image

ধ্বংস, প্রতিশোধ, প্রতিহিংসা নয়; ভালোবাসা ও শান্তির সমাজ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, তরুণেরা যে স্বপ্ন নিয়ে বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছেন, সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে মেধা, যোগ্যতা, জ্ঞানভিত্তিক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাতে চাই আমাদের বীর সন্তানদের, যাঁরা মরণপণ সংগ্রাম করে এই অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন। শত শত শহীদকে জানাই শ্রদ্ধা। এ বিজয় আমাদের সামনে নতুন সম্ভাবনা নিয়ে এসেছে।

গতকাল নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করে বিএনপি। সেখানে দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার একটি সংক্ষিপ্ত ভিডিও বক্তব্য প্রচার করা হয়। দীর্ঘদিন পর দলের সমাবেশে বক্তব্য দিলেন বেগম খালেদা জিয়া। ২০১৮ সালে দুদকের মামলা গ্রেপ্তার হওয়ার আগে সর্বশেষ তিনি রাজনৈতিক সমাবেশে বক্তব্য রেখেছিলেন। এরপর থেকে তিনি কোনো সমাবেশে প্রকাশ্যে নেতাকর্মীদের সামনে আসতে পারেননি। 

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশে জনতার ঢল নামে। তীব্র রোদ উপেক্ষা করে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে আসে নেতাকর্মীরা। সমাবেশস্থলে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছবি সম্বলিত ব্যানার-ফেস্টুন দেখা গেছে। শুধু তাই নয়, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি সম্বলিত বেনার-ফেস্টুনও দেখা গেছে। স্লোগানে-স্লোগানে মুখরিত পুরো এলাকা। নয়াপল্টন প্রকম্পিত করে তোলেন তারা। প্রায় দেড় যুগ ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপির নেতাকর্মীরা মাথায় জাতীয় পতাকা বেঁধে এবং হাতে জাতীয় ও দলীয় পতাকা নিয়ে বিজয় উল্লাস করেন। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এরপর বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে আসেন এবং বিজয় উল্লাস করে। আর আজ কোনো ধরনের বাধা-বিপত্তি ছাড়াই রাজধানীতে সমাবেশ করছে বিএনপি। কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়াই তারা নয়াপল্টনে জড়ো হয়েছেন।এর আগে, বুধবার বেলা ২টা ৩৮ মিনিটে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পবিত্র কুরআন তিলাওয়াতের মধ্যে দিয়ে এই সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশ শুরুর পরপরই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী এবং রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর আপনাদের সামনে কথা বলতে পারার জন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। আমার কারাবন্দী অবস্থায় আপনারা আমার কারামুক্তি ও রোগমুক্তির জন্য সংগ্রাম করেছেন, দোয়া করেছেন। সে জন্য আমি আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বলেন, দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রাম ও ত্যাগের মধ্য দিয়ে আমরা ফ্যাসিবাদী অবৈধ সরকারের কাছ থেকে মুক্তি পেয়েছি। সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, দীর্ঘদিনের নজিরবিহীন দুর্নীতি, গণতন্ত্রের ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে আমাদের নির্মাণ করতে হবে এক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। ছাত্রতরুণেরাই আমাদের ভবিষ্যৎ। তরুণেরা যে স্বপ্ন নিয়ে বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছেন, সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে মেধা, যোগ্যতা ও জ্ঞানভিত্তিক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। শোষণহীন সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে হবে। সব ধর্মগোত্রের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। শান্তি, প্রগতি, সাম্যের ভিত্তিতে আগামীর বাংলাদেশ নির্মাণে আসুন, আমরা তরুণদের হাত শক্তিশালী করি। ধ্বংস নয়, প্রতিশোধ নয়, প্রতিহিংসা নয়, ভালোবাসা, শান্তি ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গড়ে তুলি।

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বাংলাদেশ স্বৈরাচারের কবল থেকে স্বাধীন হয়েছে। এর জন্য অনেক প্রাণ বিসর্জন দিতে হয়েছে। আহত হয়েছেন অনেকে। গণতন্ত্রের বিজয়ের ইতিহাসে এ মানুষগুলো অমর হয়ে থাকবেন। তিনি বলেন, ৫২-৭১ কিংবা ৯০ এর মতো দেশের ছাত্রসমাজ বিজয়ের অমর একটি ইতিহাস রচনা করেছেন। ছাত্র জনতার ঐক্যবদ্ধ বিপ্লবের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয়েছে নতুন বিজয়। এ জন্য গণতন্ত্রকামী সব দলগুলোর পক্ষ দল-মত নির্বিশেষে দেশের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। দেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিনষ্ট করতে একটি চক্র কাজ করছে দাবি করে তারেক রহমান বলেন, প্রশাসনের প্রতি আহ্বান আইনশৃংখলা পরিস্থিতি শক্তভাবে নিয়ন্ত্রণ করুণ। কারো প্রতি যেন অবিচার না হয়। কেউ যেন নিরাপত্তাহীনতায় না থাকে সবার আগে সেটি নিশ্চিত করতে হবে। ষড়যন্ত্রের কারণে আমরা আমাদের এত বড় অর্জন বিনষ্ট হতে দিতে পারি না। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে বিএনপিসহ দেশের গণতন্ত্রকামী সব দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান- ষড়যন্ত্রকারীদের নৈরাজ্যের কাছে আমরা হার মানতে পারি না। গির্জা, মন্দির, প্যাগোডার নিরাপত্তা দিন। ধর্ম-বর্ণ-বিশ্বাস দিয়ে মানুষকে মাপা যাবে না। একজন ব্যক্তির পরিচয় তিনি মানুষ। আপনার পাড়া-প্রতিবেশী যেখানেই কেউ এমন কিছু করার চেষ্টা করবে বন্ধু হিসেবে তার নিরাপত্তায় আপনি ঢাল হিসেবে দাঁড়িয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন। আমাদের মনে রাখতে হবে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে বসবাসকারী সবার একটিই পরিচয় আমরা বাংলাদেশি।  পুলিশ জনগণের শত্রু নয় উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, শেখ হাসিনা বিনাভোটে থাকার জন্য আইনশৃংখলা বাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। আমি বিশ্বাস করি- পুলিশের ভেতর একটি চক্র ছাড়া অধিকাংশ পুলিশ সদস্য চাকরিবিধি মেনে দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করছেন। হাসিনার পালানোর পর একটি চক্র দেশের পুলিশকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করানোর চেষ্টা করছেন। এই মুহূর্ত থেকে পুলিশ কিংবা সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা বন্ধ করুন। তারেক রহমান বলেন, দেশবাসীর প্রতি আহ্বান কেউ আইন নিজ হাতে তুলে নেবেন না। বিচারের ভার নিজের হাতে তুলে নেবেন না। মনে রাখবের নৈরাজ্যের বদলে নৈরাজ্য কোনো সমাধান নয়। তিনি আরও বলেন, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। দেশকে আমদানি নির্ভর কিংবা বৈদেশিক ঋণ নির্ভরতা থেকে বের করতে হবে। রফতানির আওতা যেকোনো মূল্যে বাড়াতে হবে। দক্ষ ও মেধাবী প্রজন্ম তৈরি করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের মূলমন্ত্র সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার প্রতিষ্ঠা করার জন্য সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তারেক রহমান।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারকে পদত্যাগ করে পালিয়ে যেতে হয়েছে। এ বিজয় আপনাদের সকলের। এ বিজয় ছাত্রদের, এ বিজয় আপনাদের। যে বিজয় অর্জিত হয়েছে, এটাকে রক্ষা করতে সবাই সচেতন থাকবেন। চক্রান্তকারীরা নতুন করে চক্রান্ত করতে পারে। তারা বিজয়কে বিলিয়ে দিতে পারে চক্রান্তের মধ্য দিয়ে। সেই সুযোগ যেন আমরা তাদের না দিই। যারা এসব করছে তারা দেশের শক্র। এরা কোনো আন্দোলনকারী হতে পারে না। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন জানাব, কোনো বিলম্ব না করে অন্তর্র্বতীকালীন সরকার গঠন করুন। কোনো বিলম্ব না করে। এই সরকার যারা হবেন, তারা তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন করবেন; সেই ব্যবস্থা তারা করবেন এবং এর জন্য পূর্ণ সহযোগিতা আমরা তাকে দেব।

দেশের বিভিন্ন জায়গায় যেসব হামলা বা ভাঙচুর হচ্ছে, তারা বিএনপির লোক নয় দাবি করে মহাসচিব বলেন, যারা আজকে বিভিন্ন এলাকায়, বিভিন্ন শহরে বন্দরে ভাঙচুর করছে, লুটপাট করছে তারা কেউ আমাদের দলের লোক নয়। তারা ছাত্রদের কেউ না। তারা দুর্বৃত্ত, দুষ্কৃতকারী। এটা তাদেরই লোক যারা এদেশে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে চায়। সজাগ থাকবেন, সাবধান থাকবেন। বার বার বিজয় ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। এ বিজয় যেন ছিনিয়ে নিতে না পারে। তিনি বলেন, আমরা গণতন্ত্রের বাংলাদেশ নির্মাণ করতে চাই। আমরা ন্যায়বিচার, মানবাধিকার, সাম্য এবং কল্যাণমূলক রাষ্ট্র নির্মাণ করতে চাই। আমরা এ ব্যাপারে ছাত্রদের সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত। আমরা তাদের বক্তব্য সমর্থন করছি। বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমাদের ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। সামনের দিনগুলোতে নিজেদের সুসংহত রেখে সাহসিকতার সঙ্গে কোনো হিংসা নয়, প্রতিশোধ নয়। ছাত্র আন্দোলন, জনতার এ আন্দোলনের যেন ব্যত্যয় না ঘটে পরবর্তীতে তার দিকে দৃষ্টি রাখবেন সবাই।  

সমাবেশে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, নেতাকর্মীদের প্রতি আমার অনুরোধ থাকবে বিভিন্ন যায়গা থেকে হামলার অভিযোগ আসছে আমার কাছে। আমার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধেও আমার কাছে অভিযোগ আসছে, অনেকে সুযুগ সন্ধানী হয়ে বিভিন্ন যায়গায় গন্ডগোল থেকে শুরু করে নানা অপকর্ম করতে চাচ্ছেন। এসকল সুযোগ সন্ধানীদের বিরুদ্ধে নেতাকর্মীদের সজাগ থাকতে হবে। বহু লোক এখন খোলস পালটে সুযোগ সুবিধা নিতে চাইবে, তাদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। তিনি বলেন, এবারের আন্দোলন বিদেশী কোন প্রভুর সহায়তা ছাড়াই সফল হয়েছে। আমাদের দেশের ছাত্র জনতার রক্তের বিনিময়ে আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা দেশকে মুক্ত করতে পেরেছি। আল্লাহতালার কাছে লাখো শুকরিয়া। আমরা প্রতিনিয়ত দোয়া করতাম ফেসিবাদ থেকে দেশনেত্রী ও দেশের মানুষকে মুক্ত করার। আল্লাহতালা আমাদের সে দোয়া কবুল করে নিয়েছে। যারা এই ফেসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে জীবন দিয়েছে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, শেখ হাসিনা পালিয়েছে তবে তার প্রেতাত্মা এখনো দেশে রয়েছে। তাদের হাত হতে সাবধান। আজকের যা অর্জন হয়েছে তার সকল কল্যাণ ছাত্রদের জন্য। বাংলাদেশের ইতিহাসে ছাত্রদের কোন আন্দোলন ব্যর্থ হয় নাই। তিনি বলেন, কে প্রধান উপদেষ্টা হবে সেটা আমাদের ভাবার বিষয় না। আমাদের দাবি দ্রুততম সময়ের মধ্যে জনগণের নির্বাচনে নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করা। পুলিশ ভাইদের উদ্দেশ্যে গয়েশ্বর বলেন, পুলিশ সদস্যদের মধ্যে সবাই অন্যায় করেছেন বিষয়টি সঠিক নয়। সুতরাং আপনাদের সকলের ভয় পাওয়ার কিছু নাই।

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, এদেশের ছাত্র সমাজ, যুব সমাজ, সাধারণ মানুষ একটি পরিবর্তনের জন্য আশা করছে। যেহেতু শহীদ জিয়ার সঙ্গে রাজনীতিকরেছি, তার আদর্শ আমাদের মাঝে আছে। তাই আমাদের বিশ্বাস সেই পরিবর্তন আমরাই করতে পারব। তিনি বলেন, দেশনেত্রীকে আমরা জীবিত অবস্থায় মুক্ত করতে পেরেছি বলে আমরা আনন্দিত। আমাদের ভাই তারেক রহমানকে একই ভাবে মুক্ত করে দেশে ফিরিয়ে আনবো। যে তরুণরা এই দেশের জন্য জীবন দিয়েছে তাদের রক্তের বিনিময়ে আমরা দেশকে মুক্ত করতে পেরেছি। তাদের অবদানের কথা স্বিকার করে আমরা একটি স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তুলব। জনগনের কাছে দায় থাকবে এমন একটি সরকার আমরা গঠন করতে চাই। তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদ পতন হয়েছে, দাম্ভিক হাসিনার পতন হয়েছে। আমাদের যে ফেসিবাদের প্রতি আন্দোলন তা শেষ হয়েছে। 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক অধিকার সকলকে সমানভাবে দিতে হবে। সকল জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে। আজকের সমগ্র জাতির জন্য কাজ করতে হবে। কোন বিভেদ রাখা যাবে না, সকলের চিন্তাভাবনার প্রতিপালন করাতে হবে। তিনি বলেন, গণতন্ত্র অর্থনীতি রাজনীতি ও সাংবিধানিক অধিকার সকল নাগরিকের জন্য নিশ্চিত করতে হবে। কোন মহলের স্বার্থের প্রতিফলন ঘটানো যাবে না।  

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেমিলা রহমান বলেছেন, বিএনপির নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান দেশ গড়ার যে স্বপ্ন আমরা দেখেছি তা আপনারা তরুনদের নিয়ে বাস্তবায়ন করবেন। তিনি বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা দীর্ঘ ১৬টি বছর ধরে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। তাদের প্রতি আমি বহু কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।