image

২১ নভেম্বর ২০২৩

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর বিবৃতি

আজ সকালে বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্বাস এর শাহজাহানপুরস্থ বাসভবনে আওয়ামী দৃস্কৃতিকারিদের ককটেল বিস্ফোরণ, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও পাবনা জেলা বিএনপি’র আহবায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব-কে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় র‌্যাব কর্তৃক গ্রেফতার, মিথ্যা মামলায় বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপুসহ ১৪ জনকে দেড় বছর করে সাজা এবং পৃথক আরেকটি মিথ্যা মামলায় হাবিব উন নবী খান সোহেল, আজিজুল বারী হেলাল, যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান মিন্টু, হাবিবুর রশিদ হাবিব ও যুবদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি এনামুল হক এনামসহ ২৫ জনকে দুই বছর করে সাজা প্রদানের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

আজ এক বিবৃতিতে বিএনপি'র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, “গত ২৮ অক্টোবরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি’র মহাসমাবেশের পর দেশে শুরু হয়েছে সরকারদলীয় সন্ত্রাসী ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নৃশংস কর্মকান্ড। এরই ধারাবাহিকতায় জনাব মির্জা আব্বাস এর বাসভবনে আওয়ামী দুস্কৃতিকারিরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। এ ধরণের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের উদ্দেশ্যই হচ্ছে সারাদেশে ভয়ের পরিবেশ গড়ে তোলা যাতে আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কেউ প্রতিবাদী হতে সাহস না পায়। কিন্তু অবৈধ শাসকগোষ্ঠী ভুলের স্বর্গে বাস করছে, এ ধরণের সন্ত্রাসের মাধ্যমে চলমান আন্দোলন দমণ করা যাবে না।

২৮ অক্টোবরের পূর্বাপর বিএনপি’র শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদেরকে গ্রেফতারের ধারাবাহিকতায় হাবিবুর রহমান হাবিবকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। এছাড়া মিথ্যা মামলায় বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপুসহ ১৪ জনকে দেড় বছর করে সাজা এবং পৃথক আরেকটি মিথ্যা মামলায় হাবিব উন নবী খান সোহেল, আজিজুল বারী হেলাল, যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান মিন্টু, হাবিবুর রশিদ হাবিব ও যুবদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি এনামুল হক এনামসহ ২৫ জনকে দুই বছর করে সাজা প্রদান করা হয়েছে। উপরোল্লিখিত নেতৃবৃন্দকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী বিএনপি-কে দুর্বল ও রাজনীতিবিমূখ করার যে চক্রান্ত করছে সেটিও সম্ভব নয়। কারণ বিএনপি নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী আদর্শে এতটাই বিশ্বাসী যে, তাদেরকে চক্রান্ত করে দুর্বল করা যাবে না। জনদাবিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিশিরাতের আওয়ামী সরকার বশংবদ নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে নির্বাচনী তফলীল ঘোষনার পর বিএনপিসহ বিরোধী নেতাকর্মীদেরকে গ্রেফতার ও মিথ্যা মামলায় সাজা দেয়ার মাত্রা তীব্র থেকে তীব্রতর করেছে। সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হলে বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর ব্যাপক ভরাডুবি হবে ভেবেই তারা বিএনপি’র শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীকে গণহারে গ্রেফতার করে কারান্তরীণ রেখে এবং দন্ডাদেশ দিয়ে একতরফা নির্বাচন করতে চাচ্ছে। বিএনপি-কে নির্বাচনী মাঠ থেকে সরিয়ে দিয়ে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী তাদের গৃহপালিত কিছু রাজনৈতিক দলকে সাথে নিয়ে নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে চাচ্ছে। আবারও যেনতেন নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা কুক্ষিগত করতে এটি তাদের সুপরিকল্পিত মাষ্টারপ্ল্যান। তবে এবার ২০১৪ এবং ২০১৮ এর মতো নির্বাচন করতে দিবে না দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ। জনগণ সম্মিলিতভাবে সরকারের সকল দুরভিসন্ধি নস্যাৎ করতে বদ্ধপরিকর। নির্যাতন-নিপীড়ণের মাত্রা যত বাড়বে বিএনপিসহ বিরোধী নেতাকর্মী ও জনগণ আরও বলীয়ান হয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করেই ঘরে ফিরবে।”

বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বিবৃতিতে মির্জা আব্বাস এর বাসভবনে ককটেল বিস্ফোরণকারি আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানসহ হাবিবুর রহমান হাবিবের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নি:শর্ত মুক্তি এবং নেতৃবৃন্দকে মিথ্যা মামলায় দেয়া সাজা প্রত্যাহারের জোর আহŸান জানান।

বার্তা প্রেরক

 

মুহম্মদ মুনির হোসেন

সহ-দপ্তর সম্পাদক

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি


রিলেটেড প্রোগ্রাম এবং প্রেস রিলিজ

আরো দেখুন