সংশোধনী
প্রেস-বিজ্ঞপ্তি
স্মারকলিপি
তারিখঃ ২৮ নভেম্বর ২০২৩
বরাবর,
মাননীয় প্রধান বিচারপতি
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট, ঢাকা।
বিষয়- ফরমায়েশী ও গায়েবী মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ও আটক রাজবন্দীদের মুক্তির দাবিতে স্মারকলিপি।
মহাত্মন,
আমাদের সালাম গ্রহণ করবেন।
বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় এক অসহনীয় পরিস্থিতিতে কারাবন্দী বিরোধী রাজনৈতিক নেতা-কর্মিদের পরিবারের সদস্যরা আপনার দ্বারস্ত হতে বাধ্য হয়েছি।
আমরা জানি, দেশের সর্বোচ্চ আদালত, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট, বিচার প্রার্থীদের শেষ আশ্রয়স্থল। বিচার বিভাগীয় প্রধান হিসাবে আপনার সদয় অবগতির জন্য নিম্নলিখিত বিষয়গুলোর প্রতি আপনার সুদৃষ্টি কামনা করছিঃ
১। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী দেশের সকল নাগরিক সমান। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে বিরোধী রাজনৈতিক নেতা-কর্মি, বিশেষ করে বিএনপি’র নেতা-কর্মিদের জন্য এ সংবিধান সিদ্ধ অধিকারটি যেন প্রযোজ্য নয়, যার প্রমান আমরা সর্বক্ষেত্রে দৃশ্যমান দেখতে পাচ্ছি। বর্তমান সরকার হয়রানি ও ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা গায়েবী মামলাকে বিরোধী দল দমনের প্রধান অবলম্বনে পরিনত করেছে। এই কাজে তারা রাষ্ট্রের পুলিশ ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাকে দলীয় প্রতিষ্ঠান হিসাবে যথেচ্ছ ব্যবহার করছে। সরকার ও সরকারি দল বিচার বিভাগকে তাদের অপতৎপরতার প্রধান বাহনে পরিনত করেছে।
২। মিথ্যা, ভুয়া, গায়েবী মামলায় আমাদের স্বজনদের দীর্ঘদিন কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। দেশের শীর্ষ স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, বিএনপি’র মহাসচিব জনাব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য জননেতা জনাব মির্জা আব্বাস, জননেতা জনাব আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী সহ সর্বস্তরের হাজার হাজার নেতা-কর্মি মিথ্যা মামলায় কারারুদ্ধ হয়ে রয়েছেন। গ্রেফতারের পর তাদের অনেকের উপর চালানো হয়েছে অমানুষিক নির্যাতন। অনেককে আটকের পর দীর্ঘদিন অজ্ঞাত স্থানে আটক করে রাখা হয়েছে। সংবিধান ও ফৌজদারী কার্যবিধি অনুযায়ী গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে নিকটতম ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির করার বিধান থাকলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে তা করা হচ্ছে না। পুলিশী হেফাজতে চালানো হচ্ছে নির্মম নির্যাতন। আবার অজ্ঞাত স্থান থেকে আদালতে হাজির করার পর পুলিশ রিমান্ডে নেয়া হচ্ছে এবং পুলিশ রিমান্ডের নামে নির্যাতন করা হচ্ছে। রিমান্ডে নির্যাতন থেকে বাচাতে পরিবারের কাছ থেকে অবৈধ আর্থিক সুবিধা দাবি করা হচ্ছে। গ্রেফতারকৃত অনেককে নির্যাতন করে মিডিয়ার সামনে তথাকথিত স্বীকারোক্তিমূলক বক্তব্য প্রদান করতে বাধ্য করা হচ্ছে। অথচ সংবিধান ও প্রচলিত আইন এটি কোনভাবেই অনুমোদন করে না।
৩। রাজনৈতিক নেতা-কর্মিদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা করা হচ্ছে না। এজাহার বহির্ভূত ব্যক্তিদেরকে যথেচ্ছ গ্রেফতার করা হচ্ছে। মধ্যরাতের পর বাড়ি বাড়ি অকস্মাৎ হানা দেয়া হচ্ছে। এসব পুলিশী তান্ডবে পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠ সদস্য, শিশুরা মানুষিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ (traumatised) হয়ে পড়ছে। রাজনৈতিক নেতা-কর্মিকে আটক করতে না পেরে তাদের পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠ সদস্য ও নাবালক সন্তানদের পর্যন্ত আটক করা হচ্ছে। বিগত ২৮শে অক্টোবর, ২০২৩ বিএনপিসহ বিরোধী দলসমূহের মহাসমাবেশে সরকার ও সরকারি দলের পরিকল্পিত সহিংসতা ও নাশকতার নজিরবিহীন দুঃখজনক ঘটনাবলীর পর এই পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী ৮১৫ এর অধিক হয়রানিমূলক গায়েবী মামলায় ১৯৬০৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আসামি করা হয়েছে ৭০৫০৮ জন বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীকে। আহত হয়েছেন ৮১৭৯ জনের অধিক নেতা কর্মী। নিহত হয়েছেন একজন সাংবাদিকসহ বিএনপির ১৭ জন নিবেদিত প্রাণ কর্মি। এছাড়া ২৯টি মিথ্যা মামলায় ৯ জনের মৃত্যু দন্ডাদেশ প্রদান করা হয়েছে। ২০০৯ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার মামলায় বিএনপি ও বিএনপির সহযোগী গণসংগঠনসমূহের ৫০ লক্ষের বেশী নেতাকর্মী-সমর্থকদেরকে আসামি করা হয়েছে।
৪। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের জামিন লাভের অধিকার আজ ভুলুন্ঠিত। জামিন প্রদানের ক্ষেত্রে দেশের সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক প্রণীত নজীর (Precedent) বিরোধী নেতা-কর্মিদের জামিনের ক্ষেত্রে মানা হচ্ছে না। কোন অভিযুক্তের এজাহারে নাম না থাকা, এজাহারে নাম থাকলেও সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না থাকা, বয়োজ্যেষ্ঠতা, ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারার বিধানমতে অভিযুক্তের নিজের ও অন্য সহ-অভিযুক্তের কোন জবানবন্দী না থাকা, এজাহার দৃষ্টে মামলাটি রাজনৈতিক হয়রানিমুলক হওয়া, অভিযুক্তের কাছ থেকে কোন আলামত উদ্ধার না হওয়া ইত্যাদি বিষয়গুলো চিরচারিতভাবে জামিন প্রদানের ক্ষেত্রে যৌক্তিক কারণ বিবেচিত হলেও বিএনপি নেতা-কর্মিদের জামিন প্রদানের ক্ষেত্রে এই নীতিগুলি অনুসরণ করা হচ্ছে না। ফলে নি¤œ আদালত সমূহ থেকে বিএনপি নেতা-কর্মিরা জামিন পাচ্ছেন না। বয়োজ্যেষ্ঠ সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকেও জামিন থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, কারাগারগুলোতে ধারন ক্ষমতার তিনগুন বন্দি রাখা হয়েছে। যারা সবাই বিরোধী দলীয় কর্মি-সমর্থক। অনেকক্ষেত্রে কারাগারগুলোতে বিরোধী নেতা-কর্মিদেরকে নানাভাবে নাজেহাল ও হয়রানি করা হচ্ছে।
৫। রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলায় ইতোপূর্বে আগাম জামিন প্রদান করা হলেও বর্তমানে সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অধিকাংশ ফৌজদারী আদালতসমূহ আগাম জামিনের দরখাস্ত শুনানী করতে অপারগতা প্রকাশ করছেন। ফলে রাজনৈতিক হয়রানির মাত্রা বেড়েই চলেছে।
৬। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধী নেতা-কর্মিদের বিরুদ্ধে বহুপূর্বে দায়েরকৃত রাজনৈতিক মামলা সমূহ অবিশ্বাস্য দ্রুততায় নিষ্পন্ন করে তাদেরকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করা হচ্ছে। গত ২৭/১১/২০২৩ ইং দৈনিক প্রথম আলো’য় প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, গত তিন মাসে ৩১টি মামলায় বিএনপি ও এর অংগ-সহযোগী সংগঠনের অন্তত ৫৪৫ জনের সাজা প্রদান করা হয়েছে। এ সকল মামলার বিচারের ক্ষেত্রে ফৌজদারী বিচার পদ্ধতি যথাযথভাবে অনুসরন করা হয়নি। আদালতের নির্ধারিত বিচারিক সময়ের বাইরে রাত ৯টা পর্যন্ত সাক্ষী গ্রহণ করা হয়েছে। নিরপেক্ষ সাক্ষী না ডেকে পুলিশ সাক্ষীর উপর নির্ভর করে প্রহসনমুলকভাবে সাজা প্রদান করা হয়েছে।
৭। অবস্থাদৃষ্টে প্রতীয়মান হচ্ছে যে, আমাদের আদালত সমূহ স্বাধীনভাবে বিচারকাজ পরিচালনা করতে পারছেনা। বিচারকাজ পরিচালনায় সরকারের ইচ্ছা-অনিচ্ছার প্রতিফলন দৃশ্যমান। জাতি হিসাবে বিরোধী নেতা-কর্মিদের নামে মিথ্যা, গায়েবী, হয়রানিমূলক মামলা দায়ের, গৃহহারা করা, অজ্ঞাত স্থানে আটক রাখা, পুলিশ হেফাজতে নির্যাতন, জামিন প্রদান না করা, গণহারে সাজা প্রদানের মত নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা আমাদেরকে ব্যাপকভাবে হতাশ করছে। এর ফলে বিচার ব্যবস্থার প্রতি সাধারন মানুষ আস্থা হারাচ্ছে। বহির্বিশ্বেও বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা সমালোচিত হচ্ছে। The New York Times, The Guardian এর মত আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বাংলাদেশ বিরোধী দল দমনে বিচার বিভাগ ব্যবহৃত হচ্ছে মর্মে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। অথচ স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা নিরন্তর সংগ্রাম করেছি।
মহোদয়, আমাদের বিশ্বাস, বিচার বিভাগের অভিভাবক হিসাবে দেশের বিচার বিভাগকে রক্ষা করা, স্বাধীন বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠা ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় আপনি অগ্রণী ভূমিকা রাখবেন। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার নামে বিরোধী নেতা-কর্মিদের উপর আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর চলমান দমন-নিপীড়ন, মিথ্যা, গায়েবী, হয়রানিমূলক মামলায় গণ গ্রেফতার, পুলিশ রিমান্ডে নির্যাতন, ঢালাও সাজা প্রদান, জামিন প্রদান না করার বিষয়ে আপনার উদ্যোগী ভূমিকা প্রত্যাশা করছি। আমাদের অনুরোধ থাকবে গণ গ্রেফতারকৃত বিএনপি ও বিরোধী মতাবলম্বী রাজনৈতিক বন্দিদের আশু মুক্তির জন্য আপনি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ ও আদালত সমূহের প্রতি প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করবেন।
কারান্তরীণ এবং ফরমায়েশী রায়ে সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি জাতীয় নেতৃবৃন্দ ও সিনিয়র নেতৃবৃন্দের তালিকা।
ক্রমিন নং নাম পদবী সাজাপ্রাপ্ত/
কারান্তরীন
১. দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মাননীয় চেয়ারপার্সন-বিএনপি। সাজাপ্রাপ্ত ও কারান্তরীণ
২. দেশনায়ক তারেক রহমান মাননীয় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান-বিএনপি। সাজাপ্রাপ্ত
৩. ডাক্তার জুবায়দা রহমান বিশিষ্ট্য চিকিৎসক সাজাপ্রাপ্ত
৪. মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মাননীয় মহাসচিব-বিএনপি। কারান্তরীণ
৫. মির্জা আব্বাস সদস্য, জাতীয় স্থায়ী কমিটি-বিএনপি কারান্তরীণ
৬. আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী সদস্য, জাতীয় স্থায়ী কমিটি-বিএনপি কারান্তরীণ
৭. ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু সদস্য, জাতীয় স্থায়ী কমিটি-বিএনপি সাজাপ্রাপ্ত
৮. ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীর উত্তম ভাইস চেয়ারম্যান-বিএনপি। কারান্তরীণ
৯. এয়ার ভাইস মার্শাল (অব:) আলতাফ হোসেন চৌধুরী ভাইস চেয়ারম্যান-বিএনপি। কারান্তরীণ
১০. মোহাম্মদ শাহজাহান ভাইস চেয়ারম্যান-বিএনপি। সাজাপ্রাপ্ত ও কারান্তরীণ
১১. শামসুজ্জামান দুদু ভাইস চেয়ারম্যান-বিএনপি। কারান্তরীণ
১২. আব্দুস সালাম পিন্টু ভাইস চেয়ারম্যান-বিএনপি। সাজাপ্রাপ্ত ও কারান্তরীণ
১৩. আমান উল্লাহ আমান সদস্য, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিল সাজাপ্রাপ্ত ও কারান্তরীণ
১৪. আতাউর রহমান ঢালী সদস্য, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিল। কারান্তরীণ
১৫. হাবিবুর রহমান হাবিব সদস্য, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিল। সাজাপ্রাপ্ত ও কারান্তরীণ
১৬. সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমি সদস্য, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিল। কারান্তরীণ
১৭. মজিবর রহমান সরোয়ার যুগ্ম মহাসচিব-বিএনপি। কারান্তরীণ
১৮. সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল যুগ্ম মহাসচিব-বিএনপি। কারান্তরীণ
১৯. খায়রুল কবির খোকন যুগ্ম মহাসচিব-বিএনপি। কারান্তরীণ
২০. আসলাম চৌধুরী যুগ্ম মহাসচিব-বিএনপি। সাজাপ্রাপ্ত ও কারান্তরীণ
২১. হাবিব উন-নবী খান সোহেল যুগ্ম মহাসচিব-বিএনপি। সাজাপ্রাপ্ত
২২. রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু সাংগঠনিক সম্পাদক-বিএনপি। কারান্তরীণ
২৩. সৈয়দ ইমরান সালেহ প্রিন্স সাংগঠনিক সম্পাদক-বিএনপি। কারান্তরীণ
২৪. সালাউদ্দীন আহমেদ বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক-বিএনপি। কারান্তরীণ
২৫. শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী প্রচার সম্পাদক-বিএনপি। কারান্তরীণ
২৬. হাবিবুল ইসলাম হাবিব প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক-বিএনপি। সাজাপ্রাপ্ত ও কারান্তরীণ
২৭. মীর সরফত আলী সপু স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক-বিএনপি। সাজাপ্রাপ্ত
২৮. আজিজুল বারি হেলাল তথ্য বিষয়ক সম্পাদক-বিএনপি। সাজাপ্রাপ্ত
২৯. জি কে গৌউছ সমবায় বিষয়ক সম্পাদক কারান্তরীণ
৩০. অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দীন সম্পাদক কেন্দ্রীয় বিএনপি ও সাধারণ সম্পাদক কুষ্টিয়া জেলা বিএনপি। কারান্তরীণ
৩১. সুলতান সালাউদ্দীন টুকু সভাপতি, কেন্দ্রীয় যুবদল। সাজাপ্রাপ্ত
৩২. রফিকুল ইসলাম মজনু সদস্য সচিব, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ-বিএনপি কারান্তরীণ
৩৩. আমিনুল হক সদস্য সচিব, ঢাকা মহানগর উত্তর-বিএনপি কারান্তরীণ
৩৪. জহির উদ্দিন স্বপন আহ্বায়ক, বিএনপি মিডিয়া সেল। কারান্তরীণ
৩৫. শরিফুল আলম সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক-বিএনপি। কারান্তরীণ
৩৬. ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক-বিএনপি। কারান্তরীণ
৩৭. বেলাল আহমেদ সহ-গ্রাম সরকার বিষয়ক সম্পাদক-বিএনপি সাজাপ্রাপ্ত ও কারান্তরীণ
৩৮. এ্যাড. শফিকুল হক মিলন সহ-ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক-বিএনপি। কারান্তরীণ
৩৯. ইউসুফ বিন জলিল (মির্জা কালু) সহ-সভাপতি, কেন্দ্রীয় যুবদল। কারান্তরীণ
৪০. আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েল সহ-স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক-বিএনপি সাজাপ্রাপ্ত
৪১. সাইফুল আলম নিরব সাবেক সভাপতি, কেন্দ্রীয় যুবদল। সাজাপ্রাপ্ত ও কারান্তরীণ
৪২. শেখ রবিউল আলম রবি সদস্য, জাতীয় নির্বাহী কমিটি-বিএনপি। সাজাপ্রাপ্ত ও কারান্তরীণ
৪৩. টি এস আইয়ুব সদস্য, জাতীয় নির্বাহী কমিটি-বিএনপি। কারান্তরীণ।
৪৪. রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লা সদস্য, জাতীয় নির্বাহী কমিটি-বিএনপি। কারান্তরীণ
৪৫. হাবিবুর রশিদ হাবিব সদস্য, জাতীয় নির্বাহী কমিটি-বিএনপি। সাজাপ্রাপ্ত
৪৬. মামুন হাসান সদস্য, জাতীয় নির্বাহী কমিটি-বিএনপি ও সিনিয়র সহ-সভাপতি, কেন্দ্রীয় যুবদল। সাজাপ্রাপ্ত
৪৭. সাবেরা নাজমুল মুন্নি সদস্য, জাতীয় নির্বাহী কমিটি-বিএনপি কারান্তরীণ
৪৮. আব্দুল মোনায়েম মুন্না সাধারণ সম্পাদক, কেন্দ্রীয় যুবদল। কারান্তরীণ
৪৯. মোস্তাফিজুর রহমান সাবেক সভাপতি, স্বেচ্ছাসেবক দল। কারান্তরীণ
৫০. রাজিব আহসান সাধারণ সম্পাদক-কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দল। সাজাপ্রাপ্ত
৫১. এস এম জাহাঙ্গীর সাবেক সভাপতি, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদল। সাজাপ্রাপ্ত ও কারান্তরীণ
৫২. আকরামুল হাসান মিন্টু সাবেক সাধারণ সম্পাদক, কেন্দ্রীয় ছাত্রদল । সাজাপ্রাপ্ত
৫৩. ইসহাক সরকার সাংগঠনিক সম্পাদক, কেন্দ্রীয় যুবদল। সাজাপ্রাপ্ত
৫৪. আজিজুর রহমান মোসাব্বির কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা। সাজাপ্রাপ্ত
৫৫. আহসান হাবিব লিংকন মহাসচিব, জাতীয় পার্টি সাজাপ্রাপ্ত ও কারান্তরীণ
৫৬. মিয়া নুরুদ্দীন অপু বিএনপি নেতা কারান্তরীণ
৫৭. আবু সাঈদ চাঁদ সভাপতি, রাজশাহী জেলা বিএনপি। সাজা প্রাপ্ত ও কারান্তরীণ
৫৮. শামসুজ্জামান সামু আহবায়ক, রংপুর মহানগর বিএনপি। কারান্তরীণ
৫৯. মাহফুজুন্নবী ডন সদস্য সচিব, রংপুর মহানগর বিএনপি। কারান্তরীণ
৬০. আনিসুর রহমান লাকু সদস্য সচিব, রংপুর জেলা বিএনপি। সাজাপ্রাপ্ত
৬১. এ কে কিবরিয়া স্বপন সদস্য সচিব, ফরিদপুর জেলা বিএনপি। কারান্তরীণ
৬২. জহির আলম নয়ন যুগ্ম আহ্বায়ক, রংপুর মহানগর বিএনপি । কারান্তরীণ
৬৩. তারেক হাসান সোহাগ সহ-সভাপতি, রংপুর জেলা যুবদল। কারান্তরীণ
৬৪. সিরাজুল ইসলাম সদস্য সচিব, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপি। কারান্তরীণ
৬৫. আমির এজাজ খান আহ্বায়ক, খুলনা জেলা বিএনপি। কারান্তরীণ
৬৬. মনিরুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক, নড়াইল জেলা বিএনপি। কারান্তরীণ
৬৭. সোহরাব উদ্দীন সাধারণ সম্পাদক, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপি। কারান্তরীণ
৬৮. আমজাদ হোসেন সাধারণ সম্পাদক, মেহেরপুর জেলা বিএনপি। কারান্তরীণ
৬৯. ডাক্তার মাঈনুল হোসেন সাদী সভাপতি, গাইবান্ধা জেলা বিএনপি। কারান্তরীণ
৭০. দুলাল হোসেন সভাপতি, দিনাজপুর জেলা বিএনপি। কারান্তরীণ
৭১. খন্দকার মাকসুদুর রহমান মাসুদ সদস্য সচিব, পাবনা জেলা বিএনপি। কারান্তরীণ
৭২. গোলজার হোসেন আহবায়ক, জয়পুরহাট জেলা বিএনপি। কারান্তরীণ
৭৩. ফরহাদ ইকবাল সাধারণ সম্পাদক, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপি। কারান্তরীণ
৭৪. আবু ইউসুফ টিপু সদস্য সচিব, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি। কারান্তরীণ
৭৫. মনিরুজ্জামান ফারুক আহ্বায়ক, বরিশাল মহানগর বিএনপি। কারান্তরীণ
৭৬. লাভলু গাজী সদস্য সচিব, পিরোজপুর জেলা বিএনপি। কারান্তরীণ
৭৭. শেখ ফরিদ উদ্দিন বাহার আহ্বায়ক, ফেনী জেলা বিএনপি। কারান্তরীণ
৭৮. বায়েজিদ হোসেন পলাশ সদস্য সচিব, নওগাঁ জেলা বিএনপি। কারান্তরীণ
৭৯. মাহমুদুন নবী টিটুল সাধারণ সম্পাদক, গাইবান্ধা জেলা বিএনপি। কারান্তরীণ
৮০. মঞ্জুর এলাহী সদস্য সচিব, নরসিংদী জেলা বিএনপি কারান্তরীণ
৮১. লাভলু গাজী সদস্য সচিব, পিরোজপুর জেলা বিএনপি। কারান্তরীণ
৮২. ফকরুল ইসলাম রবিন সহ-সভাপতি, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দল। সাজা প্রাপ্ত ও কারান্তরীণ
৮৩. রবিন আহমেদ যুগ্ম আহ্বায়ক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ-বিএনপি। কারান্তরীণ
৮৪. ইউনুস মৃধা যুগ্ম আহ্বায়ক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি কারান্তরীণ
৮৫. হাজী মোহাম্মদ মনির যুগ্ম আহ্বায়ক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি কারান্তরীণ
৮৬. গোলাম মাওলা শাহিন সাবেক সভাপতি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদল। কারান্তরীণ
৮৭. খন্দকার এনামুল হক এনাম সভাপতি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদল। সাজাপ্রাপ্ত
৮৮. আজিজুর রহমান মোসাব্বির সভাপতি, ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবকদল কারান্তরীণ
৮৯. সাখওয়াত হোসেন সেলিম যুবদলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা। কারান্তরীণ।
২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে মহাসমাবেশের ৪/৫ দিন পূর্ব থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত মোট গ্রেফতার : ১৭০১০ জনের অধীন নেতাকর্মী
মোট মামলা : ৪৩৫ টির অধিক
মোট আহত : ৪৭৩৮ জনের অধিক নেতাকর্মী
মৃত্যু : ১৭ জন (সাংবাদিক ১ জন)
মিথ্যা মামলায় সাজা : মোট ২৯ টি মামলায়ঃ ৯ জনের মৃত্যুদন্ডাদেশ ও প্রায় ৫২৬ জনের অধিক নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ডাদেশ দেয়া হয়েছে।
রাজবন্দীদের স্বজনদের পক্ষে,
(আফরোজা আব্বাস)