মার্চ ২৬ — মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস
বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমা-এর বাণী
“মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আমাদের জাতীয় জীবনে সবচেয়ে গৌরবোজ্জল সোনালী দিন। এ দিনে বিশ্ব মানচিত্রে দেশমাতৃকার স্বাধীন সত্ত্বা প্রকাশিত হয়েছে। আজকের এই দিনে আমি দেশবাসী ও প্রবাসী বাংলাদেশীসহ সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
এ মহান দিনে আমি শ্রদ্ধা জানাই স্বাধীনতা-যুদ্ধের বীর শহিদদের স্মৃতির প্রতি। যাদের আত্মত্যাগে আমরা অর্জন করেছি স্বজাতির মুক্তি। মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তমসহ সকল জাতীয় নেতার স্মৃতির প্রতি আমি জানাই গভীর শ্রদ্ধা। স্মরণ করি সেইসব বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের কথা, যাদের নয়মাস জীবন মরণ লড়াইয়ে আমরা বিজয় লাভ করেছি। আমি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি সে সব মা-বোনদের কথা, যারা মাতৃভূমির স্বাধীনতার জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন। ২৬ মার্চ আমাদের এমন এক মহিমান্বিত দিন, আমাদের হাজার বছরের ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ অর্জন, স্বাধীনতা যা সংগ্রাম আর যুদ্ধের রক্তস্নাত পথে বিশ্ব মানচিত্রে উদ্ভাসিত হয় আমাদের মাতৃভূমি। এ দিনে দেশমাতৃকার শ্রেষ্ঠ সন্তান শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। তাঁর ঐতিহাসিক ঘোষণায় দিশেহারা জাতি পেয়েছিল মুক্তিযদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার অভয়মন্ত্র।
ফলে দীর্ঘ নয়মাস ইতিহাসের এক ভয়ংকর রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর জাতি মুক্তিলাভ করে। একটি শোষণ, বঞ্চনাহীন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে এদেশের মানুষ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে। দুর্ভাগ্যক্রমে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির চক্রান্তে এখনও আমরা সে লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হইনি। বার বার ফ্যাসিবাদী, স্বৈরাচারী ও অবৈধ শক্তি আমাদের সে লক্ষ্য পূরণ করতে দেয়নি। দেশি-বিদেশী চক্রান্তের ফলে আমাদের গণতন্ত্র ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন হোঁচট খেয়েছে এবং স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হয়েছে। মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তমকে চক্রান্তমূলকভাবে হত্যার পরে গণতন্ত্রের আপোষহীন নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সফল ও সার্থক নেতৃত্বে গণতন্ত্র উন্নয়নের ধারা সূচিত হলেও আবারও গণতন্ত্রের শত্রুদের কারণে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বেআইনীভাবে মিথ্যা মামলায় আটক করা হয়েছে।
বর্তমান ফ্যাসিবাদী বেআইনী আওয়ামী লীগ সরকারের অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকার লিপ্সায় দেশের গণতন্ত্রকামী প্রায় ৬‘শ রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে গুম, সহ¯্র নেতাকর্মীকে হত্যা, ৩৫ লক্ষ গণতান্ত্রিক কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও নির্যাতনে গণতন্ত্র অপসারিত হয়েছে। একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার হীন লক্ষ্যে এই অবৈধ সরকার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সব প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভেঙ্গে ফেলেছে। স্বাধীনতার ৫২ বছর পরে আজও তাই এদেশের মানুষ স্বাধীনতার সুফল ভোগ করতে পারেনি। এখন প্রয়োজন বাংলাদেশের সকল দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল, সংগঠন, ব্যক্তি এবং জনগণের ঐক্যবদ্ধ দুুর্বার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদকে পরাজিত করে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে পুণ:রুদ্ধার করা। আজকের এই মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে আমি আহবান জানাচ্ছি-জাতির সম্মিলিত ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ‘৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রাখার জন্য।
আমি দেশবাসী সকলের সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দরবারে প্রার্থানা জানাই ।
আল্লাহ হাফেজ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।”