১৭ জুলাই ২০২৪
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের বিবৃতি
“আন্দোলনরত সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর পুলিশ ও ছাত্রলীগ নামধারী দুস্কৃতিকারিদের যৌথ হামলায় গতকাল ৭ জনের জীবনহানী এবং অসংখ্য শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়। এছাড়াও র্যাব , পুলিশ, বিজিবি ও সোয়াতের দফায় দফায় বর্বরোচিত আক্রমণে দেশব্যাপী অনেক ছাত্র-ছাত্রী গুরুতর জখম হয়। এহেন অমানবিক হিংস্র আক্রমণের ঘটনা নজীরবিহীন। কেবলমাত্র গণবিরোধী স্বৈরশাসকেরাই কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জীবন কেড়ে নিতে পারে, ক্ষতবিক্ষত করতে পারে তরুণদের দেহ। যেমনভাবে তারা রংপুরে ইংরেজি অনার্সের ছাত্র আবু সাঈদ এবং চট্টগ্রামে বুক পেতে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করা ওয়াসিমসহ দেশের অন্যান্য স্থানে আরও কয়েকজনকে হত্যা করা হয়েছে।
আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই শহীদদের মহিমান্বিত আত্মদান আমাদের জাতীয় ইতিহাসে এক মর্মস্পর্শী অধ্যায় হয়ে থাকবে। তবে দীর্ঘ সংগ্রামে শৃংখলিত গণতন্ত্র ও অবরুদ্ধ স্বাধীনতার মুক্তি এবং মানুষের হিরন্ময় অধিকারগুলো পুনরুজ্জীবনে তাদের আন্দোলনরত সহপাঠি ও উত্তরপ্রজন্মের কাছে এক অফুরন্ত প্রেরণা যোগাবে।
আগামীকাল ১৮ জুলাই ২০২৪, বৃহস্পতিবার, সাধারণ ছাত্র সমাজের ঐকান্তিক আকাঙ্খা পূরণে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন চলাকালীন গতকাল ও আজ আওয়ামী সরকারের মদদে আইন শৃঙ্খলা ও ছাত্রলীগের পেটোয়া বাহিনীর নৃশূংস আক্রমণে খুন-জখমের প্রাণবিনাশী রক্তাক্ত পথ অবলম্বনের বিরুদ্ধে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের ডাকে ‘কমপ্লিট শাট ডাউনের’ দেশব্যাপী যে কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে আমি সেই কর্মসূচির প্রতি জানাচ্ছি সর্বাত্মক সমর্থন।
পাশাপাশি আমি মনে করি, বিগত ১৬-১৭ বছর আওয়ামী দু:শাসনে হরিলুট, টাকা পাচার, মহাদুর্নীতি, গুম-খুন-বিচার বহির্ভূত হত্যা ও ইতিহাস বিকৃতির যে স্থায়ী সংস্কৃতি চালু করার প্রচেষ্টা চালিয়ে আসা হয়েছে সেখান থেকে দেশকে শান্তি, স্থিতি, মানুষের মর্যাদা ও গণতন্ত্রের মহোত্তম মৌলিক-মানবিক অধিকারগুলো পুন:প্রতিষ্ঠার এক সার্বিক লক্ষ্য নিয়ে ‘রাষ্ট্র সংস্কার’ অতীব জরুরী। আর এজন্য পাশবিক অন্ধ স্বৈরাচারী শক্তির বিরুদ্ধে সর্বাত্মক আন্দোলন গড়ে তোলার প্রত্যয় নিয়ে তরুণ-যুবকসহ নানা শ্রেণী-পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সাহসী সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। কেবল দু:শাসনের অবসান হলেই গণতন্ত্র, সুশাসন ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব।
আমি পুনরায় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ ও যৌক্তিক কোটা সংস্কারের আন্দোলনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করছি।”
(অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী)
সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি।