তারিখ: ১৩ নভেম্বর ২০২৩
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
বিএনপি’র স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ রফিকুল ইসলাম এর বিবৃতি
আন্তর্জাতিক স্বনামধন্য পত্রিকা ‘দ্যা গার্ডিয়ান’ বাংলাদেশে অব্যহত পুলিশি নির্যাতন ও বিনা বিচারে বন্দী রাখা নিয়ে “Full prisons and false charges: Bangladesh opposition faces pre-election crackdown” শিরোনামে একটি উদ্বেগজনক সংবাদ সবার সামনে এনেছে। যাতে দেখা যাচ্ছে শুধুমাত্র গত দুই সপ্তাহে ১০০০০ জনকে বন্দী করা হয়েছে। রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে ৪০০০ জনের ধারন ক্ষমতার বিপরীতে আছে ১৩৬০০ জন। বাকিসব কারাগারেও একই অবস্থা দৃশ্যমান।
এমতাবস্থায় চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে মানবেতর জীবনযাপন করছে বিনা দোষে আটক মানুষগুলো। যা পরিষ্কারভাবে মানবাধিকার লংঘন। সম্প্রতি গত হওয়া বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ এখনও পুরোপুরি শেষ হয়নি। স্বল্প জায়গায় এতো মানুষ থাকায় তারা কোভিড-১৯ সহ নানা ধরনে ফুসফুস সংক্রমনের ঝুঁকিতে আছে। বাংলাদেশ যক্ষার জন্য একটি চরম মাত্রা ঝুঁকির দেশ যা একসাথে অধিক সংখ্যক মানুষ থাকায় মারাত্মক ঝুঁকি বাড়ায়। এছাড়া নিউমোনিয়া ও ফুসফুসের অন্যান্য সংক্রমনেও আক্রান্ত হচ্ছে কারাবন্দিরা।
অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকার জন্য পানিবাহিত বিভিন্ন রোগ যেমন টাইফয়েড, ডিসেন্ট্রি কিংবা হেপাটাইটিসের সংক্রমনের হারও অনেক বেশি। একই সাথে নানা ধরনের চর্মরোগ, কিডনিতে সংক্রমন ও কিডনী অকার্যকর হয়ে পড়ছে অনেক বন্দীদের। এছাড়াও চলমান ডেঙ্গু মহামারি নিয়ে পুরো দেশই যখন বিপর্যস্ত তখন কারাবন্দী নির্যাতিত এই মানুষগুলোর জন্য যে কোনো বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয় না তা সহজেই অনুমেয়।
এছাড়া অনেক বন্দী আছে আয়নাঘরের মত যারা দিনের পর দিন সূর্যের আলো দেখে না তারাও ভিটামিন ডি-এর অভাবে ভোগে, বেশিরভাগ কারাবন্দী নানা রকম মানসিক নির্যাতনের মধ্যে দিয়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে।
এভাবে চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে মানবেতর জীবনযাপন একটা স্বাধীন দেশের রাজবন্দীদের ভোগ করতে হচ্ছে যা ইতিহাসে অতীতে নাৎসি বাহিনীসহ অন্যান্য স্বৈরশাসকদের কর্তৃক নির্যাতনের ইতিহাসকেও হার মানায়।
এভাবে চলতে পারে না, তাই অবিলম্বে সকল রাজবন্দীদের মুক্তি দিয়ে তাদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে এবং সকল ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন থেকে বিরত থাকতে হবে নয়তো ইতিহাস কোনোদিন এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে ক্ষমা করবে না।
বার্তা প্রেরক
(মুহম্মদ মুনির হোসেন)
সহ-দফতর সম্পাদক
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি