০৭ মে ২০২৪
কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিম্নোক্ত বাণী দিয়েছেনঃ—
বাণী
”কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আমি তাঁর অমলীন স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। স্মরণ করি বাংলা সাহিত্যকে বিশ্ব সাহিত্যের মর্যাদায় উন্নীত করতে তাঁর অসামান্য অবদানের কথা। কবি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের উৎকর্ষের প্রধান পুরুষ কবি রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদের বাংলা সাহিত্যের যুগোত্তর্ীর্ণ শ্রেষ্ঠ লেখক ও বিশ্বের শ্রেষ্ঠ মনীষীদের একজন। অমর সৃষ্টির দ্বারা তিনি কবি, ঔপন্যাসিক, ছোট গল্পকার, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, ভাষাবিজ্ঞানী, দার্শনিক, সংগীত রচয়িতা ও সুরকার হিসেবে এক উচ্চমাত্রায় নিজেকে অধিষ্ঠিত করেন। ধ্রুপদি ও লৌকিক সংস্কৃতি এবং পাশ্চাত্য বিজ্ঞান চেতনা ও শিল্পদর্শণ তাঁর রচনায় গভীর প্রভাব বিস্তার করেছিল। বাংলা ভাষার অগ্রণী কবি রবীন্দ্রনাথ শুধু কবিই ছিলেন না, ছিলেন সমাজ, রাজনীতি, দর্শণ ও সামাজিক স¤প্রীতির এক অনবদ্য রুপকার। তাঁর সাহিত্য কর্মে শান্তি, মানবতা, মহত্ত্ববোধ ও পরমত সহিঞ্চুতার বাণী যুগে যুগে মানুষকে প্রেরণা যুগিয়ে যাবে, তাই তাঁর সৃষ্টিকর্ম জাতীয়তার গন্ডি পেরিয়ে দেশ দেশান্তরে হয়ে উঠেছে কল্যাণের অকৃত্রিম আলেখ্য। মানব প্রেম, প্রকৃতি প্রেম ও দেশপ্রেম তাঁর লেখনির প্রধান অনুষঙ্গ হিসেবে কাজ করেছে। আজও আমরা সবাই তাঁর লেখনি দ্বারা উদ্বুদ্ধ।
তাঁর রচনায় একই সঙ্গে সমাজ চেতনা ও মানব প্রেমের শ্বাশত বাণী বিধৃত হয়েছে আবার অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হওয়ার আহবান তাঁর সৃষ্টির অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
শান্তি ও মানবতার কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচনা মানুষকে চিরকাল মানব প্রেম ও দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ করবে বলে আমার বিশ্বাস। এদেশের মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অনেক কবিতা ও গান ছিল প্রভূত সাহস ও অফুরন্ত প্রেরণার উৎস।
আমি কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আত্মার শান্তি কামনা করি।”
বার্তা প্রেরক
(এ্যাড. মোঃ তাইফুল ইসলাম টিপু)
সহ—দফতর সম্পাদক
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপি।