১৬ জুলাই ২০২৪
পবিত্র আশুরা উপলক্ষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিম্নোক্ত বাণী দিয়েছেন—
বাণী
“হযরত মুহম্মদ (সাঃ) এর প্রিয় দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসেন (রাঃ), তাঁর পরিবার ও সঙ্গীদের শাহাদাত বরণের স্মরণে ১০ মহররম ইতিহাসে এক করুণ ও বেদনাদায়ক দিন। দিবসটি আজও আমাদেরকে গভীর দুঃখ ও বেদনায় ভারাক্রান্ত করে তোলে। বিশ্ব মুসলিমসহ সারা মানবজাতিকে শোক ও বেদনায় মুহ্যমান করে তোলে। অসত্য, জুলুম ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে জেহাদ ন্যায় ও সত্যের বিজয়ের বার্তা দেয়। মানবিক সাম্য ও মানবমর্যাদা প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে কারবালায় হযরত ইমাম হোসেন (রাঃ)’র নিজ পরিবার, ঘনিষ্ঠজন ও অনুচরবৃন্দ জালিমের হাতে শহীদ হন। তাই শহীদে কারবালার মূল বার্তা হচ্ছে—নিপীড়িতদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ।
বাংলাদেশে বর্তমানে গণতন্ত্রের ধ্বংস্তুপের ওপর আওয়ামী স্বৈরাচারের জুলুমের রাজত্বে জনগণ শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় বন্দী হয়ে আছে। বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করতে গুম, খুন, ক্রসফায়ার এখন রাষ্ট্রীয় নীতিতে পরিণত হয়েছে। গত দেড় দশক ধরে অবাধ—সুষ্ঠু নির্বাচন বাংলাদেশ থেকে অদৃশ্য করা হয়েছে। গণতন্ত্রকামী মানুষের স্থায়ী ঠিকানা এখন কারাগারে। বিপুল জনপ্রিয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আক্রোশের শিকার হয়ে বিগত ছয় বছর ধরে বন্দী রয়েছেন। কারবালার প্রান্তরে ইমাম বাহিনীর মহিমান্বিত আত্মত্যাগের প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বর্তমান স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকামী জনগণ ও রাজনৈতিক দলের সংগ্রামী নেতাকর্মীরা দুঃশাসনের অবসান ঘটিয়ে গণতন্ত্রের বিজয় ও দেশনেত্রীর মুক্তি নিশ্চিত করতে শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তুলতে সক্ষম হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
আশুরা ত্যাগ, নৈতিকতা ও আত্মত্যাগের শিক্ষা দেয় এবং মজলুমদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ ও ঐক্য জাগিয়ে তোলে। ব্যক্তিগত কোন অভিলাষ নয় বরং অবিচার, জবরদস্তি, মিথ্যা অহংকার ও আত্মসম্মানহীন নিপীড়কের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করা ১০ মহরমের মূল বাণী। তাঁর নিজের আত্মত্যাগের এই ঘটনা সারা দুনিয়ার সকল মজলুমকে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও প্রতিবাদী হতে শতাব্দীর পর শতাব্দী প্রেরণা যুগিয়ে চলেছে।
আজকের এ দিনে আমি হযরত ইমাম হোসেন (রাঃ) এর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। আমি ইমাম হোসাইন (রাঃ), তাঁর পরিবার এবং কারবালার শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি।
আল্লাহ হাফেজ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।”
বার্তা প্রেরক
(মুহম্মদ মুনির হোসেন)
সহ—দফতর সম্পাদক
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপি