তারিখঃ ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এর বিবৃতি
সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় মানবাধিকার সংস্থা—‘অধিকার’ এর সম্পাদক আদিলুর রহমান খান এবং অধিকারের পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিন—কে দুই বছর করে কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। তাঁদের ১০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ডও দেয়া হয়েছে। আদালত কতৃর্ক তাঁদেরকে অসত্য মামলায় কারাদন্ড প্রদানের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “বর্তমান প্রতিহিংসাপরায়ণ, স্বেচ্ছাচারী ও কতৃর্ত্ববাদী আওয়ামী সরকার কতৃর্ক ভিন্ন মতের মানুষদের নামে দায়েরকৃত মিথ্যা ও গায়েবী মামলায় কারাদন্ড প্রদানের ধারাবাহিকতায় মানবাধিকার সংস্থা—‘অধিকার’ এর সম্পাদক আদিলুর রহমান খান এবং অধিকারের পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিন যখন মানুষের অধিকার নিয়ে অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে কাজ করছেন এবং যখন তাঁদের এই কাজ বাংলাদেশের মানুষের মনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে ঠিক তখনই মানবাধিকার সংস্থা—অধিকারের দুই জন শীর্ষ কর্মকর্তাকে বানোয়াট মামলায় দুই বছর করে কারাদন্ড ও দশ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড প্রদান করা হলো। জনাব আদিলুর রহমান এবং এ এস এম নাসির উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে মানবাধিকার রক্ষার জন্য কাজ করে আসছেন এবং অবৈধ আওয়ামী সরকার কতৃর্ক মানবাধিকার হরণের ঘটনাগুলোকে দেশে—বিদেশে তুলে ধরে জনগণের পক্ষে কাজ করছেন। গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে সত্য প্রকাশের দায়ে তাঁদেরকে কারাদন্ড প্রদান সরকারের ফ্যাসিবাদী চেহারাকে উন্মোচন করেছে। এ ধরণের মামলা নিঃসন্দেহে একটি অলীক কাহিনী। যারা গণতন্ত্রের পক্ষে সোচ্চার, যারা বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর ভয়াবহ দুঃশাসনের বিরুদ্ধে কথা বলেন, অন্যায়—অবিচারের বিরুদ্ধে কথা বলেন, তাদেরকেই আওয়ামী সরকার টার্গেট করে মিথ্যা মামলায় সাজা দিতে শুরু করেছে, কারণ একটাই এবং তা হলো—যেকোন কৌশলে ক্ষমতার মসনদ ধরে রাখা। মানবাধিকার সংস্থা—‘অধিকার’ এর সম্পাদক আদিলুর রহমান খান এবং অধিকারের পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিন মানুষের অধিকার নিয়ে কথা বলেন, আর এজন্যই তারা বর্তমান আওয়ামী সরকারের প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও সাজানো মামলায় দেয়া ফরমায়েশী রায়ে প্রমাণিত হয় যে, বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকার বিচার বিভাগকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করছে। জনগণ এই ফরমায়েশী রায়কে প্রত্যাখান করেছে। এ ধরণের সাজা প্রদানের ঘটনা অবৈধ আওয়ামী সরকারের গভীর নীলনকশারই অংশ। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের দুর্বিনীত অনাচার ও রাষ্ট্র পরিচালনার সর্বক্ষেত্রে চরম ব্যর্থতার বিরুদ্ধে জনগণ যখন রাজপথ প্রকম্পিত করছে তখন অবৈধ শাসকগোষ্ঠী দিশেহারা হয়ে পড়েছে। আর তাই আদিলুর রহমান খান ও এ এস এম নাসির উদ্দিন এর মতো দু’জন শীর্ষস্থানীয় মানবাধিকার নেতাকে কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। আদালতকে নিয়ন্ত্রণ করে আওয়ামী অবৈধ সরকার স্বীয় উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তবে রাষ্ট্রযন্ত্রকে দিয়ে আওয়ামী সরকারের জুলুম—নির্যাতনের বিরুদ্ধে জনগণ এখন দৃঢ় সংকল্প নিয়ে রাজপথে নেমে এসেছে। যত চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র করা হোক না কেন, জনগণ আর ভোটারবিহীন তামাশার নির্বাচন করতে দিবে না। আওয়ামী সরকারের পদত্যাগসহ নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে সরকারকে বাধ্য করবে জনগণ।
আমি মানবাধিকার সংস্থা—‘অধিকার’ এর সম্পাদক আদিলুর রহমান খান এবং অধিকারের পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিন এর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত প্রতিহিংসামূলক মামলায় দুই বছর করে কারাদন্ড ও অর্থদন্ড প্রদানের ঘটনায় তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি এবং অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহারের পাশাপাশি তাঁদের সাজা বাতিলের জোর আহবান জানাচ্ছি।”
বার্তা প্রেরক
(মুহম্মদ মুনির হোসেন)
সহ—দফতর সম্পাদক
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপি