১১ আগস্ট ২০২৩
বিএনপি’র স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ রফিকুল ইসলাম এর বিবৃতি
“গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, দেশের ডেঙ্গু জ¦রের পরিস্থিতি সামগ্রিকভাবে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। শুধু স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী এ বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা ৭৫ হাজারের বেশী এবং মৃত্যু সাড়ে তিন শতাধিক। গত এক সপ্তাহের মৃত্যু প্রায় শতাধিক, যার বেশিরভাগই ঢাকায়। ঢাকা সহ দেশের সব হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গুরোগী ব্যবস্থাপনায় ডাক্তারগণ রীতিমতো হিমসিম খাচ্ছেন। দেশের হাসপাতালগুলোতে শয্যা সংকট থাকায় রোগীর স্বজনরা রোগী ভর্তির জন্য এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে ছুটোছুটি করছেন। হাসপাতালে ভর্তি হতে না পেরে অনেকেই বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। হাসপাতালগুলোতে দেখা দিয়েছে স্যালাইন সংকট এবং অসাধু ব্যাবসায়ীরা এর সুযোগ নিচ্ছে, বরাবরের মতোই সরকার ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে।
যখন অনেকেই বর্ষা মৌসুমের পূর্বেই এডিস মশার লার্ভা নিধনের পরামর্শ সহ ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের জন্য কিছু সুনির্দিষ্ট পরামর্শ দিয়েছিলেন, তখন সরকার তাতে বিন্দুমাত্র কর্ণপাত না করে বরং বিরোধীদলীয় নেতা—কর্মীদের নিধনেই বেশী ব্যস্ত ছিলো। যার কারণে এবার ডেঙ্গু ঢাকা সহ প্রায় সবগুলো জেলায় ছড়িয়ে পড়ে। শোনা যায় নিম্ন মানের কীটের কারণে রোগ নির্ণয় পর্যন্ত সঠিকভাবে সম্ভব হচ্ছে না।
বর্তমান পরিস্থিতিতে ডেঙ্গু মোকাবেলায় জরুরী ভিত্তিতে দেশের সব সরকারী, বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা করা এবং নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
জরুরীভাবে মানসম্মত ডেঙ্গু রোগ নির্ণয় কীটের ব্যবস্থা করে প্রতিটা জ্বরের রোগীকে ডেঙ্গু স্ক্রীনিং এর আওতায় এনে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা।
জরুরী ভিত্তিতে বিশেষজ্ঞ প্যানেল গঠন করে তাদের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবেলা ও প্রতিরোধ কার্যক্রম বেগবান করতে হবে। কারণ এ পর্যন্ত সরকারের অবহেলার জন্য অনেক অনাকাঙ্খিত প্রাণহানী হয়েছে।
অন্যথায় ভবিষ্যতে আমাদেরকে বিপজ্জনক পরিণাম বরণ করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।”
বার্তা প্রেরক
(মুহম্মদ মুনির হোসেন)
সহ—দফতর সম্পাদক
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপি