত্রীদেরকে সরকারী দলের সন্ত্রাসী ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা হতাহত করলো অথচ সরকারের ইশারায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি শুধুমাত্র ছয় জনের হত্যাকাণ্ড তদন্ত করবে, যা সুকৌশলে পুরো হত্যাকাণ্ডকে ধামাচাপা দেয়ারই নামান্তর। তাই জনগণ পুরো ঘটনা ও হত্যাকাণ্ড নিয়ে আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি করে। নইলে ব্যর্থতার সকল দায় নিয়ে অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ করা উচিৎ বলে জনগণ মনে করে ।
সরকার তার নিজস্ব বাহিনী দিয়ে রাষ্ট্রীয় স্থাপনাগুলো ক্ষতি সাধন করে দুর্নীতির পথ প্রশস্থ করেছে এবং জনগণ ও বিশ্ববাসীর নিকট বিএনপিসহ বিরোধী দল সমূহকে হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। বিএনপি ও বিরোধী মতের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করে তাদের নির্যাতনের পথ তৈরী হয়েছে যা প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য থেকে বোঝা যায়।
নিহত পুলিশ ও আনসার সদস্যদের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক ২ লক্ষ টাকা নগদ ও ৮ লক্ষ টাকার সঞ্চয় পত্র করে প্রদান করা হয়েছে, অথচ শত শত নিরীহ ও কোমলমতি শিক্ষার্থীদেরকে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করা হলো যা দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছে, যারা এই হত্যার সাথে জড়িত তাদেরকে বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জোর আহবান জানাচ্ছি। পাশাপাশি নিহতদের পরিবারগুলোকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেয়ারও দাবি করছি।
একই সঙ্গে বিনা অপরাধে গ্রেফতারকৃত বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা: রফিকুল ইসলাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য তারিকুল ইসলাম তেনজিং এবং বিএনপি'র ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু'র ছেলে সানিয়াতসহ এখন পর্যন্ত আটক সিনিয়র নেতাসহ সর্বস্তরের নেতা ও কর্মীবৃন্দকে অবিলম্বে মুক্তি প্রদানের জোর আহ্বান জানাচ্ছি।
বার্তা প্রেরক
(এ্যাড. মোঃ তাইফুল ইসলাম টিপু)
সহ-দফতর সম্পাদক
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি।