০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী’র বিবৃতি
মিথ্যা, বানোয়াট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় হাইকোর্টের জামিনে থাকা কুড়িগ্রাম জেলাধীন রাজিবপুর রৌমারী উপজেলা বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ১১ জন নেতৃবৃন্দ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত কতৃর্ক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কুড়িগ্রাম কারাগারে প্রেরণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
আজ এক বিবৃতিতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, “দেশটা এখন মগের মুল্লুকে পরিণত হয়েছে। ৭ জানুয়ারী ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারী আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখতে দেশব্যাপী প্রতিদিনই বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর নানা কায়দায় অবর্ণনীয় নির্যাতন—নিপীড়ণ শুরু করেছে। অব্যাহত গতিতে বানোয়াট ও ভিত্তিহীন মামলা দায়ের করে বিরোধী নেতাকর্মীদের পর্যদুস্ত ও নাজেহাল করা হচ্ছে। আর এধরণের অপকর্ম সাধনের একমাত্র উদ্দেশ্যই হচ্ছে—দেশের বিরোধী দলগুলো যেন দখলদার সরকারের স্বৈরাচারী আচরণের সমালোচনা করতে সক্ষম না হয়। মিথ্যা মামলায় বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে জামিন না দিয়ে কারাগারে প্রেরণ যেন ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী সরকারের রুটিন ওয়ার্কে পরিণত হয়েছে। কুড়িগ্রাম জেলাধীন রাজিবপুর উপজেলা যুবদলের আহবায়ক রোস্তম মাহমুদ, যুগ্ম আহবায়ক আমিনুল ইসলাম, উপজেলা যুবদল নেতা মোস্তাফিজুর রহমান, আব্দুর রহিম, ইউনিয়ন বিএনপি নেতা সেলিম মিয়া, ইউনিয়ন যুবদল নেতা রফিকুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রদল নেতা মোখলেছুর রহমান, নাজমুল হাসান, পলাশ মাহমুদ, রৌমারী উপজেলা বিএনপি নেতা আলমাছ হোসেন ভোলা এবং আব্দুর রাজ্জাক দুলু’র জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের ঘটনা সেই রুটিন ওয়ার্কেরই অংশ। আদালত কতৃর্ক তাদের জামিন বাতিল ও কারান্তরীণের ঘটনায় আমি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি এবং অবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত বানোয়াট ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক মামলা প্রত্যাহারসহ নি:শর্ত মুক্তির জোর আহবান জানাচ্ছি।”
বার্তা প্রেরক
(মোঃ তাইফুল ইসলাম টিপু)
সহ—দফতর সম্পাদক
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপি।