২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান নিম্নোক্ত বাণী দিয়েছেনঃ
বাণী
“মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ‘৫২’র বাংলাভাষা আন্দোলনের সকল শহীদদের গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। রক্তস্নাত ২১ শে ফেব্রুয়ারী আমাদের জাতীয় জীবনে এক মর্মন্তদ ও গৌরবোজ্জল দিন। ২১শে ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এখন বিশ্বব্যাপী পালন করা হয়। মাতৃভাষা বাংলার অধিকার ও মর্যাদা রক্ষার জন্য সেদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা জীবন বাজি রেখে রাজপথে নেমে এসে পুলিশের গুলিতে নিজের জীবন উৎসর্গ করে। তাদের এই মহান আত্মত্যাগের বিনিময়ে রচিত হয়েছে আমাদের জাতীয় মুক্তি আন্দোলনের প্রথম সোপান। বায়ান্ন সালের ২১’শের পথ ধরেই এদেশের সকল গণতান্ত্রিক এবং স্বাধীকারের সংগ্রাম স¤প্রসারিত হয়ে অর্জিত হয়েছে এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমাদের জাতীয় স্বাধীনতা, জনগণ পায় মুক্তির স্বাদ।
দেশ স্বাধীন হলেও নতুন করে ভিন্ন মাত্রায় আধিপত্যবাদী শক্তি এদেশের উপর সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক আধিপত্য কায়েমের জন্য জাতি হিসেবে আমাদেরকে নতজানু করে রাখতে নানা কারসাজী চালিয়ে যাচ্ছে। ভিন্ন কায়দায় আমাদের ভাষা সংস্কৃতির ওপর বিদেশী সাংস্কৃতিক আগ্রাসন চলছে মহল বিশেষের তাবেদারির জন্য। যাতে আমরা মাথা উচুঁ করে দাঁড়াতে না পারি। আর এইজন্যই এখন মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে আবারো একদলীয় দুঃশাসনের শৃঙ্খলে দেশের মানুষকে আটকে রাখা হয়েছে। গণতন্ত্রকে আরও কঠিনভাবে লৌহ শৃঙ্খলে বন্ধ করে রাখতে বন্দী করা হয়েছে এদেশের বারবার বহুদলীয় গণতন্ত্রের মুক্তির দিশারী বেগম খালেদা জিয়াকে। ৭ জানুয়ারী প্রহসনমূলক একতরফা নির্বাচন বর্জন করে জনগণ আবারও প্রমাণ করেছে যে, গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় তারা দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ। দখলদার আওয়ামী সরকারের দু:শাসনের বিরুদ্ধে চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে জোরালো ও বেগবান করতে এবং জনগণের হারানো অধিকার ফিরিয়ে আনতে একুশের অম্লান চেতনা আমাদেরকে উদ্বুদ্ধ করে।
বাংলাভাষী মানুষের আত্মঅনেষ¦ায় ভাষাচেতনার উন্মেষ ঘটে। বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন আমাদের জাতীয়তাবাদ ও ঐক্যের অনুভূতি জাগ্রত করে। আমাদের ২১ ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করায় এই দিবসটিতে বিশ্বের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী তাদের নিজস্ব মাতৃভাষার চর্চা ও বিকাশ ঘটাতে অদম্য প্রেরণা লাভ করবে। মহান ২১শে ফেব্রুয়ারী উপলক্ষে আমি বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের আয়োজিত নানাবিধ কর্মসূচির সাফল্য কামনা করছি।
পরিশেষে আমি ৫২’র ভাষা শহীদদের রুহের মাগফিতার কামনা করছি এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের জানাচ্ছি সমবেদনা। পাশাপাশি ভাষা সৈনিকদের জানাই শ্রদ্ধা ও অভিনন্দন। তাঁদের পরিবারের সুখ, শান্তি ও দীর্ঘায়ূ কামনা করি।”
(অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী)
সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপি।