১৯ জুন ২০২৪
বিশ্ব শরণার্থী দিবস উপলক্ষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিম্নোক্ত বাণী দিয়েছেন ঃ-
বাণী
“আজ ২০ জুন বিশ্ব শরণার্থী দিবসে আমি বিশ্বের সকল শরণার্থীদের মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকার লড়াইয়ের প্রতি আন্তরিক সংহতি জ্ঞাপন করছি। সহিংসতা এবং নিপীড়নের কারণে জোরপূর্বক বাস্তচ্যুত প্রায় ১২ কোটি মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছে। জাতিসংঘ ক্রমবর্ধমান সংখ্যাটিকে ‘বিশ্বের রাষ্ট্র সমুহের উপর ভয়ঙ্কর অভিযোগ’ হিসাবে চিহ্নিত করেছে। বিশ্বব্যাপী জোরপূর্বক বাস্তচ্যুতি আবার পূর্বের সকল রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। পৃথিবীর দেশে দেশে উদ্বাস্ত সমস্যা আজও ভয়াবহ ও অমানবিক। বিশ্ব নাগরিকদের সহজাত কিছু অধিকার রয়েছে, যেমন-মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকার জন্য আশ্রয়, নিরাপত্তা এবং এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়ার স্বাধীনতাসহ মানবিক মর্যাদা। বর্তমান সময়ে বিশ্বব্যাপী শরণার্থীদের সংখ্যা ক্রমবর্ধমানভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে-যা খুবই আতঙ্কজনক। শরণার্থীরাও বিভিন্ন দেশে ক্ষুধা ও বেকারত্বের তাড়নায় অপরাধের সাথে জড়িত হওয়ার কারণে স্থানীয় সংস্কৃতির জন্য হুমকি হয়ে পড়ায় নতুন নতুন সংকটের সৃষ্টি হচ্ছে।
বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের নাম জোরেশোরে আলোচিত হবে মূলত রোহিঙ্গা সমস্যার কারণে। রোহিঙ্গা সমস্যার সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী হচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছে। বাংলাদেশের জনগণ রোহিঙ্গাদের নানা ধরণের দুর্যোগ যেমন ক্ষুধা, আবাস, বিভিন্ন রোগের প্রাদূর্ভাব ইত্যাদি মোকাবেলায় অনন্য ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। অথচ তাদের নিজ দেশে ফেরাতে তাবেদার ডামি আওয়ামী সরকারের কোন কার্যকর উদ্যোগ নেই।
এদেরকে নাগরিক হিসেবে মর্যাদা দিয়ে নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারকে বাধ্য করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহবান জানাচ্ছি। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি আজ বিশ্ব শরণার্থী দিবসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাসহ বিশ্বের সকল শরণার্থীদের সংকট মোকাবেলায় এগিয়ে যেতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমি বিশ্ব শরণার্থীদের প্রতি সমব্যাথী এবং তাদের নিজ দেশে মাথা উঁচু করে ফেরার প্রত্যাশা করছি।”
বার্তা প্রেরক
(মুহম্মদ মুনির হোসেন)
সহ-দফতর সম্পাদক
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি