দেশের অর্থনীতির এখন টালমাটাল অবস্থা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আজ ১১ জুন, মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, প্রতিদিনই দেশের অর্থনীতির ধ্বসের কথা গণমাধ্যমে প্রকাশ পাচ্ছে। পুঁজি পাচারকারী, হুন্ডি ব্যবসায়ী, বিপুল অংকের ব্যাংক ঋণ নিয়ে বছরের পর বছর ফেরত না দিয়ে বিদেশে পাচার করে ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপী হওয়া, ডলারের তুলনায় টাকার মূল্য কমে যাওয়া, তীব্র ডলার সংকট, প্রবাসী আয় কমে যাওয়া, রেমিটেন্স কমে যাওয়া, অস্বাভাবিক সার্বিক মুদ্রাস্ফীতি ও খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতিসহ সীমিত ও নিম্ন আয়ের মানুষদেরকে গভীর সংকটে ফেলেছে।
তিনি বলেন, ক্ষমতাগোষ্ঠীকে ব্যাংক থেকে অন্যায় সুবিধা দেওয়ার কারণে ব্যাংকগুলো এখন মুখ থুবড়ে পড়েছে। ঋণখেলাপিরা এখন উল্লাসে মেতে উঠেছে। ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ থেকে তার প্রয়োজনীয় টাকা ঈদের প্রাক্কালে তুলতে পারছেন না বলে ব্যাংকের সাধারণ গ্রাহকরা মাথা কুটছেন আর ব্যাংকের স্টাফদের মাছি মারা ছাড়া এই মূহুর্তে আর কোনো কাজ নেই।
জনাব রিজভী আরো বলেন, দেশে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের কালোছায়া পরিব্যাপ্ত। রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠান আওয়ামী কতৃর্ত্ববাদী শাসনের অভিঘাতে বিপন্ন প্রায়। আইন আদালত থেকে শুরু করে সর্বত্র আওয়ামী হিংস্রতার আঘাত সুষ্পষ্ট। দুঃশাসনের আঘাতে আইনের শাসন মনে হয় আত্মবলী দিয়েছে। যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব বারবার সব মামলায় জামিন পাওয়ার পরেও জেলগেট থেকে বেরোনোর সময় নতুন মামলা দিয়ে তাকে কারাবন্দি করে রাখা হচ্ছে। গত ৫ জুন ২০২৪ উচ্চতর আদালতে রিট পিটিশন করলে আদালত কোন ওয়ারেন্ট ছাড়া মামলা না দেওয়ার জন্য আদেশ দিলেও সব মামলায় জামিন পাওয়া সাইফুল আলম নীরবকে আজও মুক্তি দেওয়া হয়নি। আওয়ামী লীগ বাকশালী শাসনের সংক্রমণে পুলিশি সিদ্ধান্ত সর্বোচ্চ মর্যাদা পায়। হাইকোর্টের নির্দেশকেও পুলিশ তোয়াক্কা করে না।