১৫ জুন ২০২৪
সংবাদপত্রের কালো দিবস উপলক্ষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিম্নোক্ত বাণী দিয়েছেন ঃ—
বাণী
“বাংলাদেশের সংবাদপত্রের ইতিহাসে ১৯৭৫ সালের ১৬ জুন এক বিষাদঘন কালিমালিপ্ত দিন। এদিনে তৎকালীন একদলীয় বাকশাল সরকার নাৎসী কায়দায় তাদের অনুগত ৪টি সংবাদপত্র অনুমতি দিয়ে অন্যসব পত্রিকা বন্ধ করে দিয়ে বিভিন্ন সংবাদপত্রে কর্মরত অসংখ্য সংবাদ কর্মীকে বেকার করে হতাশার অতল গহব্বরে ঠেলে দিয়েছিল।
মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহু দলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক এবং আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়ে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেন। বাতিল করেন বাকশালী আমলের সকল কালাকানুন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপি বহুমত, পথ ও দলের বহুদলীয় গণতন্ত্র রক্ষার সংগ্রামে বারবার অগ্নিপরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। বহুমাত্রিকতা বিএনপি’র রাজনৈতিক আদর্শ। বারংবার অবৈধ স্বৈরাচারী গোষ্ঠীর শক্ত শৃঙ্খল ভেঙ্গে গণতন্ত্রকে মুক্ত করেছে বিএনপি। আবারো বর্তমান ডামি আওয়ামী সরকার পুরনো বাকশালের পুন:রুত্থান ঘটিয়ে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের ওপর দমন—পীড়ণ অত্যূগ্র মাত্রা নামিয়ে এনেছে। নানা কালাকানুনের মাধ্যমে সংবাদপত্র ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার টুঁটি চেপে ধরা হয়েছে। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে দিনকাল, আমার দেশ, দিগন্ত টিভি, ইসলামী টিভি, চ্যানেল—১ টিভি সহ অসংখ্য গণমাধ্যম। সত্য প্রকাশে খুনের শিকার হয়েছেন অর্ধশতাধিক সাংবাদিক। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ নানা মামলায় গ্রেফতার ও হয়রানীর শিকার হয়েছেন বহু সাংবাদিক, শিক্ষক, পেশাজীবী এমনকি শিশু শিক্ষার্থীরাও। মন্ত্রী—এমপিদের এবং ক্ষমতাসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সমালোচনা করলেই সাংবাদিকদের হয়রানী ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে। অরাজক এই দুঃসময়ে সকল গণমাধ্যমের কর্মীদের শংকা ও ভয়ের মধ্যে দায়িত্ব পালন করতে হয়। ‘৭৫ এর এই দিনের বিভিষিকা এখন ভিন্ন মাত্রায় আরও ভয়ঙ্কর হিংস্ররুপে আত্মপ্রকাশ করেছে। সেইজন্য অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।
আমি বর্তমানে বিপন্ন গণতন্ত্র পুন:রুদ্ধারের স্বার্থে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষার সংগ্রামে সাংবাদিক ভাই ও বোনদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার জন্য আহবান জানাচ্ছি।
আল্লাহ হাফেজ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।”
বার্তা প্রেরক
(মুহম্মদ মুনির হোসেন)
সহ—দফতর সম্পাদক
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপি