জুলাই ৩, ২০২৩
বিএনপি মহাসচিব মির্জা আলমগীর এর নিন্দা ও প্রতিবাদ।
যশোর জেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, সদস্য সচিব সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু ও অন্যতম সদস্য মিজানুর রহমান খানসহ যুবদল, ছাত্রদলের ২১ জন নেতাকর্মীকে সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলায় জড়িত করায় তারা জামিনের জন্য আদালতে হাজির হলে সরকারের মদদে তাদেরকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। এদিকে ঢাকা মহানগর পূর্ব ছাত্রদলের আহ্বায়ক শেখ খালিদ হাসান জ্যাকি ও কলাবাগান থানা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রাজিব হোসেনকে সকল মামলায় জামিনে থাকার পরেও পুলিশ গতকাল গ্রেফতার করে। ঈদের তিন দিন পরেই যশোর, ঢাকায় গ্রেফতারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ এক বিবৃতিতে বিএনপি মহসচিব বলেন, “দেশ চলছে এক দূর্বিনীত দু:শাসনের সর্বনাশা প্রতাপে। বিরোধী দল ও মত এখন নিষ্ঠুর নিষ্পেশনে পিষ্ট। বিএনপি’র গ্রাম থেকে শহরে কোন নেতাকর্মীরই স্বাভাবিক জীবন-যাপনে নিরাপত্তা নেই। সর্বত্রই মনে হয় আওয়ামী পুলিশ বাহিনী বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদেরকে ধরার জন্য ওত পেতে আছে। বর্তমানে দু:শাসনের প্রকোপ চরম মাত্রায় উপনীত হয়েছে। এই আওয়ামী সরকারের আমলে জনসমাজে নারী, পুরুষ নির্বিশেষে স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকার নিরাপত্তা চরমভাবে বিপন্ন। এক বেপরোয়া স্বৈরাচারের কবলে পরে দেশের মানুষ শুধু জান-মালের নিরাপত্তার জন্য সার্বক্ষণিক শঙ্কিত হওয়ার পাশাপাশি শুধুমাত্র ডাল ভাত খেয়ে বেঁচে থাকার অধিকারও ক্রমান্বয়ে হারাচ্ছে। ক্ষুধা ও অনাহার এখন জনগোষ্ঠির বিপুল সংখ্যক মানুষের নিত্যসঙ্গী। বর্তমানে কাচা মরিচসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামের বিস্ময়কর বৃদ্ধিতে মধ্যম ও নিন্ম আয়ের মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকেছে। ক্ষমতাসীনদের প্রশ্রয়ে দেশব্যাপী সন্ত্রাসী আর বখাটেরা আধিপত্য কায়েম থাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙ্গে পড়েছে, পদে পদে মানুষের জীবন হয়ে পড়েছে বিপদাপন্ন। অপঘাতে প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষ জীবন হারাচ্ছে। সড়কে মৃত্যুর হার প্রতিদিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে।
শাসকগোষ্ঠির মদদে এহেন অনাচার ও সহিংস তান্ডবের প্রতিবাদ করার জন্যই ঢাকা, যশোরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিএনপি নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার ও কারাগারে প্রেরণ করা হচ্ছে।
যশোর জেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, সদস্য সচিব সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু ও অন্যতম সদস্য মিজানুর রহমান খানসহ যুবদল, ছাত্রদলের ২১ জন নেতাকর্মীকে সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলায় জড়িত করে জামিনের জন্য আদালতে হাজির হলে তাদেরকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানো এবং ঢাকা মহানগর পূর্ব ছাত্রদলের আহ্বায়ক শেখ খালিদ হাসান জ্যাকি ও কলাবাগান থানা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রাজিব হোসেনকে সকল মামলায় জামিনে থাকার পরেও পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতার সরকারের অব্যাহত অত্যাচার, জুলুম ও নিপীড়নে স্বৈরাচারি নীতিরই বহি:প্রকাশ। তবে মিথ্যা মামলা আর গ্রেফতারের কৌশল অবলম্বন করে আটককৃত নেতৃবৃন্দকে নিষ্প্রান, নীরস ও নিস্তেজ করা যাবে না বরং তারা অগনতান্ত্রিক শক্তিকে আরো বেশি প্রতিরোধ করতে উদ্দীপ্ত হবে। রাজপথে জনগনের বিপুল শ্রোত থামানো যাবে না। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবেই।
আমি অবিলম্বে যশোর ও ঢাকায় উল্লিখিত গ্রেফতারকৃত নেতৃবৃন্দের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে নি:শর্ত মুক্তির জোর আহ্বান জানাচ্ছি।
বার্তাপ্রেরকঃ
মুহম্মদ মুনির হোসেন
সহ-দপ্তর সম্পাদক
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল -বিএনপি।