১৫ জুন ২০২৪
পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিম্নোক্ত বাণী দিয়েছেনঃ—
বাণী
“পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মুসলমানকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানাই। কামনা করছি তাদের অবিরাম সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি।
আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য পরম ত্যাগের নির্দেশনা স্বরুপ কোরবানী বা ঈদুল আযহা পালন করা হয়। মহান আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য লাভের জন্য বিশ্বমুসলমানরা ঈদুল আযহার উৎসবে মিলিত হয়। পশু কোরবানীর পাশাপাশি মনের সকল পঙ্কিলতা ও অশুভ ভাবনাকে পরিহার করে সহজ, সরল, অনাড়ম্বর জীবন—যাপনের মাধ্যমে শ্রষ্টার সন্তুষ্টি অর্জনে ব্রতি হওয়াই আমাদের কর্তব্য। কোরবানীর মহিমান্বিত শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হয়ে মানব কল্যাণে নিজেদের উৎসর্গ করা আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিৎ। দেশ এখন এক চরম দুঃশাসনে পিষ্ট। দানবীয় শাসনের যাঁতাকলে জনগণ রুদ্ধশ্বাস জীবন যাপন করছে। বর্তমান ডামি আওয়ামী সরকার নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে নানা ধরণের কুটিল চক্রান্তের আশ্রয় নিয়ে ক্রমাগত জনগণকে প্রতারিত করছে। অধিকারহীন দেশের মানুষ ক্ষুধা—অনাহারের দুঃসহ জীবন যাপন করছে।
আত্মত্যাগের এক অবিস্মরণীয় ঘটনার প্রেক্ষিতে আল্লাহ তায়ালার কুরবানীর বিধান মানবজাতির সৃষ্টিলগ্ন থেকেই কার্যকর হয়ে এসেছে। শ্রষ্টার প্রতি নিঃস্বার্থ আত্মনিবেদন ও অনুপম আদর্শের প্রতীকি নিদর্শন হিসেবে বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা প্রতি বছর পশু কোরবানী দেয়, এর মাধ্যমে মহান আল্লাহ পাকের প্রতি নিবেদিত বান্দা হওয়ার প্রেরণা পায়। কোরবানীর ঈদ বিশ্বমুসলিমের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব। যেকোন উৎসব বিশেষ সম্প্রদায়ের জন্য নয়, উৎসবের রয়েছে একটি সার্বজনীন বৈশিষ্ট্য। উৎসব মানবজাতির এমন এক সাগর তীর যেখানে ধর্ম—বর্ণ—জাতি নির্বিশেষে সকলেই শামিল হতে পারে। তাই ত্যাগের মহিমায় সকল স্বার্থচিন্তা পরিহার করে মানবকল্যাণ এবং সমাজে শান্তি, ন্যায়, সুবিচার ও সোহার্দ্য প্রতিষ্ঠায় আমাদেরকে সচেষ্ট হতে হবে। আসুন, আমরা অঙ্গীকার করি—কায়েমী স্বার্থকে এড়িয়ে ঈদুল আযহার এই আনন্দ, ত্যাগ ও উৎসবের দিনে অসহায়—নিরন্ন মানুষের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়ার।
ঈদুল আযহা সকলের জীবনকে করে তুলুক আনন্দময়, মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে আমি এ প্রার্থনা জানাই।
আল্লাহ হাফেজ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।”
বার্তা প্রেরক
(এ্যাড. মোঃ তাইফুল ইসলাম টিপু)
সহ—দফতর সম্পাদক
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপি।