দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জালিয়াতি ও কারচুপির আশ্রয় নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান নির্বাচনকে ‘প্রহসন’ বলে মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ডামি প্রার্থী, ডামি ভোটারের পর ডামি পর্যবেক্ষকও নিয়োগ করেছে। নতুন নির্বাচিত সরকারকে বাংলাদেশের হাস্যরসপ্রিয় মানুষ অব দ্য ডামি, ফর দ্য ডামি, বাই দ্য ডামি বলবে।’
সোমবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মঈন খান এসব কথা বলেন।
বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ খুঁজে বের করা জন্য গঠিত সার্চ কমিটির নামে রিসার্চ কমিটি গঠন করে একটা নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশন সরকার গঠন করেছিল।
মঈন খান বলেন, জনগণ বিশ্বাস করে একদলীয় বাকশালী সরকারের অধীনে কোনোভাবেই সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। এখানে যেটা হচ্ছে, সেটা ভোট ডাকাতি আর ভোট নিয়ন্ত্রণ। এ নির্বাচনে কোন প্রার্থী বিজয়ী আর পরাজিত সেটা ছিল পূর্বনির্ধারিত। ১৪, ১৮ ও ২৪ সালে নির্বাচনে সরকার এ দেশের মানুষের যে ভোটাধিকার সেই ক্রমপর্যায়ে ছিনিয়ে নিয়েছে। মানুষ নির্বাচনে আস্থা হারিয়ে ফেলেছ।
তিনি আরো বলেন, এখানে আওয়ামী লীগ খুঁজে বের করা জন্য গঠিত সার্চ কমিটির নামে রিসার্চ কমিটি গঠন করে একটা নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশন সরকার গঠন করেছিল। নির্বাচন কমিশন একবার বলে ২৭ শতাংশ আর একবার বলে ৪০ শতাংশ, চার ঘণ্টার মধ্যে নির্বাচন কমিশন কিভাবে এ হিসাব করে সেটা বোধগম্য নয়। এটা স্পষ্ট যে, ভোট যত শতাংশ পড়ুক না কেন, নির্বাচন কমিশনকে শিখিয়ে দেয়া হয়েছে এত শতাংশ বলতে হবে। তারা হয়তো সেটাই বলছে।
মঈন খান বলেন, গতকাল এই পাতানো নির্বাচন মাধ্যমে আওয়ামী লীগের শোচনীয় নৈতিক পরাজয় হয়েছে। যে কংগ্রেসমান নারী নির্যাতনের দায়ে বহিষ্কৃত হয়েছেন তাকে এই বর্জনের নির্বাচনে পর্যবেক্ষক হিসেবে এনেছে আওয়ামী লীগ সরকার।
তিনি বলেন, নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করায় দেশের জনগণকে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানিয়ে বিএনপি আগামীকাল থেকে এই সরকারের পদত্যাগের দাবিতে চলমান আন্দোলনে অংশগ্রহণে গণসংযোগ কর্মসূচি পালন করবে। যতদিন অন্য কোনো কর্মসূচি না আসছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ডামি নির্বাচনে ডামি প্রার্থীদের কাউকে ক্রেন দিয়ে তোলা হয়েছে আবার কাউকে ক্রেন দিয়ে তোলা হয়নি। ডামি নির্বাচন ডামি প্রার্থীকে হয়তো টেনে তুলেছে, হয়তো কাউকে তোলেনি। বিশ্বের কোনো দেশে স্বতন্ত্র প্রার্থী এভাবে জিতে! এবার তো প্রায় ২০ শতাংশের বেশি দেখলাম। এটা কোনো নির্বাচন নয়। নির্বাচন নিয়ে এ ধরনের রসিকতা করার কারো অধিকার নেই। সংবাদ সম্মেলন আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ছাড়াও সেলিমা রহমান উপস্থিত ছিলেন।