২৪ এপ্রিল ২০২৪
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এর বিবৃতি
খুলনা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এস এম মনিরুল হাসান বাপ্পীসহ ৩০ জন নেতাকর্মী রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় উচ্চ আদালতের অন্তরবর্তীকালীন জামিন শেষে আজ নিম্ন আদালতে জামিন আবেদন করলে আদালত কতৃর্ক তাদের জামিন নামঞ্জুর ও কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “৭ জানুয়ারী ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে অবৈধ আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী এখন আরও তীব্র মাত্রায় হিং¯্র হয়ে উঠেছে। মিথ্যাচার, ভয়ভীতি প্রদর্শণ ও অপকৌশলের মাধ্যমে অবৈধ রাষ্ট্রক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ গণতন্ত্রমনা বিরোধী দল, ভিন্ন মত ও পথের মানুষদের ওপর নিষ্ঠুর দমন—পীড়ণ চালানো হচ্ছে অব্যাহতভাবে। মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় আজ্ঞাবহ আদালতকে দিয়ে ফরমায়েশী সাজা প্রদানসহ জামিন নামঞ্জুর করে বিরোধী নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠানোর মাধ্যমে দখলদার আওয়ামী সরকার দেশে নব্য বাকশালী শাসন কায়েম করেছে।
খুলনা জেলা বিএনপি'র সদস্য সচিবএস এম মনিরুল হাসান বাপ্পী, যুগ্ম আহ্বায়ক খান জুলফিকার আলী জুলু, রুপসা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোল্লা সাইফুর রহমান, পাইকগাছা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক, ২নং শ্রীফেলতলা ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ সাহাবুদ্দিন ইজাদার, ৫নং ঘাটভোগ ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মোঃ সাইফুল ইসলাম পাইক, ১নং আইচগাতী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য মোঃ জাকির হোসেন তালুকদার, মোঃ লায়েকুজ্জামান লাকু, মোঃ কামাল উদ্দিন, রুপসা উপজেলার আইচগাতী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ফরহাদ হোসন, রুপসা উপজেলা জাসাস এর যুগ্ম আহবায়ক মোঃ খালিদ লস্কার, পূর্ব রুপসা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জাকারীয়া, যুগ্ম আহবায়ক মোঃ তরিকুল ইসলাম রনি, মো: আলমগির শেখ, পাইকগাছা উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব কাউন্সিলর ইমরান হোসেন, পাইকগাছা পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব সোহেল গাজী, পাইকগাছা পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মোঃ সোহেল গাজী, মোঃ ফারুক হোসেন, আমিনুল মল্লিক, মোঃ শিহাব সরদার, বাদশাহ সরকার, মোঃ আল আমিন শেখসহ বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলের ৩০ নেতা কর্মীর জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণসহ ইতোপূর্বে রূপসা থানার হয়রানীমূলক মিথ্যা মামলায় খুলনা জেলা বিএনপি'র যুগ্ম আহ্বায়ক মোল্লা খাইরুল ইসলামেরও জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ বর্তমান দখলদার আওয়ামী সরকারের নিরবচ্ছিন্ন নিষ্ঠুর অপকর্মেরই অংশ। অবৈধ আওয়ামী সরকারের এ ধরণের অপকর্ম ও জুলুমের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে রুখে দাঁড়াতে হবে। জনগণের সম্মিলিত শক্তির কাছে আওয়ামী ডামি সরকারকে পরাজয় বরণ করতেই হবে।
সারাদেশে প্রতিনিয়ত আদালতের মাধ্যমে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদেরকে মিথ্যা মামলায় জামিন নামঞ্জুরের মাধ্যমে কারান্তরীণের ঘটনায় আমি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি এবং উল্লিখিত নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ অবিলম্বে তাদের নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহবান জানাচ্ছি।”
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এর নিন্দা ও প্রতিবাদ
মিথ্যা ও রাজনৈতিক হয়রানীমূলক মামলায় কারান্তরীণ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব সকল ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় জামিন লাভের পরও বারবার জেলগেট থেকে তাকে নতুন নতুন বানোয়াট মামলায় আটক ও কারান্তরীণের অমানবিক ঘটনায় পৃথক বিবৃতিতে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “প্রহসনমূলক দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারী আওয়ামী ফ্যাসিষ্ট শাসকগোষ্ঠী গোটা দেশকেই এখন ভয়াবহ জুলুমের নগরীতে পরিণত করেছে, পুরো দেশকেই বৃহৎ কারাগারে রুপান্তরিত করেছে। কেবল সাইফুল আলম নীরবই নন, তার মতো হাজার হাজার নেতাকর্মীকে জামিন লাভের পরও কারাফটক থেকে নিত্যনতুন ভুয়া মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে কারান্তরীণ করা হচ্ছে। বিশে^র সকল স্বৈরাচারী শাসকদেরকে টেক্কা দিয়ে আওয়ামী কতৃর্ত্ববাদী সরকার এখন দেশ—বিদেশে ধিকৃত ও সমালোচিত হলেও কোন কিছুকেই তোয়াক্কা না করে দেশের জনগণসহ বিরোধী দল ও মতের নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার—উৎপীড়ণ অব্যাহত রেখেছে। তবে নিষ্ঠুর ও অবৈধ আওয়ামী সরকারকে জনগণের শক্তির কাছে পরাজয় বরণ করতেই হবে। আমি সাইফুল আলম নীরবকে বারবার কারাফটক থেকে নতুন নতুন মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার ও কারান্তরীণের ঘটনায় নিন্দা জ্ঞাপন করছি এবং অবিলম্বে তার নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহবান জানাচ্ছি।”
বার্তা প্রেরক
(এ্যাড. মোঃ তাইফুল ইসলাম টিপু)
সহ—দফতর সম্পাদক
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপি।