বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে খুব শিগগিরই উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচ তলায় আয়োজিত এক দোয়া মাহফিলে বক্তৃতায় তিনি একথা জানান।
বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ৮০তম জন্মদিন উপলক্ষে তার দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনা এবং সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের রুহের মাগফেরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনায় এ মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা শাহ মোহাম্মদ নেসারুল হক। ঢাকা ছাড়াও সারাদেশে আজকে মহানগর-জেলা-উপজেলায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে খুব শিগগিরই উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়া হবে। আল্লাহ যদি রহম করেন তিনি সুস্থ্য হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন। ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) জন্য সবাই দোয়া করবেন।’
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, ভারতে বসে শেখ হাসিনা যেকোন একটা ষড়যন্ত্র করে সুযোগ নিতে পারে। সাম্প্রতিক সময়ে শেখ হাসিনা সংখ্যালঘুদের দিয়ে একটা চক্রান্ত তৈরী করতে চেয়েছিলো। তারা সেটি পারেনি। জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে সেটা মোকাবেলা করেছে।
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, কোন দুষ্কৃতিকারী যাতে কোন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সে জন্য প্রত্যেক এলাকায় শান্তি বিগ্রেড তৈরী করতে হবে। মসজিদ, মন্দিরসহ সংখ্যালঘুদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা দিবেন। আমাদের নেত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, এক ফ্যাসিবাদকে পরাজিত করেছি। নব্য ফ্যাসিবাদ যাতে আর আসতে না পারে সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে। অন্তর্র্বতীকালীন সরকার একটি নতুন সরকার। একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য অনেক সমস্যা রয়েছে সেগুলোকে নিরসন করতে হবে। আমাদের সবাইকে সেই পর্যন্ত ধৈর্য ধারণ করতে হবে। সংঘাত নয় সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর পরিচালনায় এই দোয়া মাহফিলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, আহমেদ আজম খান, আসাদুজ্জামান রিপন, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, আবদুস সালাম আজাদ, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরানসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।