০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী’র নিন্দা ও প্রতিবাদ
খুলনা জেলাধীন দৌলতপুর থানা বিএনপির সদস্য সচিব শেখ ইমাম হোসেন মিথ্যা—বানোয়াট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সকল মামলায় হাইকোর্টের জামিন নিয়ে ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে আরও একটি সাজানো মামলায় তাকে আটক করে দৌলতপুর থানা পুলিশ। আটকের পর অমানুষিক নির্যাতন চালিয়ে তাকে পুুলিশের শেখানো স্বীকারোক্তি দিতে বাধ্য করার মাধ্যমে গতকাল জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। পুলিশ কতৃর্ক এ ধরণের অমানবিক, বর্বরোচিত ও ন্যাক্কারজনক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
আজ এক বিবৃতিতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, “৭ জানুয়ারী ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারী আওয়ামী গণবিচ্ছিন্ন সরকার দেশকে পুলিশী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। দখলদার আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী তাদের অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখতে দেশব্যাপী প্রতিদিনই বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর নানা কায়দায় অবর্ণনীয় নির্যাতন—নিপীড়ণ চালিয়ে যাচ্ছে। অব্যাহত গতিতে বানোয়াট ও ভিত্তিহীন মামলা দায়ের করে বিএনপিসহ বিরোধী নেতাকর্মীদের নাজেহাল করা হচ্ছে। আর এধরণের অপকর্ম সাধনের একমাত্র উদ্দেশ্যই হচ্ছে—দেশের বিরোধী দলগুলো যেন ফ্যাসিষ্ট ও কতৃর্ত্ববাদী সরকারের স্বৈরাচারী আচরণের সমালোচনা করতে না পারে। মিথ্যা মামলায় হাইকোর্টের জামিন লাভের পরও নিত্য নতুন সাজানো ও ভিত্তিহীন মামলায় শ্যোন এ্যারেষ্ট দেখিয়ে নেতাকর্মীদের কাছ থেকে শেখানো বুলি আদায় এবং কারাগারে প্রেরণ যেন নিষ্ঠুর আওয়ামী সরকারের রুটিন ওয়ার্কে পরিণত হয়েছে। খুলনা জেলাধীন দৌলতপুর থানা বিএনপির সদস্য সচিব শেখ ইমাম হোসেন এর ওপর পুুলিশের অমানুষিক নির্যাতন, পুুলিশের শেখানো স্বীকারোক্তি আদায় এবং তাকে জেলহাজতে প্রেরণের ঘটনা সেই রুটিন ওয়ার্কেরই অংশ।”
এসব ঘটনায় আমি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি এবং শেখ ইমাম হোসেন এর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত বানোয়াট ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক মামলা প্রত্যাহারসহ নি:শর্ত মুক্তির জোর আহবান জানাচ্ছি।”
বার্তা প্রেরক
(মোঃ তাইফুল ইসলাম টিপু)
সহ—দফতর সম্পাদক
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপি।