২১ মে ২০২৪
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান নিম্নোক্ত বাণী দিয়েছেনঃ—
বাণী
“বৈশাখ মাসের পূর্ণিমা তিথিকে বলা হয় বুদ্ধ পূর্ণিমা। মানব বিশ্বের ইতিহাসে এই দিনটি এক মহিমান্বিত দিন। বৈশাখী পূর্ণিমায় জন্মগ্রহণ করেন মহামানব গৌতম বুদ্ধ। এ দিনেই তিনি বুদ্ধত্ব লাভ এবং মহাপরিনির্বাণ লাভ করেন। অহমের মাত্রাকে অতিক্রম করে তিনি অসীম জ্ঞান লাভ করেন। বুদ্ধ জীবনের মহান এ তিনটি প্রধান ঘটনাই মানব বিশ্বের ইতিহাসে 'বুদ্ধ পুর্নিমা' নামে অভিহিত। এ দিনটি ধ্যান, নৈবেদ্য এবং উদারতার সাথে উদযাপিত হয়। আজ থেকে আড়াই হাজার বছর পূর্বে বৈশাখী পূর্ণিমায় শুভ তিথিতে গৌতম বুদ্ধ পৃথিবীতে অবির্ভূত হয়েছিলেন। আমি আজ এই শুভ দিনে বাংলাদেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সকলকে জানাচ্ছি শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমার মৈত্রীময় শুভেচ্ছা এবং উষ্ণ অভিনন্দন। সাথে সাথে আমি বিশ্ব বৌদ্ধ সম্প্রদায়কেও জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
যুগে যুগে মহামানবেরা পথভ্রষ্ট মানুষকে সত্যের আলো দেখিয়েছেন, চিনিয়েছেন কল্যাণের পথ। নানা সংকট ও প্রতিকূলতার মধ্যেও সত্য ও মানব অধিকারের পথে মানুষকে আহবান করেছেন। মহামানব বুদ্ধ ছিলেন অহিংস, ন্যায় ও সাম্যনীতির এক চিরজীবী কন্ঠ। তাঁর অনুশাসনও ছিল আত্মজয় ও আত্মপ্রতিষ্ঠার পক্ষে। তাঁর সমবেদনা আলোকিত শিক্ষার প্রতিফলন।
তিনি বুদ্ধত্ব লাভ করে মানুষের দুঃখ দূর্দশা ঘোচানোর জন্য মানবতা ও সার্বজনীন সাম্য ও অহিংসা বাণী প্রচার করেন এবং আর্ত-পীড়িত মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়ান। মানুষ নিজের অভ্যন্তরীণ শান্তি ও আলোকিত হয় মহামতি বুদ্ধের জ্ঞানের আলোয়। স্বাধীনতা, সর্বাঙ্গীন কল্যাণ এবং সর্বপ্রাণীর নিরাপদ বিশ্ব সৃষ্টি করা। তিনি প্রচলিত জাতিভেদ প্রথায়ও আবদ্ধ হননি, তিনি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষের নিকট মুক্তির বাণী তুলে ধরে জগতে এক নুতন ধর্মাদর্শ প্রতিষ্ঠা করেন। মানুষের মর্যাদা চিহ্নিত হবে কর্মে এবং যোগ্যতায়; জন্ম বা বংশ মর্যাদা দিয়ে নয়। ধর্ম প্রচারের প্রথম থেকেই তিনি এভাবে মানুষের মূল্যবোধকে জাগ্রত করার প্রচেষ্টায় নিবেদিত হন।
বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য নিদর্শনের দেশ। বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী দর্শনেই এদেশের সকল বর্ণ, ধর্মীয় সম্প্রদায় ও নৃগোষ্ঠীর নিবিড় সহাবস্থান নিশ্চিত করে। বাংলাদেশে সকল ধর্মের অনুসারীরা পারস্পরিক সৌহার্দ্যের বন্ধনে আবদ্ধ। আমরা ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এক অভিন্ন জাতি। আমরা সবাই বাংলাদেশী। ধর্মীয় সম্প্রীতি এবং সকল ধর্মের মর্যাদা রক্ষায় আমরা সবসময়ই সচেষ্ট থেকেছি এবং আগামীতেও সে প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।
আমি বুদ্ধ পূর্ণিমার সকল আনুষ্ঠানিকতার সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।”
(অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী)
সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপি।