গত ১৩ই জুন, ২০২৩ তারিখে ভাতা বৃদ্ধিসহ অন্যান্য যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর কর্তৃপক্ষের হামলা ও অসদাচরণের মতো নিন্দনীয় ঘটনা ঘটেছে। ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি প্রজ্ঞাপনে দেখা গিয়েছে যে, নন রেসিডেন্ট শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দকৃত ৩৬ কোটি টাকার কোনো হদিস মিলছে না। এমডি, এমএস এবং এফসিপিএস কোর্সে থাকা শিক্ষার্থীদের মাসিক ভাতা মাত্র বিশ হাজার টাকা যা অত্যন্ত অপ্রতুল। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির বাজারে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মুচলেকা নেয়া হয় এই মর্মে যে, কোর্সে থাকাকালীন তারা কোন চেম্বার প্র্যাকটিস করতে পারবেন না। রেসিডেন্টরা তাদের ভাতা বৃদ্ধি এবং নন রেসিডেন্টরা তাদের প্রাপ্য ভাতা আদায়ের জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। এই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদেরকে স্ব স্ব হাসপাতাল বা ইন্সটিটিউটে হেয় প্রতিপন্ন করা হচ্ছে। পোস্ট গ্রাজুয়েটে অধ্যয়নরত চিকিৎসকদের ওপর এমন বিমাতাসুলভ আচরণ ও হয়রানির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ মোঃ রফিকুল ইসলাম।
আজ এক বিবৃতিতে রফিকুল ইসলাম বলেন, “সমাজের প্রথম শ্রেণির নাগরিক, ভবিষ্যৎ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের অপ্রতুল ভাতা প্রদান অত্যন্ত অমানবিক। সরকার বড় বড় মেগা প্রজেক্টে মেগা দুর্নীতির মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিলেও চিকিৎসকদের যৌক্তিক দাবি গ্রহণে অপারগ।
যৌক্তিক দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন প্রত্যেকেরই নাগরিক অধিকার। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চিঠি দিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওই দিনের হাজিরা চেয়ে তাদের যৌক্তিক আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা কর্তৃপক্ষের স্বৈরাচারী মনোভাবেরই বহিঃপ্রকাশ।”
বার্তা প্রেরক
(মুহম্মদ মুনির হোসেন)
সহ-দফতর সম্পাদক
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি