৩০ আগস্ট ২০২৩
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর—এর বিবৃতি
“গতকাল আদালত বের হওয়ার পর রাস্তা থেকে বিএনপি’র সমবায় বিষয়ক সম্পাদক জি কে গউছ—কে সাদা পোশাকধারি গোয়েন্দা পুলিশ তুলে নিয়ে গিয়ে অস্বীকার করার পর আজ তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বিরোধী দলের নেতাদের এভাবে উঠিয়ে নিয়ে প্রথমে অস্বীকার এবং পরবর্তীতে আদালতে সোপর্দের ঘটনা এখন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গ্রেফতারী পরোয়ানা ছাড়া তুলে নিয়ে গিয়ে গুম করাটা অবৈধ আওয়ামী সরকারী নীতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
মধ্যরাতের নির্বাচনের পরও অবৈধ আওয়ামী সরকার নিজেদের অস্তিত্বের প্রশ্নে সবসময় অজানা আশংকায় উদ্বিগ্ন থাকে। তাই বিএনপিসহ বিরোধী দল ও মতের মানুষদের ভয় পাইয়ে রাখার জন্য গুম, ক্রসফায়ারের ধারাবাহিকতা চালু রাখা হয়েছে। বিএনপিসহ বিরোধী দলীয় নেতাকর্মী ও সরকারের সমালোচকরাই আজ সবচেয়ে বেশী গুম ও গায়েবী মামলায় গ্রেফতারের শিকার হচ্ছেন। বাসাবাড়ীতে হানা, বাড়ীর সদস্যদের প্রতি দুর্ব্যবহারসহ নানাভাবে বিএনপি’র নেতাকর্মী ও তাদের পরিবার নির্যাতন—নিপীড়ণের যাঁতাকলে পিষ্ট হচ্ছে। আওয়ামী দুঃশাসনে ভয় ও নৈরাজ্য এখন এদেশের সর্বত্র পরিব্যাপ্ত। বিএনপি’র কেন্দ্রীয় সমবায় বিষয়ক সম্পাদক জি কে গউছ বিএনপি’র একজন বলিষ্ঠ নেতা। হবিগঞ্জে তার সংগ্রামী ভূমিকার কারণেই তাকে গতকাল তুলে নিয়ে গিয়ে আজকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। অনেক দিন থেকেই সরকার তাকে টার্গেট করেছে। তিনি এখন সরকারী হিং¯্রতার শিকার হলেন। তাকে গ্রেফতারের ঘটনায় আবারও প্রমাণিত হলো যে, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার দেশকে বিরোধী দলশুন্য করে নব্য বাকশালী শাসনকে পাকাপোক্ত করতেই বদ্ধপরিকর। জুলুম—নির্যাতন—হামলা—মামলার বিরাজমান পরিস্থিতিতেও দেশের মানুষ গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আন্দোলন থেকে পিছপা হবে না। সকল দুর্যোগ—দুর্বিপাক মোকাবেলা করেই জনগণ আওয়ামী সরকারের পদত্যাগসহ নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের এক দফা দাবির আন্দোলন বিজয় লাভ করবেই।
আমি জি কে গউছ এর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা প্রত্যাহারসহ অবিলম্বে তার নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহবান জানাচ্ছি।”
বার্তা প্রেরক,
(মুহম্মদ মুনির হোসেন)
সহ—দফতর সম্পাদক
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপি।