১৬ এপ্রিল ২০২৪
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এর বিবৃতি
আজ ১৬ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দক্ষিণের হাজারীবাগ থানার ২টি মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় অন্যায়ভাবে সাজাপ্রাপ্ত হাজারীবাগ থানা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ১৫ জন এবং বংশাল থানার ১টি মিথ্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ৬ জন নেতাকর্মীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “৭ জানুয়ারীর আওয়ামী ডামি সরকার নব্য বাকশালী শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তাদের অবৈধ ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে দেশব্যাপী বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতা—কর্মীদের উপর অবর্ণনীয় জুলুম—অত্যাচার অব্যাহত রেখেছে। সেটিরই ধারাবাহিকতায় মিথ্যা মামলায় অন্যায়ভাবে সাজাপ্রাপ্ত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য আবুল খায়ের লিটন, হাজারীবাগ থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি মজিবুর রহমান মজু, ২২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নুরুল হক আরজু, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, সহ—সভাপতি ইসলাম উদ্দিন, হাজারীবাগ থানা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলম হোসেন, সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মুরাদ হোসেন মন্টি, ঢাকা মহানগর পূর্ব ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ মামুন, হাজারীবাগ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মোঃ মাসুম, ১৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হোসেন, মহিলা দল নেত্রী ফাহমিদা এবং বংশাল থানার অপর একটি মিথ্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ৬ জন নেতাকর্মী যথাক্রমে মোঃ সোহেল, মোঃ সিদ্দিক, সাহেদ, আনিস, সাবের ও মাসুদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হলো।
দেশের মানুষ নিত্যপণ্যের মূল্যের উর্ধ্বগতিতে যখন দিশেহারা তখন দখলদার আওয়ামী সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দকে নিত্য—নতুন মিথ্যা মামলায় আটকসহ আদালতকে দিয়ে সাজা প্রদান ও জামিন নামঞ্জুরের মাধ্যমে কারান্তরীণের অমানবিক খেলায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ক্ষমতাসীনদের নির্মম আচরণ, দৌরাত্ম এবং দাপটে মানুষ এখন উদ্বেগ—উৎকন্ঠার মধ্যে দিনাতিপাত করছে। ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী সরকার তাদের সকল অপকর্মকে আড়াল করতেই সরকারী জুলুমের মাত্রা বৃদ্ধি করেছে। অপরাধ না করেও মিথ্যা মামলায় আসামী হওয়া, গ্রেফতার হওয়া ও কারাগারে যাওয়া এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে। আইনের শাসনহীন এই দেশে নিরপরাধ মানুষরাই সরকারী নিপীড়ণের শিকার হচ্ছেন। ৭ জানুয়ারীর ডামি নির্বাচনের পর কতৃর্ত্ববাদী আওয়ামী সরকার তাদের দুঃশাসন চালাতে আরও বেশী ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। তবে এই শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির অবসান ঘটাতে সংগ্রামী জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন—সংগ্রাম চালিয়ে যেতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।”
বিএনপি মহাসচিব বিবৃতিতে উল্লিখিত নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা প্রত্যাহার, সাজা বাতিল এবং অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহবান জানান।
এছাড়া বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম এবং সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু পৃথক বিবৃতিতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের হাজারীবাগ ও বংশাল থানায় দায়েরকৃত মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আলাদা আলাদা মামলায় অন্যায়ভাবে সাজাপ্রাপ্ত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য আবুল খায়ের লিটন, হাজারীবাগ থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি মজিবুর রহমান মজু, ২২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নুরুল হক আরজু, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, সহ—সভাপতি ইসলাম উদ্দিন, হাজারীবাগ থানা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলম হোসেন, সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মুরাদ হোসেন মন্টি, ঢাকা মহানগর পূর্ব ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ মামুন, হাজারীবাগ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মোঃ মাসুম, ১৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হোসেন, মহিলা দল নেত্রী ফাহমিদা এবং বংশাল থানার অপর একটি মিথ্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ৬ জন নেতাকর্মী যথাক্রমে মোঃ সোহেল, মোঃ সিদ্দিক, সাহেদ, আনিস, সাবের ও মাসুদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
নেতৃৃদ্বয় অবিলম্বে উল্লিখিত নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা প্রত্যাহার, সাজা বাতিল এবং নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি করেছেন।
বার্তা প্রেরক
(মুহম্মদ মুনির হোসেন)
সহ—দফতর সম্পাদক
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপি