১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
‘আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস’ উপলক্ষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিম্নোক্ত বাণী দিয়েছেন ঃ—
বাণী
‘আজ আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবসে বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বের গণতন্ত্রমনা মানুষকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। জাতিসংঘ কতৃর্ক ২০০৭ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে এই দিবসটি পালিত হয়ে আসছে গণতন্ত্রের সারবত্তা ও অনুশীলণে সকলকে উদ্বুদ্ধ করতে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে যাঁরা জীবন দিয়েছেন তাঁদের প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা, আহতদের জানাচ্ছি সমবেদনা।
প্রকৃত গণতান্ত্রিক সমাজে ব্যক্তি মানুষের মর্যাদা সমুন্নত থাকে। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় মানুষকে দাসে পরিণত করা যায় না। একমাত্র গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র সমাজেই কেবলমাত্র মানুষের অধিকার নিশ্চিত হয়। সারাবিশ্বে বহু মত, পথের গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার প্রতি মানুষের আগ্রহকে ভূলুন্ঠিত করে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে এখনও একদলীয় দুঃশাসনের কালো ছায়া বিরাজমান। বর্তমানে বাংলাদেশে নাগরিক স্বাধীনতা, ভোটাধিকার, মানবিক মর্যাদা ও মানবিক সাম্য হরণ করা হয়েছে। বাংলাদেশে কারো ছায়া দেখলেই আঁতকে উঠতে হয়। নানা কালাকানুনের মাধ্যমে সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে হরণ করে মত প্রকাশের স্বাধীনতার কন্ঠরোধ করা হয়েছে। ভিন্নমতের কারণে অনেকেই গুম, খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছেন। বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দলের নেতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা ও সাজানো মামলায় বছরের পর বছর কারাগারে আটকিয়ে রাখা হয়েছে, এখনও তিনি পুরোপুরি মুক্ত নন। আমরা বর্তমানে এক ভয়াবহ দুর্দিন অতিক্রম করছি।
গণতন্ত্র এমন একটি শাসনব্যবস্থা যেখানে জনগণ সরাসরি শাসনব্যবস্থায় অংশগ্রহণ করতে পারে। জনগণের মতামতই হয় সরকার পরিচালনার ভিত্তি। কেবলমাত্র গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় শান্তি, স্থিতিশীলতা, উন্নয়ন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।
আসুন, আমরা বর্তমান দুঃসময় কাটিয়ে উঠতে গণতন্ত্র পুণ:রুদ্ধার আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে গণতন্ত্রের মুক্তির মাধ্যমে একটি কার্যকর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ে তুলি।
আল্লাহ হাফেজ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।”
বার্তা প্রেরক
(মোঃ তাইফুল ইসলাম টিপু)
সহ—দফতর সম্পাদক
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপি।