১১ মে ২০২৪
‘আন্তর্জাতিক মা দিবস’ উপলক্ষে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান নিম্নোক্ত বাণী দিয়েছেনঃ—
বাণী
”আন্তর্জাতিক মা দিবস উপলক্ষে আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মা’কে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। তাদের সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করি।
মা একটি ছোট্ট শব্দ, কিন্তু তার ব্যাপকতা অসীম। ‘মা’ সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখান। তাই মায়ের জন্য প্রতিদিনই সন্তানের ভালবাসা থাকে, তবু স্বতন্ত্রভাবে ভালবাসা জানাতেই আজকের এই দিন। পরিবারে মা হচ্ছেন এক বিস্ময়কর প্রতিষ্ঠান। মহিয়সী মায়ের শিক্ষাতেই শিশুর ভবিষ্যৎ নির্মিত হয়। মা দিনের সব অবসাদ, ক্লান্তি ঘুচিয়ে সব সংগ্রামের মাঝেও সন্তানকে আগলে রাখে। সুমাতার সহচার্যে সন্তানের উৎকর্ষতা ও প্রকৃত মানব—সত্ত্বার জাগরণ ঘটে, সন্তানের আত্মাকে করে নির্মল, স্বচ্ছ ও পবিত্র। নিষ্ঠা সহকারে দায়িত্ব পালন ও গ্রহণ করতে মায়েরা থাকেন সন্তানদের নিকট অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। মা—ই হচ্ছেন শিশুর সর্বোৎকৃষ্ট বিদ্যানিকেতন। সন্তানদের সুশৃঙ্খল, শিষ্ট ও সর্বক্ষেত্রে যোগ্য হয়ে গড়ে উঠার পিছনে থাকে একমাত্র মায়েদের অক্লান্ত অবদান। সুমাতার সহচার্যে গড়ে ওঠা সন্তানই সমাজ ও রাষ্ট্রের সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হন।
দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজ বন্দী। রাষ্ট্রের গণতান্তিক বিকাশ এবং অগ্রসর সমাজ বিনির্মাণে এই মহিয়সী নেত্রীর জীবন কেটেছে নিরবচ্ছিন্ন সংগ্রাম, ত্যাগ, নিরলস পরিশ্রম ও জনগণের প্রতি মমতা ও অকৃত্রিম ভালবাসায়। তাঁর নেতৃত্বে বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় নারী শিক্ষার ব্যাপক প্রসার ঘটেছিল। বিএনপি’র শাসনামলে স্কুল থেকে ছাত্রীরা যাতে ঝরে না পড়ে তার জন্য দেশনেত্রী নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। আজকের এই দিনে নারী শিক্ষার আলোকবর্তিকা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও আশু সুস্থতা কামনা করছি।
আজকের দিনে আমার প্রত্যাশা—সকল মা যেন তার সন্তানদের যোগ্য ও সুনাগরিক হিসাবে গড়ে তুলতে সক্ষম হন। বাংলাদেশে বর্তমান ঘোর দুর্দিনে জনজীবনে অন্ধকার নেমে এসেছে। নারী—শিশুর ওপর ক্রমাগত অমানবিক নির্যাতনে সামাজিক নৈরাজ্য এখন চরমে। এমতাবস্থায় সন্তানকে নির্ভূল ও সঠিক পথে পরিচালিত করতে পারে কেবলমাত্র সুমাতা, যাতে জাতির আগামী ভবিষ্যত উজ্জল থেকে উজ্জলতর হয়।
আল্লাহ হাফেজ। বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।”
(অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী)
সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপি।