সুপ্রিয় সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা,
আসসালামু আলাইকুম। সবাইকে জানাচ্ছি আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা।
বন্ধুরা,
কর্তৃত্ববাদী শাসনে দেশে ঘোর দুর্দিন নেমে এসেছে। দুঃশাসনের অরাজকতায় দেশকে ঠেলে দেয়া হয়েছে খাদের কিনারে। চরম মুদ্রাস্ফিতিসহ ভয়ঙ্কর অর্থ সংকটে মানুষের দিন কাটছে অর্ধাহারে অনাহারে, অপরদিকে তীব্র গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ। এদিকে প্রায় বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে গোটা দেশ। লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত প্রাত্যহিক স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। নিদেন পক্ষে বৈদুত্যিক পাখা চালানোর জন্যও বিদ্যুৎ মিলছে না। প্রচন্ড গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছে মানুষ। হিটষ্ট্রোকে মারা যাচ্ছে মানুষ। বিদ্যুতের পাশাপাশি চলছে তীব্র গ্যাস সংকট। মিল-কল কারখানার উৎপাদন সব বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। অথচ বিদ্যুৎ উৎপাদনের নামে তথাকথিত কুইক রেন্টালের মালিকানা দলীয় লোকদেরকে দিয়ে অবৈধ সরকার লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করার সুযোগ করে দিয়েছে।
জনগণের হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে ১৫২টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে, যার বেশীর ভাগই এখন অচল হয়ে পড়ে আছে। বিদ্যুতের সীমাহীন ব্যর্থতার মূল কারণ-ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর আত্মীয়স্বজনের বেপরোয়া লুন্ঠন। এরা স্বদেশ ও দেশের মানুষের স্বার্থকে জলাঞ্জলী দিয়ে আত্মীয়তোষণ করতে গিয়েই বেসরকারী বিদ্যুতের কেন্দ্র স্থাপনের অনুমতি দেয়, ফলে জনগণকে শোষণ করার পথ উন্মুক্ত করেছে। আর পাচার হওয়া লুটের টাকার সমতা বিধানের জন্য দফায় দফায় বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে। এতে মধ্যম ও নি¤œ মধ্যম আয়ের মানুষকে সংকটের মধ্যে ফেলা হয়েছে। টাকা পাচারকারীদের যাতে বিচার না হয় সে কারণে বিনাভোটের পার্লামেন্টে ইন্ডেমনিটি আইন পর্যন্ত করা হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনে সাফল্যের কীর্তিগাথা প্রচারে উৎসব করা হয়েছিল। শত শত কোটি টাকার শ্রাদ্ধ করে সক্ষমতা-অর্জন উৎসব করা হয়েছিল। বিরাট লেজারশো হয়েছিল। তথাকথিত লোক দেখানো উন্নয়নের ঢাক-ঢোল পিটানো হয়েছিল। এখন জনগণ লোডশেডিংয়ের উৎসব দেখছে। হারিকেন আর কুপির ঐতিহ্য ফিরিয়ে নিয়ে আসছে তথাকথিত উন্নয়নের ধ্বজাধারী নিশিরাতের সরকার। এদিকে প্রকৃত অবস্থা হলো দেশের রাজকোষ খালি হয়ে গেছে। অর্থনীতিতে চলছে ভয়াবহ মন্দা। চরম ডলার সংকট, এলসি খোলা বন্ধের পথে, সেখানে বিপুল অংকের ডলার খরচ করে বিশাল বহর নিয়ে শেখ হাসিনার বিদেশ ভ্রমণ প্রমাণ করে আমরা খামখেয়ালীপূর্ণ হবু চন্দ্র রাজার দেশে বাস করছি।
দেশের জনগণ শেখ হাসিনার ১৫ বছরের দুঃশাসন, নিস্পেষন, অবিচার-অনাচারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামে অঙ্গীকারাবদ্ধ। মাদার অফ ডেমোক্র্যাসি বেগম খালেদা জিয়ার স্বৈরাচার বিরোধী আপোষহীন আন্দোলনের চেতনায় দেশের জনগণ আজ তাদের লুন্ঠিত ভোটের অধিকার ফিরে পেতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ।
প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ,
জনগণের টাকায় বেতনভুক্ত আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে শেখ হাসিনা দলীয় চেতনায় তার ব্যক্তিগত লাঠিয়াল বাহিনীতে পরিণত করেছে। তাদেরকে আইন শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে লিপ্ত না থেকে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর লেলিয়ে দেয়া হয়েছে। সশস্ত্র দলীয় ক্যাডার এবং সাজানো আইন শৃঙ্খলা বাহিনী একযোগে নব্য নাৎসী বাহিনীর মতো ছিন্নভিন্ন করে দিচ্ছে গণতান্ত্রিক আন্দোলনরত নেতাকর্মীদের। পুরো দেশকে নানা কালাকানুনের দেয়াল দিয়ে এক দম বন্ধ করা অবরুদ্ধ কারাগারে পরিণত করা হয়েছে। জনগণের আন্দোলন দমন করতে নিশিরাতের সরকার বিরোধী দল ও মতের ওপর অমানুষিক অত্যাচার চালিয়ে আসছে। বিরোধী দল এবং মতের মানুষের বিরুদ্ধে সারাদেশে দায়ের করা মিথ্যা মামলাগুলো নিয়ে পুনরায় জনগণকে হয়রানি করতে পুলিশকে মাঠে নামানো হয়েছে। এইসব অপকর্মে আদালতকেও ব্যবহার করা হচ্ছে।
সুপ্রিয় বন্ধুরা,
এ প্রসঙ্গে আরও কিছু বক্তব্য আপনাদের সামনে উপস্থাপন করছি।
গত ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত খুন, গুম ও গায়েবী/মিথ্যা মামলার শিকার নিরীহ নিরপরাধ বিএনপি নেতাকর্মী তথা আপামর ভুক্তভোগী জনসাধারণ দুঃসহ যন্ত্রণা ভোগ করে আসছে।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন যতো এগিয়ে আসছে এই প্রবণতা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে-যা ইতোমধ্যেই সুষ্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
উপরন্তু ইতোমধ্যেই যারা এই অবিচার ও অমানুষিক অত্যাচারের শিকার ও ঘরবাড়ি ছাড়া হয়ে আদালতের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন তাদেরকেও আইনী সহায়তা প্রদান তথা দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে যথাযথ আইনী প্রতিকারের ব্যবস্থা নেয়ার একটি তাগিদও বিএনপি অনুধাবন করছে। আপনারা লক্ষ্য করেছেন যে, ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসীদের পাশাপাশি দেশের অধিকাংশ এলাকায় অতি উৎসাহী কিছু পুলিশ কর্মকর্তা-কর্মচারী ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে বিনা কারণে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামকারী নাগরিকদের ওপর খুন, গুম, মিথ্যা মামলা, শারীরিক-মানসিক নির্যাতন করে অর্থ আদায়সহ নানা ধরণের জঘন্য অনাচারে লিপ্ত হয়ে পড়েছে। অথচ একটি গণতান্ত্রিক দেশে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ প্রদর্শন ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা সেই দেশের প্রতিটি নাগরিকের অধিকার। দেশে দেশে সকল স্বৈরাচারই এ ধরণের মানবিক ও মৌলিক অধিকার কেড়ে নেয়। আর যারা এই কাজটি বাস্তবায়ন করে তারা মূলত: ফৌজদারী অপরাধ করে।
এতদসকল গায়েবী মামলা, মিথ্যা মামলা, গুম, খুন, সহিংস আক্রমণ, অগ্নিসংযোগসহ গণতন্ত্র পুণরুদ্ধারে বাধা প্রদানকারী ব্যক্তিবর্গের তথ্যাদি সংগ্রহ যেমন সহিংসতায় লিপ্ত ব্যক্তিবর্গের নাম ও ভিডিও-অডিও রেকর্ড, ফটোগ্রাফ ইত্যাদি তথ্য সংগ্রহের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণকল্পে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র একটি ‘তথ্য সংগ্রহ কমিটি’ গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি সংগৃহিত তথ্য পরীক্ষা ও পর্যালোচনা করে যথাসমীচিন ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে তা সংরক্ষণ করবেন।
দেশব্যাপী গণতন্ত্র পুণরুদ্ধারে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা প্রদানকারী ব্যক্তিবর্গের তথ্য সংগ্রহ কমিটি ঃ
১। এড. রুহুল কবির রিজভী-আহবায়ক
সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব-বিএনপি
২। হাবিব উন-নবী খান সোহেল-সদস্য
যুগ্ম মহাসচিব-বিএনপি
৩। শহিদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী-সদস্য
প্রচার সম্পাদক-বিএনপি
৪। মীর সরফত আলী সপু-সদস্য
স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক-বিএনপি
৫। আব্দুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল-সদস্য-সদস্য
সদস্য, জাতীয় নির্বাহী কমিটি-বিএনপি
৬। বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ-সদস্য
সদস্য, জাতীয় নির্বাহী কমিটি-বিএনপি
৭। আকরামুল হাসান-সদস্য
সদস্য, জাতীয় নির্বাহী কমিটি-বিএনপি
৮। মোঃ আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী-সদস্য
সদস্য, (দপ্তরে সংযুক্ত) জাতীয় নির্বাহী কমিটি-বিএনপি
৯। ফজলুর রহমান খোকন-সদস্য
সদস্য, জাতীয় নির্বাহী কমিটি-বিএনপি
১০। ইকবাল হোসেন শ্যামল-সদস্য
সদস্য, জাতীয় নির্বাহী কমিটি-বিএনপি
১১। কামরুজ্জামান দুলাল-সদস্য
দপ্তর সম্পাদক (সহ-সভাপতি পদমর্যাদা)-যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি
১২। রফিকুল ইসলাম-সদস্য
সহ-সভাপতি, স্বেচ্ছাসেবক দল-কেন্দ্রীয় কমিটি
১৩। মোঃ মাহবুবুর রহমান-সদস্য
১৪। সালাহ উদ্দিন খান-পিপিএম-সদস্য
নি¤েœ বর্ণিত পদ্ধতিতে তথ্যাদি প্রেরণের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করা হলো।
ক) নহঢ়রহভড়পবষষ@মসধরষ.পড়স
খ) উল্লিখিত কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে তথ্যাদি পাঠানো যাবে।
গ) সরাসরি নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এসেও তথ্যাদি দেয়া যাবে।
বন্ধুরা,
সারাদেশের গ্রেফতার, হামলা ও মামলার তালিকা ঃ
গত ৩০ মে, মঙ্গলবার বিকেলে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর ৪২তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় পুলিশ ও জাসদ গণবাহিনীর চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। হামলায় বিএনপি নেতা- সাজেদুল, জামাল, যুবনেতা বিপ্লব, শাহিন, মঞ্জু, ছাত্রনেতা খায়রুল, জনিসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে বিএনপি নেতা শিহাবুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মোস্তাফিজুর রহমান রিয়েল ও ছাত্রদল নেতা সোভন আহম্মেদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এছাড়াও কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি, সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক শহিদুল ইসলামের বাড়িতে হামলা চালিয়ে কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর, বাড়ির কেয়ারটেকারকে মারধর করে এবং পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ডাবলুর বানিজ্যিক কার্যালয় ভাঙচুর চালায়।
নোয়াখালী জেলাধীন চৌমুহনী পৌর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মোঃ মহসিন, পৌর যুবদল নেতা জসিম উদ্দিন, বেগমগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক মোর্শেদ আলম ও রামগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপি’র সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গতকাল ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি’র সদস্য হাজী মোহাম্মদ ইউসুফকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ফেনী জেলা তাঁতীদলের সদস্য সচিব মোঃ ইয়াছিনকে গতকাল ফেনীর কোর্টপ্রাঙ্গন থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
নেত্রকোনা জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিককে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শামছুর রহমান লিটনের নির্দেশে তার ক্যাডার বাহিনী শফিক ও পাল বাবুর নেতৃত্বে প্রায় ৪০/৫০ জন আওয়ামী সন্ত্রাসীরা মারধর করে তাকে গুরুতর জখম করে। তিনি এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
জিয়ামঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি রোটারিয়াম এম নাজমুল হাসানের গাড়ীতে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা চালিয়ে গাড়ী ভাংচুর করে।
গতকাল সাতক্ষীরা জেলা বিএনপি’র সদস্য ও পৌর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাসুম বিল্লাহ শাহীনকে হাইকোর্টের সামনে থেকে গ্রেফতার করে অস্ত্র মামলা দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদ্য সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন তার সকল রাজনৈতিক মামলায় জামিনে থাকার পরেও গতকাল তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় পুরনো একটি মামলায় তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
সাংবাদিক বন্ধুরা,
মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় মুন্সিগঞ্জ জেলা বিএনপি’র ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক মহিউদ্দিন আহমেদ এর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে গত ১ জনু ২০২৩ তারিখে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদেরকে নানভাবে হয়রানী করার ধারাবাহিক সরকারি মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবেই মহিউদ্দিন আহমেদ এর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। নিজেদের অবৈধ ক্ষমতাকে জোর করে ধরে রাখতে দেশের বৃহত্তর ও সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার গভীর চক্রান্তে লিপ্ত বর্তমান শাসকগোষ্ঠী অব্যাহত গতিতে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বানোয়াট মামলা দিয়ে গ্রেফতারের মাধ্যমে কারান্তরীণ করছে। মহিউদ্দিন আহমেদ সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। তার জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় আমি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি এবং অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ তার নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহ্বান জানাচ্ছি।
এছাড়া ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ১৩নং ওয়ার্ড শান্তিনগর বাজার ইউনিটের নেতা আবু সুফিয়ানকে গত ০১ জুন ২০২৩ তারিখে নয়াপল্টনস্থ মহানগর বিএনপি অফিসের সামনে থেকে গ্রেফতারের ঘটনায় আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে তার নিঃশর্ত মুক্তির আহ্বান জানাচ্ছি।
গত ১৯ মে ২০২৩ তারিখ হতে অদ্যাবধি পর্যন্ত বিএনপি’র কেন্দ্র ঘোষিত জনসমাবেশকে কেন্দ্র করে সারাদেশের প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী ঃ-
মোট মামলা : ১৫৭ টি
মোঃ গ্রেফতার : ৭১০ জনের অধিক নেতাকর্মী
মোট আসামী : প্রায় ৫৭৫০ এর অধিক নেতাকর্মী
আহত হয়েছে : অসংখ্য নেতাকর্মী।
ধন্যবাদ সবাইকে। আল্লাহ হাফেজ।