০৮ এপ্রিল ২০২৪
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান নিম্নোক্ত বাণী দিয়েছেনঃ—
বাণী
“পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মুসলমানকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ। ঈদ মুবারক। আমি এই আনন্দঘন দিনে বিশ^ মুসলিমের সংহতি, সম্প্রীতি, ভ্রাতৃত্ব ও সমৃদ্ধি কামনা করছি।
ব্যক্তি জীবনকে পরিশুদ্ধ ও সংযমী করে গড়ার লক্ষ্যে মোমিন মুসলমানেরা মাসব্যাপী সিয়াম সাধনার পর হৃদয় আনন্দে উপচে পড়া ঈদুল ফিতর সমাগত হয়।
বিশ্বে মুসলিম সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব ঈদুল ফিতর। উৎসব মানুষের আনন্দময় স্বত্তার জাগরণ ঘটায়। আত্মাকে সম্প্রীতি ও মিলনের বোধে উদ্দীপ্ত করে। ঈদ মুসলমানদের জীবনে আল্লাহ তা’আলার এক অমূল্য নিয়ামত। ইসলামের সর্বজনীন ও শাশ^ত শিক্ষা সমাজের সকল ভেদরেখা ও সীমানা অতিক্রম করে মানুষে মানুষে সম্প্রীতির মহামিলন ঘটায় ঈদুল ফিতরের উৎসব। ধনী—গরিব, উঁচু—নিচু নির্বিশেষে সকল মানুষকে এক স্বর্গীয় বন্ধনে আবদ্ধ করে। উৎসব যেকোন ধর্মীয় সম্প্রদায় বা গোষ্ঠীর হতে পারে, কিন্তু উৎসবের প্রাঙ্গণ ধর্ম—বর্ণ নির্বিশেষে সকলের জন্য অবারিত। উৎসব শান্তি ও সহমর্মিতার বার্তা দেয়। হানাহানি, হিংসা, বিদ্বেষ এবং তিক্ততার গ্লানি থেকে মানুষের মনকে এক অনাবিল শান্তির রাজ্যে প্রবেশ ঘটায়। তাই আজকের এই উৎসবের দিনে প্রতিটি মুসলমান নর—নারী সৌহার্দে্যর বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে আনন্দকে একত্রে উপভোগ করতে হবে।
ঈদুল ফিতর নির্মল আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ মর্মবাণী মানবজাতির কাছে পৌছে যায় তা হচ্ছে ‘সকলের তরে সকলে আমরা’। এই মর্মবাণী মানসিক কদর্য, অন্যায়, অবিচার ও নিষ্ঠুর সামাজিক অসাম্যকে অতিক্রম করে এক নিবিড় ভাতৃত্ববোধের প্রেরণা জাগায়। আর এই প্রেরণায় উদ্দীপ্ত হয়ে সমাজের অপেক্ষাকৃত দরিদ্র, অবহেলিত ও বঞ্চিত মানুষের প্রতি সাহায্য ও সহমর্মিতার হাত বাড়িয়ে দেয়া মুসলমান হিসাবে আমাদের কর্তব্য।
চাঁদাবাজীর জুলুম, সন্ত্রাসের নানা ডালপালা এবং জিনিসপত্রের অভিঘাত সত্ত্বেও ঈদ আমাদের জাতীয় জীবনে সংস্কৃতির দ্যোতক, আবহমান কাল থেকে শুভেচ্ছা ও আনন্দের আদান—প্রদান।
ঈদুল ফিতরের দিনে আমি আল্লাহর দরবারে মোনাজাত করি বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির জন্য।
আল্লাহ হাফেজ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।”
(অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী)
সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপি।