image

বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা করার জন্য সরকার দলের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবিতে) অনেক অস্ত্রধারীকে রাখা হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

তিনি দাবি করেন, 'আমরা শুনতে পাচ্ছি ২০ গাড়ি সশস্ত্র ক্যাডার একজন মন্ত্রীর নেতৃত্বে চট্টগ্রাম থেকে আনা হয়েছে বিএনপির সমাবেশে হামলা চালানোর জন্য। এসব ভয় দেখিয়ে গণতন্ত্রকামী জনগণকে রুখে দেয়া যাবে না।

শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) রাতে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, 'বিএনপির সমাবেশে বাধা দিয়ে কি লাভ হয়েছে? এত অন্যায় এত হামলা মামলা নির্যাতনের পরেও গণতন্ত্র হারা মানুষে মানুষে মুখরিত নয়াপল্টন। বিএনপির মহাসমাবেশকে বানচাল করার জন্য মনে হচ্ছে এক ধরনের সান্ধ্য আইন জারি করেছে সরকার।

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, 'মহাসমাবেশ হবে শান্তিপূর্ণ। তারপরও এমন কোন বাধা নেই যা সরকার দেয় নাই। গ্রেপ্তারের হিড়িক চালানো হয়েছে। সরকার বাধা দিয়েছে এই কারণে যে বাধা না দিলে উত্তাল জনশ্রোতে ধাবিত হবে বিএনপির মহাসমাবেশ। যারা রাষ্ট্রীয় এত নিপীড়নকে উপেক্ষা করে আসছে তারাই তো জাতীয় বীর। নেতাকর্মীরা বুক চিতিয়ে সমাবেশে আসছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আমাদের ভরসার শক্তি হচ্ছে জনগণ। জনগণের শক্তির কাছে যেকোন অপশক্তিই পরাজিত হয়। যারা ন্যায়ের পক্ষে তারা কখনও পরাজিত হয় না।

সংবাদ সম্মেলনে রিজভী জানান, এ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যনুযায়ী মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে গত চারদিনে মোট গ্রেপ্তার করা হয়েছে প্রায় ১৬৮০ জন নেতাকর্মী। গতকাল থেকে এখন পর্যন্ত মোট গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৬৬০ জনের অধিক নেতাকর্মী এবং মিথ্যা মামলা হয়েছে ২২ টি।

তিনি জানান, গত ২৮ ও ২৯ জুলাই তারিখ হতে অদ্যাবধি বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সারাদেশের প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী-২১১০ জনে করেন রুহুল কবির রিজভী।