সরকার পতনের একদফা দাবিতে বিএনপিসহ বিরোধী জোটের ডাকা ৭২ ঘণ্টার অবরোধের প্রথম দিন সারা দেশে থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন ছিল রাজধানী ঢাকা।
রাজধানীর বিভিন্ন স্পটে অবরোধের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
একইসঙ্গে দেশের বিভিন্ন জেলা শহর ও মহাসড়কে মিছিল বের করে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করেন দলটির নেতাকর্মীরা। এ সময় বিভিন্ন জেলায় বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ও বেশকিছু যানবাহন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে পুলিশের গুলিতে বিএনপি’র দুই কর্মী ও সিলেট নগরীর লালাবাজারে পুলিশের ধাওয়ায় যুবদল নেতা দিলু আহমদ জিলু নিহত হন।
ওদিকে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় ৩ পুলিশসদ্যসহ আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। ঘটনাস্থল থেকে বিএনপি’র ৪ কর্মীকে আটক করা হয়।
চট্টগ্রামে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় ৩ গাড়িতে আগুন ও বিএনপি’র শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করা হয়। মানিকগঞ্জে বিক্ষোভ মিছিল করতে গেলে পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ মিছিল থেকে বিএনপি’র ৫ নেতাকর্মীকে আটক করে। ঢাকার মাতুয়াইলে পুলিশ-বিএনপি ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়। এ সময় বেশ কয়েকজন বিএনপি নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ।
এছাড়া কুমিল্লায় পুলিশের সঙ্গে জামায়াত ও বিএনপি সমর্থকদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। এদিকে বিএনপি’র অবরোধের কারণে রাজধানী থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যায়নি।
এদিকে হরতালের পর ৭২ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচির প্রথমদিন সফল হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপি নেতারা। তারা বলেছেন, ২৯শে অক্টোবরের হরতালে বিএনপির নেতাকর্মীরা সেভাবে মাঠে না থাকলেও সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে পালন করেছে।
অবরোধের প্রথম দিন রাজধানীসহ সব জেলা শহরে মাঠে ছিল বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এছাড়া যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা কর্মসূচি বাস্তবায়নে মাঠে ছিলেন। তারা দাবি করছেন, বিএনপি’র চলমান কর্মসূচিতে সাধারণ মানুষের একধরনের সমর্থন রয়েছে। কর্মসূচি পালনে সাধারণ মানুষ বাধা দেননি। এতে দলের নেতাকর্মীরা অনেকটা উজ্জীবিত। সামনের কর্মসূচি আরও কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করবেন তারা।