২৩ অক্টোবর ২০২৩
শারদীয় দূর্গাপুজা ও বিজয়া দশমী উপলক্ষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিম্নোক্ত বাণী দিয়েছেন—
বাণী
“হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় এবং সামাজিক উৎসব শারদীয় দূর্গাপুজা ও বিজয়া দশমী। এ উপলক্ষে আমি হিন্দু ধর্মাবলম্বী সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। তাদের অব্যাহত সুখ, শান্তি ও কল্যাণ কামনা করছি। শারদীয় দূর্গাপুজা বাংলা ভাষাভাষী জনগোষ্ঠীর হিন্দু স¤প্রদায়ের মানুষের জীবনে একটা বিশেষ স্থান দখল করে আছে। সুদীর্ঘ কাল ধরেই এই উপমহাদেশে এই ধর্মীয় উৎসবটি এক সমৃদ্ধশালী ঐতিহ্য ধারণ করে আছে। যে কোন ধর্মীয় উৎসবই সাপ্রদায়িক বিভেদ—বিভাজনকে অতিক্রম করে মানুষে মানুষে মহামিলন সূচনা করে। শারদীয় দূর্গাপুজার উৎসব সকলের মধ্যে নিয়ে আসে আনন্দের বার্তা। একটি শ্বাশ্বত সার্বজনীন উৎসব হিসেবে বাংলাদেশে এটি পালিত হয়। যেকোন ধর্মীয় উৎসব জাতি—রাষ্ট্রে সর্বমানুষের মিলন ক্ষেত্র। বিএনপি আবহমানকালের দৈশিক চেতনা ও ঐতিহ্যের ধারায় ধর্মীয় স্বাধীনতা ও মূল্যবোধে বিশ্বাস করে।
এই সরকারের আমলে সাম্প্রদায়িক উস্কানী, বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয়সহ হিন্দুু সম্প্রদায়ের দেবালয়ে আক্রমণ ও ভাংচুর অত্যুগ্র মাত্রায় সংঘটিত হচ্ছে। বর্তমানে দুর্গাপুজার প্রাক্কালে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ ও মন্দিরে আক্রমণের ঘটনা উদ্বেগজনক। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীরা দেশ ও মানবতার শত্রু। আমি এই সমস্ত অশুভ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি এবং তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
যুগ যুগ ধরে বাংলাদেশে সকল স¤প্রদায়ের মানুষ মিলেমিশে একত্রে বসবাস করছে। ধর্মীয় উৎসব সাম্প্রদায়িক সীমানা অতিক্রম করে ধর্ম—বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষকে এক বৃহত্তর শুভেচ্ছার প্রাঙ্গণে মিলিত করে। সা¤প্রদায়িক সপ্রীতি আমাদের জাতীয় ঐত্যিহের অংশ। আমরা সবাই বাংলাদেশী এটিই আমাদের গর্ব, এটিই আমাদের একমাত্র পরিচয়।
আমি শারদীয় দূর্গাপুজার সার্বিক সাফল্য কামনা করি।”
বার্তা প্রেরক
(মোঃ তাইফুল ইসলাম টিপু)
সহ—দফতর সম্পাদক
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপি।