০৯ অক্টোবর ২০২৩
শহীদ জেহাদ দিবস উপলক্ষে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান নিম্নোক্ত বাণী দিয়েছেন—
বাণী
“শহীদ জেহাদ দিবস উপলক্ষে আমি স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের অকুতোভয় সৈনিক শহীদ নাজির উদ্দিন জেহাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। তার রুহের মাগফিরাত কামনা করি।
শহীদ নাজির উদ্দিন জেহাদ ৯০’র স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে একটি অবিস্মরণীয় নাম। রক্তমাখা ঐ আন্দোলন ছিল বহুদলীয় গণতন্ত্র, মত প্রকাশ ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা পূণঃপ্রতিষ্ঠার। নব্বইয়ের স্বৈরাচার বিরোধাী গণআন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে গিয়ে শহীদ জেহাদ পুলিশের বুলেট নিজের বুকে বরণ করে নেন। শাহাদাত বরণ করেন এই অকুতোভয় ছাত্রনেতা। তার রক্ত স্রোতের ধারা বেয়েই সে বছর সংঘটিত হয় গণঅভ্যূত্থান, পতন হয় স্বৈরশাসক এরশাদের।
গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল স্বৈরশাসক এরশাদ। গণতন্ত্রকে পূন:প্রতিষ্ঠা এবং দৃঢ় ভিত্তির উপর দাঁড় করানোর দৃঢ়—প্রত্যয় নিয়েই জেহাদ নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। আমরা তার সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে না পারলে তার আত্মা কষ্ট পাবে। এরশাদের স্বৈরাচারের পতন হলেও বর্তমানে নাৎসীবাদের উত্তরণ ঘটেছে। গণতন্ত্রের নাম—নিশানা মুছে ফেলা হয়েছে। ক্ষমতা জবরদখলকারী আওয়ামী সরকার রাষ্ট্রের সকল স্তম্ভকে ধুলায় মিশিয়ে দিতে সার্বিক আক্রমণ শুরু করেছে। বিরোধী দলের নেতাকর্মী, ভিন্নমত ও বিশ্বাসের ব্যক্তিদের পাশাপাশি গুম করা হচ্ছে মানুষের বাক—ব্যক্তি ও নাগরিক স্বাধীনতা। বিএনপি চেয়ারপার্সন গণমানুষের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় অন্যায়ভাবে সাজা দিয়ে দীর্ঘদিন কারাবন্দী করে রাখার পর এখন গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে। ইতিহাসের মাৎস্যন্যায় বিভৎস আগ্রাসী চেহারায় বিরাজমান।
গণতন্ত্রের ধারা বহমান রাখতে হলে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে হবে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের অপরিহার্য শর্ত হলো নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার। জনপ্রিয় নেত্রী দেশনেত্রীর মুক্তি নিশ্চিত করা। আর এজন্য আমাদের আরও সাহসী সংগ্রামে অবতীর্ণ হতে হবে। গণতন্ত্র মানে শুধুমাত্র নির্বাচন নয়, গণতন্ত্র মানে মানুষের স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা। আজ জনসাধারণের বুকের ওপর অগণতান্ত্রিক অপশক্তি ভারী পাথরের মতো চেপে বসে আছে। তাই শহীদ জেহাদের আত্মত্যাগের প্রেরণাকে বুকে ধারণ করেই দেশী—বিদেশী অপশক্তির চক্রান্ত প্রতিহত, স্বাধীনতা—সার্বভৌমত্ত্ব রক্ষা এবং গণতন্ত্র পূণরুদ্ধার করতে হবে।
আল্লাহ হাফেজ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।”
(এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী)
সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপি।