২৬ নভেম্বর ২০২৩
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
শহীদ ডাঃ মিলন দিবস উপলক্ষে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান নিম্নোক্ত বাণী দিয়েছেনঃ-
বাণী
“শহীদ ডাঃ শামসুল আলম খান মিলন ‘৯০ সালে স্বৈরাচার বিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনে একটি অবিস্মরণীয় নাম। ডাঃ মিলনের আত্মদান ‘৮০ দশকের স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলন চলাকালে ১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর স্বৈরশাহীর লেলিয়ে দেয়া পেটোয়া বাহিনীর গুলিতে শহীদ হন তিনি। আমি শহীদ ডা: শামসুল আলম খান মিলনের আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি এবং তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করছি।
এক বর্বর অত্যাচারী শাসনের শৃঙ্খল থেকে গণতন্ত্রকে উদ্ধার করতে গিয়েই শহীদ হয়েছেন ডাঃ শামসুল আলম খান মিলন। সকল কর্তৃত্ববাদী, স্বৈরাচারী ও গণতন্ত্র বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামে ডা: মিলন আমাদের উদীপ্ত প্রেরণার উৎস।
নিরন্তর সংগ্রামে কষ্টার্জিত ও রক্ত¯œাত গণতন্ত্র আবারও গভীর সংকটের মধ্যে নিপতিত। ২০১৪ এর ৫ জানুয়ারীর ভোটারবিহীন নির্বাচন এবং ২০১৮ এর ভোটের আগের রাতে নিশিরাতের নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটের অধিকারকে হত্যা করে বাকশালের পুনরুজ্জীবন ঘটিয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথচলাকে রুদ্ধ করা হয়েছে। ভিন্নমত প্রকাশ এবং কথা বলার স্বাধীনতাকে নানা কালা-কানুনের মাধ্যমে সম্পূর্ণরুপে হরণ করা হয়েছে। আজ্ঞাবাহী নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে নির্বাচনী তফশীল ঘোষনার দ্বারা আবারও একতরফা প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে জোর করে ক্ষমতায় থাকতে সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী। আওয়ামী লীগের শক্তি জনগণ নয়, আওয়ামী লীগের শক্তি দলীয় চেতনায় সাজানো আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও দলীয় ক্যাডার’রা। তাই বর্তমানে রাজধানীসহ সারাদেশে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের ওপর চলছে নজীরবিহীন গ্রেফতার, জুলুম-নির্যাতন ও পাইকারী হারে সাজা দেয়ার হিড়িক। গণতন্ত্রের শত্রæ আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে স্বীকৃত সকল প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে ফেলেছে। বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশন, প্রশাসনসহ সকল রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানই সরকারের মুখাপেক্ষী। ভোটের অধিকারসহ জনগণের মৌলিক মানবাধিকার হরণ করে অতীত বাকশালের দু:স্বপ্ন এখন ভয়াল রুপে আত্মপ্রকাশ করেছে। গণতন্ত্র ছাড়া মানুষ নিজের ইচ্ছামতো বিকাশ লাভ করতে পারে না। ব্যক্তি স্বাধীনতা মানুষের জন্মগত অধিকার। গণতন্ত্র ধ্বংসকারী অপশক্তিগুলোর চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত¡াবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাস্তবায়ন ও ‘গণতন্ত্রের প্রতীক’ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ বিএনপি’র সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মুক্ত করতে আমাদের চলমান আন্দোলনকে বিজয়ের পথে ধাবিত করতে হবে। গণতন্ত্রকে মজবুত ভীতের ওপর দাঁড় করাতে হবে। আর তাহলেই ডাঃ মিলনের আত্মত্যাগ সার্থক হবে।
আল্লাহ হাফেজ, বাংলাদশ জিন্দাবাদ।”
(অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী)
সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি।