image

১ জানুয়ারী ২০২৪


বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র বিবৃতি

(জাতীয় স্থায়ী কমিটিতে আলোচিত ও সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত)


সম্প্রতি অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে আখ্যায়িত করে ও বিএনপির বাংলাদেশে রাজনীতি করার অধিকার নেই বলে যে বানোয়াট বক্তব্য দিয়েছেন, তা আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। স্বাধীনতার ঘোষকের প্রতিষ্ঠিত দল বিএনপি স্বাধীন বাংলাদেশে রাজনীতি করার অধিকার হারিয়ে ফেলবে, এমন সম্ভাব্য অপপ্রয়াসে জাতি স্তম্ভিত ও সংক্ষুব্ধ।


ওবায়দুল কাদের দাবি করেছেন, তাঁর কাছে নাকি খবর রয়েছে, বিএনপি বড় ধরণের গুপ্তহত্যা চালাতে পারে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, বিএনপি নির্বাচনের বিরুদ্ধে যে প্রচারণা চালাচ্ছে, তা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। ইতিপূর্বে যুবলীগের সভাপতি জানিয়েছেন, আবার ক্ষমতায় গেলে বিএনপির রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হবে। সম্প্রতি সজীব ওয়াজেদ জয় এবং আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারাও বিএনপির বিরুদ্ধে এরূপ অভিযোগ ও বিষেদ্গারের ফিরিস্তি খুলে বসেছেন। 


যে দলের প্রায় ৫০ লক্ষ সক্রিয় নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে শুধু মিথ্যা মামলাই রয়েছে – যে দলের অকুন্ঠ সমর্থনে রয়েছে সমাজের প্রতিটি শ্রেণী ও পেশার কোটি-কোটি গণতন্ত্রকামী মানুষ – যে দলের দিকে ভোটাধিকার ও স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারের আকাঙ্খায় তাকিয়ে আছে দেশের জনগণ – বর্তমান বাংলাদেশের বৃহত্তম ও জনপ্রিয়তম সেই রাজনৈতিক দল বিএনপির বিরুদ্ধে – আওয়ামী লীগের ধারাবাহিক এসব ষড়যন্ত্রমূলক বক্তব্য তাদেরকে প্রতিনিয়ত একটি জনবিচ্ছিন্ন দলে পরিণত করছে। তাঁদের এই বয়ানের লক্ষ্য, ৭ জানুয়ারির তথাকথিত "ডামি ইলেকশন" আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশে একটি একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করা, যেন এই ঘৃণ্য উদ্যোগের প্রধান বাধা, তথা জনগণের আকাঙ্খার প্রতিফলনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ গণসমর্থিত বিরোধী দল, বিএনপির অগ্রযাত্রাকে রুদ্ধ করা যায়।  


ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে, স্বয়ং শেখ মুজিবুর রহমান গণআকাঙ্খার বিরুদ্ধে গিয়ে, বাকশাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে, সকল রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করেছিলেন। পরবর্তীতে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের উদ্যোগে যখন বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়, একদিকে আওয়ামী লীগ আবার রাজনীতি করবার অধিকার ফেরত পেয়েছিলো, অন্যদিকে শহীদ জিয়ার কৃপায় দেশে ফেরত এসে দলীয় রাজনীতির হাল ধরেছিলেন বর্তমান অনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শহীদ জিয়ার আনুকূল্য পেয়েছিলেন বলেই শেখ হাসিনা এই দেশের মাটিতে রাজনীতি করবার ও রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। আর তাই, দেশবাসী মনে করে, শহীদ জিয়া ও বিএনপির প্রতি শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের চিরন্তন কৃতজ্ঞতাবোধ থাকা উচিত। 


কিন্তু দুঃখজনকভাবে, আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, সম্ভাব্য সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা ও রাজনৈতিক জিঘাংসার মাধ্যমে, আওয়ামী লীগ বছরের পর বছর ধরে চেষ্টা করছে, যেন বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া যায়। এতো গুম, এতো খুন, এতো মামলা, এতো অত্যাচার, এতো মানবাধিকার লঙ্ঘন – ফ্যাসিবাদের নজিরবিহীন নির্মমতা-নিষ্ঠুরতা-নিষ্পেষণেও – বিএনপিকে একবিন্দু দমানো সম্ভব হয়নি। আওয়ামী লীগের মনে রাখতে হবে, বিএনপি নিছক একটি রাজনৈতিক দল নয়। বিএনপি পুরো বাংলাদেশ জুড়ে বিস্তৃত একটি মহীরুহ সংগঠন, যার সমর্থন রয়েছে দেশের প্রতিটি মহল্লায়, সমাজের প্রতিটি স্তরে, রাষ্ট্রের প্রতিটি কাঠামোতে। 


গার্মেন্টস শিল্পের বিকাশ থেকে বিদেশে শ্রমিক রপ্তানি, বহুমুখী কর্মসংস্থান থেকে কৃষি বিপ্লব, শিক্ষার প্রসার থেকে নারীর ক্ষমতায়ন – বাংলাদেশকে একটি সুদৃঢ় অর্থৈনৈতিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় ভিত্তি এনে দিয়েছে বিএনপি, যাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে আওয়ামী লীগ। ক্ষমতার দম্ভে অন্ধ আওয়ামী লীগের অনুধাবন করা উচিত যে, রাষ্ট্রক্ষমতা আঁকড়ে রাখার মোহে, আপাতদৃষ্টিতে চরমপন্থী চিন্তায় তাঁরা লালায়িত হচ্ছে বটে। তবে দীর্ঘমেয়াদে এহেন অপরিণামদর্শী ও একনায়কতান্ত্রিক রাজনীতির পরিনাম ভালো হবে না। বিভাজিত রাজনীতির ধারাবাহিকতায়, সময়ের পালাবদলে, আওয়ামী লীগকেই একদিন এর চরম মূল্য দিতে হবে। সর্বোচ্চ ধৈর্য ও সহিষ্ণুতা অবলম্বন করে, দেশ ও দেশের মানুষের প্রতি নিরঙ্কুশ ভালোবাসা ও দায়বদ্ধতা থেকে, আমরা একটি শান্তিপূর্ণ ও অহিংস আন্দোলন পরিচালনা করছি। বিএনপি প্রত্যাশা করে, শীঘ্রই আওয়ামী লীগের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে, এবং তারা দেশকে সহিংসতার দিকে না ঠেলে, শান্তির দিকে নিয়ে আসবে।


বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যত যখন ফ্যাসিবাদী চক্রান্তে হুমকির মুখে – গণতন্ত্রের পক্ষের সকল শক্তি, দল ও ব্যক্তি যখন ডামি নির্বাচনকে বর্জন করে বিএনপির অসহযোগ আন্দোলনে সাড়া দিয়েছে – দেশের ভেতরে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যখন এই নির্বাচনকে যৌক্তিকভাবেই একটি অগ্রহনযোগ্য নির্বাচন হিসেবে প্রত্যাখ্যান করা হচ্ছে – ঠিক তখন বিএনপিকে নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের দুরভিসন্ধিমূলক বক্তব্যসমূহের উদ্দেশ্য জনগণের কাছে স্পষ্ট।


বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাবলী ও আওয়ামী লীগের রাজনীতির ঐতিহ্য পর্যালোচনা করলে আমরা একটি অপকৌশল দেখতে পাই। বিরোধী দল তথা বিএনপির উপর দমন-নিপীড়নকে কাগজে-কলমে বৈধতা দিতে, আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতারা প্রথমে একটি আশংকাসূচক বক্তব্য দেন, এবং তারপর তাদের আশংকা মোতাবেক সহিংসতা বাস্তবতায় পরিণত হয়। ক্ষমতাসীনদের প্রোপাগান্ডা ক্যাম্পেইনের দায়িত্ব পালন করা কিছু চিহ্নিত মিডিয়া তাঁদের এই পরিকল্পিত বয়ান প্রচারণায় অংশ নেয়। 


উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশের আগে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গণতন্ত্রকামী লক্ষ-লক্ষ জনতার অভূতপূর্ব সমাবেশ ঘটবে, তা আগে থেকেই আঁচ করতে পেরে আওয়ামী লীগ সহিংসতার পরিকল্পনা করে। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই ওবায়দুল কাদের আগাম হুমকি দেন যে, ঢাকায় মহাসমাবেশ করতে আসলে বিএনপির পরিনতি হবে হেফাজতের চেয়েও ভয়াবহ। এই বক্তব্যর মাধ্যমে আওয়ামী লীগ একদিকে হেফাজতে ইসলামের উপরে শাপলা চত্বরে হামলার দায়ভার পরোক্ষভাবে স্বীকার করে নেয়, অন্যদিকে বিএনপির সমাবেশের উপরে হামলার ষড়যন্ত্রমূলক প্রেক্ষাপট তৈরি করে। 


চীন ও রাশিয়ার মতো কিছু স্বৈরতান্ত্রিক রাষ্ট্র ছাড়া – যাদের সাথে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের আদর্শিক সম্পর্ক ও নীতিগত নৈকট্য সর্বমহল স্বীকৃত – পৃথিবীর সব দেশেই সমাবেশ ও মত প্রকাশ একটি গুরুত্বপূর্ণ নাগরিক অধিকার। বিএনপির মৌলিক এই অধিকারটিকে সর্বতোভাবে খর্ব করার পাশাপাশি, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিপথগামী কিছু সদস্য ও আওয়ামী লীগের পেটোয়া বাহিনীকে কাজে লাগিয়ে, প্রধান বিচারপতির বাসভবনের ফটকে ভাংচুর, পুলিশ বক্সে হামলা ও সুরক্ষিত পুলিশ হাসপাতালের সামনের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও একজন পুলিশকে হত্যা করা হয়। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা খুব নিকটে থাকলেও, কেউ সাহায্যে এগিয়ে আসেনি। পরবর্তীতে এসব হামলার মিথ্যা অভিযোগের দায় চাপানো হয় বিএনপির লক্ষ-লক্ষ নেতা-কর্মীর উপর। 


আমাদের সংগ্রামী মহাসচিব ও অন্যান্য সিনিয়র নেতাসহ গত দুই মাসে বিএনপির প্রায় ২৫,০০০ সদস্য ও সমর্থককে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়। হামলা-মামলা, গুম-খুন, কারাবরণ-করাহত্যা, নির্যাতন-নিষ্পেষণ, তথা ফ্যাসিবাদের সম্ভাব্য সকল খড়গ নেমে আসে নেতা-কর্মীদের উপর। রাজনৈতিক এসব হয়রানি যে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট, তা কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাকের মন্তব্যেই স্পষ্ট। তিনি বলেন, একরাতে সব নেতাকে জেল থেকে মুক্তির প্রস্তাব দেওয়া হয় বিএনপিকে। কিন্তু গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথে আপোষহীন দল হিসেবে, ডামি নির্বাচনকে বৈধতা দেওয়ার এই প্রস্তাবে রাজি হয়নি বিএনপি, করেনি জাতির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা। বস্তুত, রাষ্ট্রযন্ত্রের যোগসাজেশে ২৮ অক্টোবরের পূর্বকল্পিত হামলা, ও পরবর্তীতে লাগামহীন মামলা দিয়ে বিএনপির নেতাদের জেলে ঢোকানোর উদ্দেশ্য ছিলো একটিই, আর তা হলো, বিএনপির একাংশের তথাকথিত অংশগ্রহণ দেখিয়ে ডামি নির্বাচনের বৈধতা আদায় করা। 


বিএনপিকে ভাঙ্গনের ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর, ফ্যাসিবাদকে দৃঢ় করবার নতুন ফন্দি-ফিকির খুঁজছে আওয়ামী লীগ। গণভবনে এক অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর বিরোধী দলগুলো কর্তৃক সহিংসতার আশঙ্কা রয়েছে। তিনি তাঁর নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দেন, দলীয়ভাবে সেই সহিংসতাকে মোকাবিলা করে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে। আর এর পরপরই রাষ্ট্রীয় মদদে সহিংসতার ঘটনা বাড়তে থাকে। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বাসে-ট্রেনে আগুনসহ অগ্নিসন্ত্রাস ঘটিয়ে বিএনপির উপর দায় চাপানোর চেষ্টা চলতে থাকে। আওয়ামী লীগের দলীয় অঙ্গসংগঠনে পরিণত হওয়া রাষ্ট্রযন্ত্রের একাংশকে ন্যাক্কারজনকভাবে কাজে লাগিয়ে, রিমান্ডে নিয়ে অমানবিক নির্যাতন করে, ক্ষেত্রবিশেষে জোরপূর্বন ভুয়া স্বীকারোক্তি তৈরি করা হয় বিরোধী দল ও মতের মানুষদের কাছ থেকে। 


গত ১৯ ডিসেম্বর এক মর্মান্তিক ঘটনায়, ঢাকায় চলন্ত ট্রেনের তিনটি বগিতে অগ্নিসংযোগ করা হয় এবং চারজন যাত্রী মারা যান। এই ঘটনাটি বিশ্লেষণ করলেও বোঝা যায় যে, বিরোধী দলের উপর দায় চাপানোর উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রীয় মদদে নাশকতা ঘটানো হয়েছিলো। অগ্নিকাণ্ডের দুই দিন আগেই, ১৯ ডিসেম্বরের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে বিশেষভাবে সরকারী হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত শয্যা, জরুরি পরিষেবা, ডাক্তার এবং অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ-ডিএমপির নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। ডিএমপির এই প্রস্তুতিমূলক উদ্যোগ কেন নেওয়া হয়েছিল, নাশকতার সুস্পষ্ট তথ্য ও পরিকল্পনা তাঁদের কাছে কিভাবে এলো, এবং তারপরেও এটি রোধে কেন তাঁরা কোনো ব্যবস্থা নিলেন না, এসব নিয়ে প্রশ্ন উঠে। এ ধরণের সহিংস ও নাশকতার ঘটনা ঘটানোর মাধ্যমে আওয়ামী লীগ দায় চাপানোর যে নোংরা রাজনীতি করছে, তা মোটেও নতুন নয়। 


এর আগেও ২০১৪-১৫ সালে দেশব্যপী নিজেরা নানাবিধ সহিংসতা ও যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ঘটিয়ে, তার দায়ভার বিরোধী দলের উপর চাপিয়ে দেয় আওয়ামী লীগ, যার তথ্য-প্রমাণ বিভিন্ন সময় আমরা তুলে ধরেছি। এর মাধ্যমে, আওয়ামী লীগ যেমন একদিকে সরকার হিসেবে, গণতন্ত্রকামী হাজার-হাজার নেতা-কর্মীকে গ্রেফতারের মিথ্যা অজুহাত তৈরি করতে চাচ্ছে; অন্যদিকে তেমনি দল হিসেবে, বিএনপির জনকল্যানমুখী ও গণতন্ত্রের পক্ষের অবস্থানকে বিতর্কিত করার প্রোপাগান্ডায় লিপ্ত হচ্ছে। আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাই, সহিংসতার এই রাজনীতির মাধ্যমে আওয়ামী লীগ আগুন নিয়ে খেলছে। তাঁরা নিরীহ মানুষদের হত্যা করে, আগুনে পুড়িয়ে, জনগণের লাশের উপর দিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। 


আওয়ামী লীগের অতীত নাশকতার ইতিহাস ও এসব সহিংসতাকে ব্যবহার করে দমন-পীড়নের কৌশল বিশ্লেষণ করলে এটি প্রতীয়মান যে, বিএনপিকে তথাকথিত সন্ত্রাসী দল হিসেবে মিথ্যা অভিযোগে অভিযুক্ত করে, আওয়ামী অপশক্তি বাংলাদেশে গণতন্ত্র হত্যা ও একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তনের একটি নীল নকশা তৈরি করছে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার একমাত্র আশার প্রদীপ বিএনপিকে নিভিয়ে দেয়ার যে কুচক্রী প্রকল্প তারা হাতে নিয়েছে, তা অচীরেই দু:স্বপ্ন হয়ে দাঁড়াবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই, বিএনপি গণতন্ত্রকামী কোটি-কোটি মানুষকে সাথে নিয়ে, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে, বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবে ইনশাআল্লাহ।


বার্তা প্রেরক:

 

(এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী)

সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি



রিলেটেড প্রোগ্রাম এবং প্রেস রিলিজ

আরো দেখুন