image

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য পরিবর্তিত ভিসানীতি প্রণয়নের পরিপ্রেক্ষিতে 

বিএনপি মহাসচিব মির্জা আলমগীর 

-এর বিবৃতি—

বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক পরিবর্তিত ভিসানীতি” গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। যা মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের পক্ষ থেকে গত ০৩ মে, ২০২৩ তারিখে বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন কর্তৃত্ববাদী সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছিল। দেশী ও বিদেশি বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্তৃক প্রকাশিত সংবাদ সূত্রে আমরা তা অবহিত হয়েছি।

উক্ত ভিসানীতির মুল প্রতিপাদ্য বিষয় হিসেবে দেখা যায় যে, বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্যভাবে আয়োজন করার সকল প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার জন্য এবং একই সাথে ভোট কারচুপি, ভোটারদের ভয় দেখানো, জনগণের শান্তিপূর্ন সমাবেশ করার স্বাধীনতা ও অধিকার চর্চাকে সহিংসভাবে দমনের যে কোনো নীতির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র সরকার যে অবস্থান নিয়েছে তা বাংলাদেশের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবী, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবীরই সুস্পষ্ট প্রতিধ্বনি। বিএনপি মনে করে, মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য বিএনপিসহ বাংলাদেশের গণতন্ত্রপ্রিয় জনগণ দীর্ঘদিন যাবৎ যে দাবি জানিয়ে আসছিল পরিবর্তিত মার্কিন এই ভিসা নীতিতে তার সুস্পষ্ট প্রতিফলন ঘটেছে।  

বিএনপি বিশ্বাস করে, বর্তমান ফ্যাসিবাদি সরকারের অধীনে কোনোভাবেই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে না। কেবলমাত্র একটি নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন কেয়ারটেকার সরকারের অধিনেই তা সম্ভব। আর সে কারণেই, বিএনপি দেশের সকল গণতান্ত্রিক দল ও শক্তিকে সাথে নিয়ে নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন কেয়ারটেকার সরকার আদায়ের লক্ষ্যে নিয়মতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসুচি পালন করে চলছে।

আমরা অত্যন্ত গভীরভাবে লক্ষ্য করছি যে, এই পরিবর্তিত মার্কিন ভিসা নীতিতে শুধুমাত্র পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেই আওতাভুক্ত করা হয়নি, সুনির্দিষ্টভাবে বিচারবিভাগ, প্রশাসন, নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট সরকারি জনবল, সাবেক ও বর্তমান সরকারি কর্মকর্তা এবং রাজনৈতিক নেতৃত্বসহ, যে বা যারা, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে, নির্বাচন ব্যবস্থাকে ব্যাহত করতে চেষ্টা করবে তাদের এবং তাদের পরিবারবর্গকে আওতাভুক্ত করা হয়েছে।

আমরা আবারও দাবী করি, অনির্বাচিত এই ফ্যাসিবাদী সরকার দেশে এবং বিদেশে তার “প্রত্যাখাত অবস্থাকে” অনুধাবন করে অবিলম্বে পদত্যাগ করবে এবং ভোটারবিহীন জাতীয় সংসদ বাতিল ঘোষণা করবে। নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করে একটি অবাধ ও সুষ্ঠূ নির্বাচনের ব্যবস্থা করাই দেশবাসী ও আন্তর্জাতিক সকল মহলের দাবী ও প্রত্যাশা। চলমান রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক তথা জাতীয় সংকট থেকে মুক্তিলাভের এটাই একমাত্র পথ। লাগাতারভাবে আমাদের সমর্থন দেবার জন্য ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি দেশবাসীকে এই দাবি আদায়ে অনড় ও অবিচল থাকার জন্য আমরা আবারও আহবান জানাই।


রিলেটেড প্রোগ্রাম এবং প্রেস রিলিজ

আরো দেখুন