image

আজকের কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচি বানচাল করাল লক্ষ্যে গতকাল ফেনী জেলার বিভিন্ন স্থানে বিএনপি ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর আওয়ামী সন্ত্রাসীরা অতর্কিত বর্বরোচিত হামলা চালিয়ে লেমুয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক মিন্টু মেম্বার, পরশুরাম উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শাকিল, সদর উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসির আরাফাত, মোটবি ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি বাদলসহ প্রায় অর্ধশাতাধিক নেতাকর্মীকে গুরুতর আহত করে এবং দুই শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়ীতে-বাড়ীতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট করে। বরিশাল আগৈলঝাড়া উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম আফজাল হোসেনের বাড়ীতে ২০ মে বরিশাল শহরের জনসমাবেশ উপলক্ষে প্রস্তুতি সভায় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হামলা করে বিএনপি নেতা- মানিক, পলাশ মোল্লা, ইয়াসিন ও হানিফ ব্যাপারীসহ প্রায় ২০ জনের অধিক নেতাকর্মীকে আহত করে এবং বাড়ীতে থাকা আসবাবপত্র ও মটর সাইকেল ভাংচুর করে। এছাড়াও গতরাতে গাজীপুর মহানগর বিএনপি’র সদস্য সচিব শওকত হোসেন সরকার, মহানগর বিএনপি’র সদস্য মাহবুবুল আলম শুক্কুর ও মহানগর তাঁতীদলের আহ্বায়ক তাজুল ইসলাম ব্যাপারীর বাড়ীতে পুলিশ তল্লাশী চালায় এবং কয়েকজন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে। আওয়ামী সন্ত্রাসীদের এই ধরণের সহিংসতা ও বিনা কারণে বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়ীতে পুলিশের তল্লাশী এবং গ্রেফতারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ এক বিবৃতিতে বিএনপি মহসচিব বলেন, সরকার সকল ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়ে, গণতন্ত্রকে মাটিচাপা দিয়ে সন্ত্রাসকেই রাষ্ট্র পরিচালনার নীতি হিসেবে গ্রহণ করেছে। সেকারণেই বিরোধী দলীয় কোন কর্মসূচিকেই সহ্য করতে পারছে না সরকার। মানুষের আওয়াজ শুনলেই ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী আতঙ্কিত বোধ করছে। তাই জনসমর্থহীন এই সরকার সন্ত্রাসের উপর নির্ভর করেই জনগণকে নিয়ন্ত্রন করতে চাচ্ছে। গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানিসহ সকল নিত্যপ্রয়োজনীয় জিসের দাম হু-হু করে বেড়ে যাচ্ছে। সরকারের লোকেরা সর্বত্র সিন্ডিকেট তৈরি করে জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে যাচ্ছে। এই অনাচার আড়াল করতে অবৈধ গণবিচ্ছিন্ন সরকার বিএনপিসহ বিরোধ দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে লেলিয়ে দিচ্ছে। সরকারি বাহিনী গুম-খুম, মামলা, গ্রেফতারসহ নানা ধরণের নিপীড়ন নির্যাতন নামিয়ে এনেছে আন্দোলনরত বিরোধী শক্তির ওপর। তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ফেনী জেলায় বিএনপিসহ এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর সহিংস আক্রমন চালায় এবং তাদের বাড়ীতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট করে।

এছাড়াও বরিশাল আগৈলঝাড়া উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম আফজাল হোসেনের বাড়ীতে জনসমাবেশের প্রস্তুতি সভায় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হামলা করে বিএনপি নেতা- মানিক, পলাশসহ প্রায় ২০ জনের অধিক নেতাকর্মীকে আহত করে এবং বাড়ীতে থাকা আসবাবপত্র ও মটর সাইকেল ভাংচুর করে।

গত পরশু রাতে গাজীপুর মহানগর বিএনপি’র সদস্য সচিব শওকত হোসেন সরকার, মহানগর বিএনপি’র সদস্য মাহবুবুল আলম শুক্কুর ও মহানগর তাঁতীদলের আহ্বায়ক তাজুল ইসলাম ব্যাপারীর বাড়ীতে পুলিশ তল্লাশী চালায় এবং অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে।

বিএনপি মহাসচিব জোর দিয়ে বলেন, দলের নেতাকর্মীদের ওপর এই নিপীড়ন-নির্যাতন করেও বিএনপি’র ঘোষিত কর্মসূচিকে বানচাল করতে পারবে না। গনতন্ত্র অর্জনের জন্য গনতন্ত্রকামী মানুষের অগ্রযাত্রাকে থামাতে পারবে না। 

বিএনপি মহাসচিব আরো বলেন, দেশবাসী এখন এক অত্যাচারী ও নিপীড়ক সরকারের বর্বর শাসনে শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় রয়েছে। জনগণের নিকট জবাবদিহিতাহীন এই সরকার প্রতিদিন প্রতিনিয়ত নিষ্ঠুর ও অমানবিক আচরণের মাধ্যমে দেশের মানুষকে আতঙ্কিত করে রাখতে চায়। সরকারের মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীদের দিয়ে সারাদেশকে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছে। দেশব্যাপী বিএনপি নেতাকর্মীদের টার্গেট করে তাদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে। তবে তাদের কোন নীল নকশাই বাস্তাবায়িত হবে না। জনগণ জেগে উঠেছে তাদের হারানো অধিকার ফিরে পেতে, তারা এখন দুঃশাসনের অবসান ঘটাতে অঙ্গীকারবদ্ধ। জনগণের শক্তির কাছে যুগে-যুগে স্বৈরাচারের পতন হয়েছে।

বিএনপি মহাসচিব অবিলম্বে ফেনী ও বরিশাল জেলায় আহত বিএনপি নেতাকর্মীদের আশু সুস্থতা কামনা করেন একই সাথে গাজীপুর মহানগরে গ্রেফতারকৃত বিএনপি নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবী এবং বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলাকারী আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানান।


রিলেটেড প্রোগ্রাম এবং প্রেস রিলিজ

আরো দেখুন