image

তারিখঃ ২৯ আগষ্ট ২০২৩

‘গুমের শিকার ব্যক্তিবর্গের স্মরণে আন্তর্জাতিক দিবস’ উপলক্ষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিম্নোক্ত বাণী দিয়েছেন

বাণী

বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন সময়ে গুম হয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের স্মরণে ৩০ আগস্ট গুমের শিকার ব্যক্তি—বর্গের আন্তর্জাতিক দিবস। ২০১১ সাল থেকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।

“৩০ আগষ্ট ‘গুমের শিকার ব্যক্তিবর্গের স্মরণে আন্তর্জাতিক গুম দিবস’ উপলক্ষে আমি হারিয়ে যাওয়া মানুষদের জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করছি। তাদের পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। বাংলাদেশে গুমের আতঙ্ক এখন সর্বত্র পরিব্যাপ্ত। দুঃশাসন থেকে উৎপন্ন হয় গুম ও বিচার বহিভূর্ত হত্যার মত মানবতা বিরোধী হিং¯্রতা। স্বৈরাচারি সরকারের গড়ে তোলা আইন প্রয়োগকারি সংস্থার পরিচয়ে বিরোধী দলের প্রতিবাদী নেতাকমীর্দেরকে তুলে নিয়ে যাওয়া এখন নিত্যকার ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এরা বিরোধী দল ও মতের মানুষদের অল্পদিন অথবা দীর্ঘদিন কিংবা চিরদিনের জন্যে নিখেঁাজ করে দেয়। গুম হচ্ছে একদলীয় দু:শাসনের নমুনা। প্রায় দেড় দশক ধরে ৬০০ এর অধিক মানুষকে গুম করা হয়েছে।বিরোধীদলশূণ্য একদলীয় কর্তৃত্ববাদী শাসন ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার জন্যই গুমকে অব্যর্থ অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এই নৃশংস গুমের শিকার হয়েছেন সংসদ সদস্য ইলিয়াস আলী, সাইফুল ইসলাম হিরু ও চৌধুরী আলম, সুমন, জাকিরসহ অসংখ্য মানুষ। এদের মধ্যে রয়েছেন জনপ্রতিনিধি, ছাত্র, যুবক, সাংবাদিকসহ ভিন্ন মতের লোকজন। আরেকটি অভিনব গুমের শিকার হয়েছেন সাবেক মন্ত্রী ও দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তাকে দুই মাস গুম করে রাখার পর পাচার করা হয়েছে অন্য দেশে। গুম হওয়া মানুষদের বেদনার্ত পরিবাররা এখনও পথ চেয়ে বসে আছে প্রিয়জনদের ফিরে আসার সম্ভাবনায়। রাষ্ট্র সমাজে মানুষের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতার বোধ সৃষ্টির জন্যই গুমকে কৌশল হিসেবে ব্যবহার করে ফ্যাসিস্ট শাসকেরা। মূল লক্ষ্য বিরোধী রাজনীতি ও বিরোধী কন্ঠকে নিমূর্ল করা। গুমের অব্যাহত পরিস্থিতিতে দেশে সৃষ্টি হয়েছে এক ভয়ঙ্কর নৈরাজ্য। জনসমর্থনহীন ও ভোটারবিহীন সরকার গুমকে টিকে থাকার অবলম্বন করেছে। এই ধারা বয়ে চললে বাংলাদেশ অরাজকতার ঘন অন্ধকারে ডুবে যাবে। মানবতাহীন এক নিষ্ঠুর সমাজ প্রতিষ্ঠিত হবে।

অবিলম্বে গুমের শিকার সব নিখেঁাজ ব্যক্তিকে খুঁজে বের করে তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হোক। কেবলমাত্র একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে প্রকৃত গণতান্ত্রিক সরকার গঠন হলেই গুম, অপহরণ ও বিচার বহিভূর্ত হত্যার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধ দূর হবে, জন—জীবনে স্বস্তি ফিরে আসবে”।


বার্তা প্রেরক

(মুহম্মদ মুনির হোসেন)

সহ—দফতর সম্পাদক

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপি

রিলেটেড প্রোগ্রাম এবং প্রেস রিলিজ

আরো দেখুন